ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে

বিসিকে সরকারী নীতিমালা ভংগের মহোতসব: পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবীর অপসারণ দাবী!

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এ সরকারী নীতিমালা ভংগের মহোতসব চলছে। স্বৈরাচারের দোসরদের প্রাইজ পোষ্টিং নিয়ে উত্তেজনা না থামতেই একটার পর একটা বিধি বর্হিভুত আদেশ জারি করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন পরিচালক প্রশাসন শ্যমলী নবী।

যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা শ্যামলী নবী স্বৈরাচারী মনোভাব ধারণ করে চলেছেন। তিনি মনে করছেন যে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার বুঝি এখনো ক্ষমতাসীন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের আকাংখার প্রতি তার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। তার স্বেচ্ছাচারি মনোভাবাপন্ন কর্মকান্ডে চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগ্ণ। তার প্রতিটি কর্মকান্ড বেআইনী, উস্কানীমূলক, আক্রোশমূলক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টিকারক।

সরকারের প্রচলিত আইনের প্রতি তিনি যেমনি অশ্রদ্ধাশীল তেমনি তিনি চরম আকারের স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি । বিদ্যমান বিধি-বিধান, নিয়ম-নীতি মানতে তিনি রাজী নন। যার জ্বলন্ত উদাহরণ তিনি স্থাপন করেছেন তার অতি পছন্দের কর্মকর্তা সাবেক ডিবি হারুনের ঘনিষ্ঠ মোঃ মেরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুর্যসেন হল শাখার সাবেক পদস্থ নেতা (ছায়া সভাপতি) মোঃ আসিফ উল হাসান নামক দুজন কনিষ্ঠ উপ-ব্যবস্থাপককে সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে। যার অফিস আদেশ স্মারক নং- ১১১৫৬, জারির তারিখ ০৭ নভেম্বর ২০২৪। উক্ত দুজনকে সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদানের আদেশ জারী করে তিনি অবমাননা করেছেন এতদ সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নীতি মালা। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব’ দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি দায়িত দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত গ্রেডেশন তালিকা যথাযথভাবে মানতে হবে। চাকরি সন্তোষজনক থাকলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁর ও পরের পদের কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না।
উচ্চতর পদে দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে প্রথমতঃ জৈষ্ঠতা তালিকা, দ্বিতীয়ত কর্মদক্ষতা, তৃতীয়ত: সন্তোষজনক চাকুরীর ভিত্তি বিবেচনার বিধান আছে। বিধান আছে উচ্চতর দায়িত্ব প্রাপ্তকর্মচারী তাহার পুর্ববর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর করিয়া চলতি দায়িত্বের পদে যোগদান করিবেন। পদোন্নতির জন্য প্রণীত জৈষ্ঠতা তালিকা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করিতে হইবে এবং এই ক্ষেত্রে জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়া কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা যাইবে না। উপব্যবস্থাপক সমমানের কর্মকর্তাদের গ্রেডেশন তালিকায় মোঃ মেরাজ উদ্দিনের অবস্থান ৪৩ নম্বরে এবং আসিফ উল হাসান এর অবস্থান ৮৯ নম্বরে ।
যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা শ্যামলী নবী বিদ্যমান বিধানের প্রতি বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে বেপরোয়া মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বিসিকের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এধরনের একটি কাজ করেছেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিসিকের পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবী স্বৈরাচারী কায়দায় বিদ্যমান নীতিমালার অবমাননা করেছেন এবং স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় গ্রহন করেছেন। তার অতি পছন্দের দুজন কর্মকর্তা মোঃ মেরাজ উদ্দিন এবং আসিফ উল হাসানকে উচ্চতর দায়িত্ব প্রদানের বেলায় সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান গোপন করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান তথা তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
১৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বিভিন্ন করপোরেশনের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান নীতিমালা, ২০২৩ নামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাস নমন্ত্রণালয়। চলতি দায়িত্বের অর্থ হচ্ছে, সাময়িকভাবে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর মূলপদের পরবর্তী উচ্চতর কোনো প্রকৃত শূন্য পদে দায়িত্ব প্রদান। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব’ দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠত্বা সংক্রান্ত গ্রেডেশন তালিকা যথাযথভাবে মানতে হবে। চাকরি সন্তোষ জনক থাকলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁর ও পরের পদের কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না। নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে- চলতি দায়িত্বের অর্থ হচ্ছে, সাময়িকভাবে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর মূলপদের পরবর্তী উচ্চতর কোনো প্রকৃত শূন্য পদে দায়িত্ব প্রদান। চলতি দায়িত ¡দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শতর্ জুড়ে দেওয়া হয়েছে নীতি মালায়। তার মধ্যে রয়েছে সমপদধারীদের মধ্য থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব না হলে কেবল শূন্য পদের ফিডার ভুক্ত (আগের পদে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণকারী) অব্যবহিত নিম্ন পদধারীদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে পদোন্নতির যোগ্যতা বিবেচনা করে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে। অব্যবহিত নিম্নপদধারীদের মধ্য থেকে কাউকে চলতি দায়িত ¡প্রদান করা সম্ভব না হলে শর্তসাপেক্ষ্যে বহিত নিম্নপদের একধাপ নিচের পদধারীকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদোন্নতি কমিটির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে; মধ্যবর্তী পদটি শূন্য আছে অথবা অব্যবহিত নিম্ন পদধারীদের মধ্যে দায়িত্ব প্রদানের জন্য উপযুক্ত কর্মচারী নেই এ মমের্ অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন থাকতে হবে এবং যাঁকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে, তাঁর ওপরের পদধারী কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবেনা।

পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবী সরকারী নীতিমালা লংঘন করে উচ্চতর পদে স্বেচ্ছাছারিতার মাধ্যমে দায়িত্ব প্রদান আদেশ বাতিল করা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ হানিকর কাজ করা, উস্কানীমূলক আচরণ, বিসিকে অসন্তোষ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টকরা প্রভৃতি দোষে দুষ্ট হয়েছেন। যে কারণে বিসিকের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিসিক থেকে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবী তুলেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবীর সেল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। মুঠো ফোনে ক্ষধে বার্তা পাঠালেও তিনি রিপ্লাই দেন নি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

বিসিকে সরকারী নীতিমালা ভংগের মহোতসব: পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবীর অপসারণ দাবী!

আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এ সরকারী নীতিমালা ভংগের মহোতসব চলছে। স্বৈরাচারের দোসরদের প্রাইজ পোষ্টিং নিয়ে উত্তেজনা না থামতেই একটার পর একটা বিধি বর্হিভুত আদেশ জারি করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন পরিচালক প্রশাসন শ্যমলী নবী।

যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা শ্যামলী নবী স্বৈরাচারী মনোভাব ধারণ করে চলেছেন। তিনি মনে করছেন যে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার বুঝি এখনো ক্ষমতাসীন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের আকাংখার প্রতি তার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। তার স্বেচ্ছাচারি মনোভাবাপন্ন কর্মকান্ডে চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগ্ণ। তার প্রতিটি কর্মকান্ড বেআইনী, উস্কানীমূলক, আক্রোশমূলক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টিকারক।

সরকারের প্রচলিত আইনের প্রতি তিনি যেমনি অশ্রদ্ধাশীল তেমনি তিনি চরম আকারের স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি । বিদ্যমান বিধি-বিধান, নিয়ম-নীতি মানতে তিনি রাজী নন। যার জ্বলন্ত উদাহরণ তিনি স্থাপন করেছেন তার অতি পছন্দের কর্মকর্তা সাবেক ডিবি হারুনের ঘনিষ্ঠ মোঃ মেরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুর্যসেন হল শাখার সাবেক পদস্থ নেতা (ছায়া সভাপতি) মোঃ আসিফ উল হাসান নামক দুজন কনিষ্ঠ উপ-ব্যবস্থাপককে সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে। যার অফিস আদেশ স্মারক নং- ১১১৫৬, জারির তারিখ ০৭ নভেম্বর ২০২৪। উক্ত দুজনকে সহকারী মহা ব্যবস্থাপকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদানের আদেশ জারী করে তিনি অবমাননা করেছেন এতদ সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নীতি মালা। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব’ দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি দায়িত দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত গ্রেডেশন তালিকা যথাযথভাবে মানতে হবে। চাকরি সন্তোষজনক থাকলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁর ও পরের পদের কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না।
উচ্চতর পদে দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে প্রথমতঃ জৈষ্ঠতা তালিকা, দ্বিতীয়ত কর্মদক্ষতা, তৃতীয়ত: সন্তোষজনক চাকুরীর ভিত্তি বিবেচনার বিধান আছে। বিধান আছে উচ্চতর দায়িত্ব প্রাপ্তকর্মচারী তাহার পুর্ববর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর করিয়া চলতি দায়িত্বের পদে যোগদান করিবেন। পদোন্নতির জন্য প্রণীত জৈষ্ঠতা তালিকা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করিতে হইবে এবং এই ক্ষেত্রে জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়া কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা যাইবে না। উপব্যবস্থাপক সমমানের কর্মকর্তাদের গ্রেডেশন তালিকায় মোঃ মেরাজ উদ্দিনের অবস্থান ৪৩ নম্বরে এবং আসিফ উল হাসান এর অবস্থান ৮৯ নম্বরে ।
যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা শ্যামলী নবী বিদ্যমান বিধানের প্রতি বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে বেপরোয়া মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বিসিকের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এধরনের একটি কাজ করেছেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিসিকের পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবী স্বৈরাচারী কায়দায় বিদ্যমান নীতিমালার অবমাননা করেছেন এবং স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় গ্রহন করেছেন। তার অতি পছন্দের দুজন কর্মকর্তা মোঃ মেরাজ উদ্দিন এবং আসিফ উল হাসানকে উচ্চতর দায়িত্ব প্রদানের বেলায় সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান গোপন করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান তথা তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
১৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বিভিন্ন করপোরেশনের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান নীতিমালা, ২০২৩ নামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাস নমন্ত্রণালয়। চলতি দায়িত্বের অর্থ হচ্ছে, সাময়িকভাবে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর মূলপদের পরবর্তী উচ্চতর কোনো প্রকৃত শূন্য পদে দায়িত্ব প্রদান। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব’ দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠত্বা সংক্রান্ত গ্রেডেশন তালিকা যথাযথভাবে মানতে হবে। চাকরি সন্তোষ জনক থাকলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁর ও পরের পদের কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না। নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে- চলতি দায়িত্বের অর্থ হচ্ছে, সাময়িকভাবে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর মূলপদের পরবর্তী উচ্চতর কোনো প্রকৃত শূন্য পদে দায়িত্ব প্রদান। চলতি দায়িত ¡দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শতর্ জুড়ে দেওয়া হয়েছে নীতি মালায়। তার মধ্যে রয়েছে সমপদধারীদের মধ্য থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব না হলে কেবল শূন্য পদের ফিডার ভুক্ত (আগের পদে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণকারী) অব্যবহিত নিম্ন পদধারীদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে পদোন্নতির যোগ্যতা বিবেচনা করে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে। অব্যবহিত নিম্নপদধারীদের মধ্য থেকে কাউকে চলতি দায়িত ¡প্রদান করা সম্ভব না হলে শর্তসাপেক্ষ্যে বহিত নিম্নপদের একধাপ নিচের পদধারীকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদোন্নতি কমিটির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে; মধ্যবর্তী পদটি শূন্য আছে অথবা অব্যবহিত নিম্ন পদধারীদের মধ্যে দায়িত্ব প্রদানের জন্য উপযুক্ত কর্মচারী নেই এ মমের্ অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন থাকতে হবে এবং যাঁকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে, তাঁর ওপরের পদধারী কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবেনা।

পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবী সরকারী নীতিমালা লংঘন করে উচ্চতর পদে স্বেচ্ছাছারিতার মাধ্যমে দায়িত্ব প্রদান আদেশ বাতিল করা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ হানিকর কাজ করা, উস্কানীমূলক আচরণ, বিসিকে অসন্তোষ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টকরা প্রভৃতি দোষে দুষ্ট হয়েছেন। যে কারণে বিসিকের দেশ প্রেমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা বিসিক থেকে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবী তুলেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবীর সেল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। মুঠো ফোনে ক্ষধে বার্তা পাঠালেও তিনি রিপ্লাই দেন নি।