ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে

মানিকগঞ্জ হোমিও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আজিজ খানের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ’ ও জিম্মি থাকে কলেজের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। সুযোগ সন্ধানী অধ্যক্ষ যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সে দলের লোক বলে পরিচয় দেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কলেজের বিভিন্ন পদে অন্তত ১১ জন নিজ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদেরকে চাকরি দিয়েছেন অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ খান। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শেখ মো: আকবর হোসেন তার আপন বড় ভাই, প্রভাষক ডাঃ বেনুয়ারা আক্তার তার আপন ছোট বোন, প্রভাষক ডাঃ নাজনীন আক্তার তার মামি শাশুড়ি, প্রভাষক ডাঃ খন্দকার রোমান বাদশা জাসেদ তার মামাশ্বশুর, প্রভাষক ডাঃ মো. আইয়ুব খান তার আপন বোনের ছেলে (ভাগিনা) ও প্রভাষক ডাঃ মো. আলমগীর হোসেন তার নিকটাত্মীয়।

এছাড়া কম্পিউটার অপারেটর জেসমিন আক্তার অধ্যক্ষের বড় ভাই, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শেখ মো: আকবর হোসেনের স্ত্রী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামীমা আক্তার তার নিকটাত্মীয়। লাইব্রেরিয়ান ডাঃ মোসা: মোনোয়ারা আক্তার তার ছোট বোন। কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বড় বোনের ছেলে (ভাগিনা) মো. মোস্তফা ভুইয়া মিলনকে, তবে পরবর্তীতে তিনি চাকুরী থেকে অব্যহতি নেন। এ ছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানে তার আরো বেশ কিছু নিকটাত্মীয় নিয়োগ দিয়েছেন যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ২০২৪ইং সালের ডিএইচএমএস পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর বিলম্ব ফি ব্যতীত নির্ধারিত পরীক্ষার ফি যথাক্রমে ১ম/২য়/৩য় ও ৪র্থ বর্ষে ১৯০০/২২০০/২২০০ ও ২২০০ এর পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ২৬৫০/২৯০০/২৯০০ ও ৩৬০০ টাকা। বাৎসরিক সেশন ফি ১৫০০ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ৩০০০ টাকা। কেন্দ্র ফি কাউন্সিল নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৫০০/৫৫০ টাকার পরিবের্তে আদায় করা হচ্ছে ২০০০-৩০০০ টাকা। কাউন্সিল নির্ধারিত প্রতি শিক্ষার্থীর বাৎসরিক বিলম্ব ফি ছাড়া মোট খরচ হওয়ার কথা যথাক্রমে ১ম/২য়/৩য় ও ৪র্থ বর্ষে ১৫,৯০০/১৬২০০/১৬২০০ ও ১৬৯০০ টাকার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আদায়কারী (ষ্টোর কিপার) ডাঃ শিরিন সুলতানা জানান অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে ফরম ফিলাপ বাবদ ধার্য্য ও আদায় করা হেচ্ছ যথাক্রমে ২২,৮০০ (১ম বর্ষ),২৩,১০০ (২য় বর্ষ), ২৩,৬০০ (৩য় বর্ষ) ও ২৪,৩০০ (৪র্থ বর্ষ) টাকা। যা শিক্ষার্থী প্রতি অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে যথাক্রমে ৬,৯০০/৬,৯০০/৭,৪০০ ও ৭,৪০০ টাকা।

পরীক্ষার প্র্যাকটিক্যাল খাতা বই লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় মাত্র ২০০-৩০০ টাকায়, কিন্তু অধ্যক্ষের নির্দেশে সেই খাতা বড় ভাই ডাঃ আকবর হোসেনের হোমিও চেম্বার থেকে ৬০০-১০০০ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রবেশপত্র সংগ্রহকালীন পিকনিকের নামে বিনা রশিদে প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৭০০-১০০০ টাকা। অথচ নামমাত্র পিকনিকে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করেন। এছাড়াও বিনা রশিদে প্র্যাকটিক্যালে অতিরিক্ত নম্বর দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০০-২০০০ টাকা আদায় করেন।

কল্যাণ তহবিলের নামে শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০০-২০০০ টাকা এবং উন্নয়ন ফি বাবদ ২০০০ হাজার টাকা করে আদায় করলেও কলেজের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চোখে পড়েনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রভাষক বলেন, আমাদের প্রায় সকল স্টাফদের ১৫ মাসের বেতন না দিয়ে কলেজের নতুন ভবনের কাজ করা হয়েছে আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি নিয়ে কি করা হয়েছে বা হচ্ছে তা আমার জানা নেই।

ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ ডা: কায়সার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উপরেল্লিখিত মোট অর্থ ও কল্যান ফি বাবদ ২০০০ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন তবে কি কি বাবদ টাকা নিচ্ছেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আজিজ খান বলেন, আমার আত্মীয় যারা চাকরি করছেন তাদের সকলকেই তৎকালীন বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর ফরম ফিলাপের জন্য যে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে তা কলেজের সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে। কোন খাতে কতো টাকা নেয়া হচ্ছে চানতে চাইলে, তিনি তার সদুত্তর দিতে পারেন নি।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ যদি স্বজনপ্রিতীর বা কোন অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকেন তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থ আদায়ের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে স্বাভাবিক পাঠ দান ব্যাহত হয়। সরকারি বিধি নিষেধের বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তা ফেরত দেয়া হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডাঃ মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, দাখিলা ফরম প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা, ব্যবহারিক প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা, টেবুলেশন ফি ২৫০ টাকা, নম্বরপত্র ১৫০ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫০০/৫৫০ টাকা যা সকল কলেজের জন্যই সমান। এর বেশী কেউ নিতে পারবে না। সেশন ফি জেলা প্রশাসকের অনুমোদন সাপেক্ষে কলেজ ভিত্তিক একটু কম/বেশী হতে পারে তবে এর বাহিরে অন্য কোন অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

মানিকগঞ্জ হোমিও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

মানিকগঞ্জ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আজিজ খানের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ’ ও জিম্মি থাকে কলেজের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। সুযোগ সন্ধানী অধ্যক্ষ যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সে দলের লোক বলে পরিচয় দেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কলেজের বিভিন্ন পদে অন্তত ১১ জন নিজ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদেরকে চাকরি দিয়েছেন অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ খান। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শেখ মো: আকবর হোসেন তার আপন বড় ভাই, প্রভাষক ডাঃ বেনুয়ারা আক্তার তার আপন ছোট বোন, প্রভাষক ডাঃ নাজনীন আক্তার তার মামি শাশুড়ি, প্রভাষক ডাঃ খন্দকার রোমান বাদশা জাসেদ তার মামাশ্বশুর, প্রভাষক ডাঃ মো. আইয়ুব খান তার আপন বোনের ছেলে (ভাগিনা) ও প্রভাষক ডাঃ মো. আলমগীর হোসেন তার নিকটাত্মীয়।

