ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

গাজীপুরে বিএনপি নেতার ভয়ে বাড়ি ছাড়া হিমেলের পরিবার

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে-

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের ভয়ে বাড়ি ছাড়া একটি পরিবার। বুধবার দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোস্তাকিম হোসেন হিমেল ফকির বলেন, আমার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার বরমীতে গত ৩০। সেপ্টেম্বর দুপুরে আমিসহ আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মোস্তফা ফকির জমি সংক্রান্ত কাজে বরমী ভূমি অফিসে যাই। এসময় বিএনপি নেতা শাহজাহান ফকির ও তার দুই ভাই এবং তার ছেলে পাপেল ফকির হঠাৎ আমাদের উপর আক্রমন করে। তারা আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মোস্তফা ফকিরকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার বুকে প্রচন্ড আঘাত করে। আমরা প্রতিবাদ করলে শাহজাহান ফকির তার ছেলে এবং তার ভাতিজা মহসিন ফকির, অপু ফকির, পায়েল ফকির, ওদের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দেশী অস্ত্র দা, ছুরি, বল্লম দিয়ে আমার বাসায় ভাংচুর ও হামলা চালায়। পরের দিন সকালে আমার বাজারের দোকানগুলো দখল করে। এরপর তারা আমার পরিবারের সদস্যের হত্যার হুমকি দেয়। ফেরার পথে বলে যান যদি বরমিতে থাকি তাহলে কুপিয়ে হত্যা করবে। এরপর থেকে ভয়ে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, শাহজাহান ফকির আমার থেকে ২০১৮ সালে আমার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা হাওলাত নিয়েছে সেটির প্রমান থাকলেও দেয়না। এখন নতুন করে আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি দখল করে ভরাট করছে কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমার পরিবারসহ পুরো বরমীবাসী তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তার এসব অপকর্মের তথ্য লিখিত আকারে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমি ও আমার পরিবার বাড়িতে ফিরতে চাই।

গাজীপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রেজাউল বারি বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

গাজীপুরে বিএনপি নেতার ভয়ে বাড়ি ছাড়া হিমেলের পরিবার

আপডেট টাইম : ০২:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে-

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের ভয়ে বাড়ি ছাড়া একটি পরিবার। বুধবার দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোস্তাকিম হোসেন হিমেল ফকির বলেন, আমার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার বরমীতে গত ৩০। সেপ্টেম্বর দুপুরে আমিসহ আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মোস্তফা ফকির জমি সংক্রান্ত কাজে বরমী ভূমি অফিসে যাই। এসময় বিএনপি নেতা শাহজাহান ফকির ও তার দুই ভাই এবং তার ছেলে পাপেল ফকির হঠাৎ আমাদের উপর আক্রমন করে। তারা আব্দুল জব্বার ফকিরের ছেলে মোস্তফা ফকিরকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার বুকে প্রচন্ড আঘাত করে। আমরা প্রতিবাদ করলে শাহজাহান ফকির তার ছেলে এবং তার ভাতিজা মহসিন ফকির, অপু ফকির, পায়েল ফকির, ওদের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দেশী অস্ত্র দা, ছুরি, বল্লম দিয়ে আমার বাসায় ভাংচুর ও হামলা চালায়। পরের দিন সকালে আমার বাজারের দোকানগুলো দখল করে। এরপর তারা আমার পরিবারের সদস্যের হত্যার হুমকি দেয়। ফেরার পথে বলে যান যদি বরমিতে থাকি তাহলে কুপিয়ে হত্যা করবে। এরপর থেকে ভয়ে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, শাহজাহান ফকির আমার থেকে ২০১৮ সালে আমার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা হাওলাত নিয়েছে সেটির প্রমান থাকলেও দেয়না। এখন নতুন করে আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি দখল করে ভরাট করছে কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমার পরিবারসহ পুরো বরমীবাসী তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তার এসব অপকর্মের তথ্য লিখিত আকারে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমি ও আমার পরিবার বাড়িতে ফিরতে চাই।

গাজীপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি রেজাউল বারি বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।