ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
IOM এর সহযোগিতায় আরও অনিয়মিত ১৪৩ জন বাংলাদেশী ফেরত এসেছে লিবিয়া থেকে বিসিকে সরকারী নীতিমালা ভংগের মহোতসব: পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবীর অপসারণ দাবী! গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলী নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ জয়পুরহাটে ব্যাবসায়ী কৃষ্ণ বসাকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানির অভিযোগ IOM এর সহযোগিতায় আরও অনিয়মিত ১৪৩ জন বাংলাদেশী ফেরত এলো লিবিয়া থেকে গাজীপুরে ৫৪ তম গণপ্রকৌশল দিবস পালন ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হবে- নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যুবদলের র‌্যালি কোটালীপাড়ায় পাখি শিকারের অপরাধে কারাদণ্ড আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

মির্জাগঞ্জে মাদ্রাসা খেকো সুপারিনডেন্ট

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ গোলাম মাওলা’র বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে আবুল হোসেন নামে অত্র মাদ্রাসার এক ছাত্র অভিভাবক সদস্য গত ১৭ই অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি ওই দিনই অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

ওই কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ গোলাম মাওলা অত্র মাদ্রাসায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৫ ইং সনে ফাজিল ও ১৯৯৮ ইং সনে কামিল পরীক্ষায় নিয়মিত ভাবে অংশগ্রহন করিয়া পাশ করে। যাহা সম্পূর্ন অবৈধ।

তিনি (সুপার) বিগত ১০/১০/১৯৯৩ ইং সনে বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী জুনিয়র মৌলভী পদে ইবতেদায়ী শাখায় যোগদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সহকারী-মৌলভী পদে উন্নীত হন এবং তারপরে সুপার পদে উন্নীত হন। তাও সম্পূর্ন অবৈধ।

এছাড়াও তিনি মাদ্রাসার রির্জাভ ফান্ডের টাকা সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে নিজে আত্মসাত করেছেন। সেইসাথে তিনি বিগত দুই মেয়াদে মাদ্রাসার নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনে

মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে দাতা সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করেন। উক্ত দাতা সদস্য মাদ্রাসায় দাতা সদস্য পদ লাভের জন্য দুই বারে সর্বমোট ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা দান করেন। সেই টাকাও সুপার ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও তিনি বিগত ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (HSP) এর আওতায় সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচীর সাবসিডির সমস্ত টাকা সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে নিজে আত্মত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুয়া, মিথ্যা, এবং বানোয়াট।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ তদন্তধীন রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

IOM এর সহযোগিতায় আরও অনিয়মিত ১৪৩ জন বাংলাদেশী ফেরত এসেছে লিবিয়া থেকে

মির্জাগঞ্জে মাদ্রাসা খেকো সুপারিনডেন্ট

আপডেট টাইম : ০১:০৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ গোলাম মাওলা’র বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে আবুল হোসেন নামে অত্র মাদ্রাসার এক ছাত্র অভিভাবক সদস্য গত ১৭ই অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি ওই দিনই অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

ওই কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ গোলাম মাওলা অত্র মাদ্রাসায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৫ ইং সনে ফাজিল ও ১৯৯৮ ইং সনে কামিল পরীক্ষায় নিয়মিত ভাবে অংশগ্রহন করিয়া পাশ করে। যাহা সম্পূর্ন অবৈধ।

তিনি (সুপার) বিগত ১০/১০/১৯৯৩ ইং সনে বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী জুনিয়র মৌলভী পদে ইবতেদায়ী শাখায় যোগদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সহকারী-মৌলভী পদে উন্নীত হন এবং তারপরে সুপার পদে উন্নীত হন। তাও সম্পূর্ন অবৈধ।

এছাড়াও তিনি মাদ্রাসার রির্জাভ ফান্ডের টাকা সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে নিজে আত্মসাত করেছেন। সেইসাথে তিনি বিগত দুই মেয়াদে মাদ্রাসার নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনে

মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে দাতা সদস্য হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করেন। উক্ত দাতা সদস্য মাদ্রাসায় দাতা সদস্য পদ লাভের জন্য দুই বারে সর্বমোট ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা দান করেন। সেই টাকাও সুপার ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও তিনি বিগত ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (HSP) এর আওতায় সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচীর সাবসিডির সমস্ত টাকা সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে নিজে আত্মত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুয়া, মিথ্যা, এবং বানোয়াট।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ তদন্তধীন রয়েছে।