এছাড়া কম্পিউটার অপারেটর জেসমিন আক্তার অধ্যক্ষের বড় ভাই, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শেখ মো: আকবর হোসেনের স্ত্রী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামীমা আক্তার তার নিকটাত্মীয়। লাইব্রেরিয়ান ডাঃ মোসা: মোনোয়ারা আক্তার তার ছোট বোন। কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বড় বোনের ছেলে (ভাগিনা) মো. মোস্তফা ভুইয়া মিলনকে, তবে পরবর্তীতে তিনি চাকুরী থেকে অব্যহতি নেন। এ ছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানে তার আরো বেশ কিছু নিকটাত্মীয় নিয়োগ দিয়েছেন যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ২০২৪ইং সালের ডিএইচএমএস পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর বিলম্ব ফি ব্যতীত নির্ধারিত পরীক্ষার ফি যথাক্রমে ১ম/২য়/৩য় ও ৪র্থ বর্ষে ১৯০০/২২০০/২২০০ ও ২২০০ এর পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ২৬৫০/২৯০০/২৯০০ ও ৩৬০০ টাকা। বাৎসরিক সেশন ফি ১৫০০ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ৩০০০ টাকা। কেন্দ্র ফি কাউন্সিল নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৫০০/৫৫০ টাকার পরিবের্তে আদায় করা হচ্ছে ২০০০-৩০০০ টাকা। কাউন্সিল নির্ধারিত প্রতি শিক্ষার্থীর বাৎসরিক বিলম্ব ফি ছাড়া মোট খরচ হওয়ার কথা যথাক্রমে ১ম/২য়/৩য় ও ৪র্থ বর্ষে ১৫,৯০০/১৬২০০/১৬২০০ ও ১৬৯০০ টাকার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আদায়কারী (ষ্টোর কিপার) ডাঃ শিরিন সুলতানা জানান অধ্যক্ষ স্যারের নির্দেশে ফরম ফিলাপ বাবদ ধার্য্য ও আদায় করা হেচ্ছ যথাক্রমে ২২,৮০০ (১ম বর্ষ),২৩,১০০ (২য় বর্ষ), ২৩,৬০০ (৩য় বর্ষ) ও ২৪,৩০০ (৪র্থ বর্ষ) টাকা। যা শিক্ষার্থী প্রতি অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে যথাক্রমে ৬,৯০০/৬,৯০০/৭,৪০০ ও ৭,৪০০ টাকা।

পরীক্ষার প্র্যাকটিক্যাল খাতা বই লাইব্রেরিতে পাওয়া যায় মাত্র ২০০-৩০০ টাকায়, কিন্তু অধ্যক্ষের নির্দেশে সেই খাতা বড় ভাই ডাঃ আকবর হোসেনের হোমিও চেম্বার থেকে ৬০০-১০০০ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রবেশপত্র সংগ্রহকালীন পিকনিকের নামে বিনা রশিদে প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৭০০-১০০০ টাকা। অথচ নামমাত্র পিকনিকে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করেন। এছাড়াও বিনা রশিদে প্র্যাকটিক্যালে অতিরিক্ত নম্বর দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০০-২০০০ টাকা আদায় করেন।

কল্যাণ তহবিলের নামে শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০০-২০০০ টাকা এবং উন্নয়ন ফি বাবদ ২০০০ হাজার টাকা করে আদায় করলেও কলেজের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চোখে পড়েনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রভাষক বলেন, আমাদের প্রায় সকল স্টাফদের ১৫ মাসের বেতন না দিয়ে কলেজের নতুন ভবনের কাজ করা হয়েছে আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি নিয়ে কি করা হয়েছে বা হচ্ছে তা আমার জানা নেই।

ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ ডা: কায়সার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উপরেল্লিখিত মোট অর্থ ও কল্যান ফি বাবদ ২০০০ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন তবে কি কি বাবদ টাকা নিচ্ছেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল আজিজ খান বলেন, আমার আত্মীয় যারা চাকরি করছেন তাদের সকলকেই তৎকালীন বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর ফরম ফিলাপের জন্য যে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে তা কলেজের সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে। কোন খাতে কতো টাকা নেয়া হচ্ছে চানতে চাইলে, তিনি তার সদুত্তর দিতে পারেন নি।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ যদি স্বজনপ্রিতীর বা কোন অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকেন তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থ আদায়ের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে স্বাভাবিক পাঠ দান ব্যাহত হয়। সরকারি বিধি নিষেধের বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তা ফেরত দেয়া হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডাঃ মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, দাখিলা ফরম প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা, ব্যবহারিক প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা, টেবুলেশন ফি ২৫০ টাকা, নম্বরপত্র ১৫০ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৫০০/৫৫০ টাকা যা সকল কলেজের জন্যই সমান। এর বেশী কেউ নিতে পারবে না। সেশন ফি জেলা প্রশাসকের অনুমোদন সাপেক্ষে কলেজ ভিত্তিক একটু কম/বেশী হতে পারে তবে এর বাহিরে অন্য কোন অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই।