ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে ফরিদপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিহত খালেদা জিয়া যে কোনো সময়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

লন্ডন প্রবাসীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও গাড়ি নিয়ে কেয়ারটেকার পলাতক, মামলায় ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের শাহপরাণ থানা এলাকার এক লন্ডন প্রবাসীর বাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও দামি গাড়ি নিয়ে সবুজ সরদার নামের এক কেয়ারটেকার পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় আদালতে মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী লন্ডন প্রবাসীর মামা। উক্ত মামলায় অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছেন দায়িত্বরত শাহপরাণ (রহঃ) থানার এস.আই অনুপ কুমার চেীধুরী।

মামলার সূত্রে জানা যায় ২০২২ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি ওই প্রবাসী দেশে আসলে কেয়ারটেকার সবুজ সরদার ওই প্রবাসীকে একটি প্রাইভেট কার ক্রয় করার জন্য অনুরোধ করেন। তার কথায় ওই প্রবাসী একটি গাড়ী ক্রয় করেন। ২০২২ সালের ২৬ শে জুলাই ভুক্তভোগী প্রবাসী লন্ডনে চলে যাবার আগে গাড়ীটি সবুজের হেফাজতে রেখে যান। গাড়ী ছাড়াও প্রবাসীর নিজের জমির খাজনা ও নামজারী করার জন্য সবুজকে আরো ৫ লাখ টাকা দিয়ে যান। লন্ডনে গিয়ে ওই প্রবাসী তার মামাকে (মামলার বাদী) দেয়ার জন্য ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১৬ জানুয়ারি ২০ হাজার টাকা, ৬ই ফেব্রুয়ারি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ও ২৮ ফেব্রয়ারি ১০ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকা সবুজের নিকট পাঠান। কিন্তু সবুজ তাকে না দিয়ে পুরো টাকাটাই আত্নসাৎ করেন।

জমির খাজনা ও নামজারী বাবদ পাঠানো ৫ লক্ষ ও তার হেফাজতে থাকা গাড়ি বিক্রি করে সব মিলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি আত্নসাৎ করেন প্রতারক সবুজ সরদার।

পরবর্তীতে প্রবাসীর মামা একাধিকবার সবুজের সাথে যোগাযোগ করে তার কাছে থাকা গাড়ির কাগজপত্র ও তার নেয়া ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে বার বার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ফেরত দেননি প্রতারক সবুজ সরদার। এমনকি এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন সবুজ সরদার। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতে মামলা করেন প্রবাসীর মামা উনু মিয়া। যার সি.আর মামলা নং-১৭৩/২০২৩, তারিখ: ০২-০৫-২০২৩ইং।

অভিযুক্ত সবুজ সরদার যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের আয়ুব সরদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার অফতাব নগরে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

সবুজ সরদারের নিজ এলাকা অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামে অনুসন্ধানে জানা গেছে,সবুজ সরদার পেশাদার একজন প্রতারক। প্রতারনা তার পেশা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনা করে সে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে। তার প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ধনাঢ্য লোক টার্গেট করে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে ও আস্থা অর্জনের কিছু দিনের মধ্যে সর্বস্ব লুট করে কেটে পড়ে। এলাকায় বিভিন্ন লোজনকে চাকুরী দেয়া, বিদেশ পাঠানো ও নানাবিধ প্রলোভন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সবুজ সরদারের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী প্রবাসীর দাবি অতি দ্রুত যাতে প্রতারক সবুজ সরদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে দ্রুত গ্রেফতার করা হয় অন্যথায় প্রতারক সবুজ বিদেশে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই শরীফ জহির?

লন্ডন প্রবাসীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও গাড়ি নিয়ে কেয়ারটেকার পলাতক, মামলায় ধীরগতি

আপডেট টাইম : ১২:৫২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের শাহপরাণ থানা এলাকার এক লন্ডন প্রবাসীর বাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও দামি গাড়ি নিয়ে সবুজ সরদার নামের এক কেয়ারটেকার পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় আদালতে মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী লন্ডন প্রবাসীর মামা। উক্ত মামলায় অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছেন দায়িত্বরত শাহপরাণ (রহঃ) থানার এস.আই অনুপ কুমার চেীধুরী।

মামলার সূত্রে জানা যায় ২০২২ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি ওই প্রবাসী দেশে আসলে কেয়ারটেকার সবুজ সরদার ওই প্রবাসীকে একটি প্রাইভেট কার ক্রয় করার জন্য অনুরোধ করেন। তার কথায় ওই প্রবাসী একটি গাড়ী ক্রয় করেন। ২০২২ সালের ২৬ শে জুলাই ভুক্তভোগী প্রবাসী লন্ডনে চলে যাবার আগে গাড়ীটি সবুজের হেফাজতে রেখে যান। গাড়ী ছাড়াও প্রবাসীর নিজের জমির খাজনা ও নামজারী করার জন্য সবুজকে আরো ৫ লাখ টাকা দিয়ে যান। লন্ডনে গিয়ে ওই প্রবাসী তার মামাকে (মামলার বাদী) দেয়ার জন্য ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১৬ জানুয়ারি ২০ হাজার টাকা, ৬ই ফেব্রুয়ারি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ও ২৮ ফেব্রয়ারি ১০ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকা সবুজের নিকট পাঠান। কিন্তু সবুজ তাকে না দিয়ে পুরো টাকাটাই আত্নসাৎ করেন।

জমির খাজনা ও নামজারী বাবদ পাঠানো ৫ লক্ষ ও তার হেফাজতে থাকা গাড়ি বিক্রি করে সব মিলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি আত্নসাৎ করেন প্রতারক সবুজ সরদার।

পরবর্তীতে প্রবাসীর মামা একাধিকবার সবুজের সাথে যোগাযোগ করে তার কাছে থাকা গাড়ির কাগজপত্র ও তার নেয়া ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে বার বার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ফেরত দেননি প্রতারক সবুজ সরদার। এমনকি এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন সবুজ সরদার। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতে মামলা করেন প্রবাসীর মামা উনু মিয়া। যার সি.আর মামলা নং-১৭৩/২০২৩, তারিখ: ০২-০৫-২০২৩ইং।

অভিযুক্ত সবুজ সরদার যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের আয়ুব সরদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার অফতাব নগরে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

সবুজ সরদারের নিজ এলাকা অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামে অনুসন্ধানে জানা গেছে,সবুজ সরদার পেশাদার একজন প্রতারক। প্রতারনা তার পেশা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনা করে সে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে। তার প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ধনাঢ্য লোক টার্গেট করে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে ও আস্থা অর্জনের কিছু দিনের মধ্যে সর্বস্ব লুট করে কেটে পড়ে। এলাকায় বিভিন্ন লোজনকে চাকুরী দেয়া, বিদেশ পাঠানো ও নানাবিধ প্রলোভন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সবুজ সরদারের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী প্রবাসীর দাবি অতি দ্রুত যাতে প্রতারক সবুজ সরদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে দ্রুত গ্রেফতার করা হয় অন্যথায় প্রতারক সবুজ বিদেশে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী।