ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারের সহায়তায় নতুন দল গঠন করলে জনগণ মেনে নিবেনা : মির্জা ফখরুল কি মধু আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে? পঞ্চগড়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ গোপালগঞ্জে জিয়াউর রহমানের পোস্টারের পাশে শেখ হাসিনার পোস্টার গাজীপুরে বিএমটিএফ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ পল্টন থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান টিপু বহিষ্কার পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণরোধ অভিযানে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ভারতের সাথে অসম চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাকুরীর পিছনে না ছুটে খাবার তৈরির ভিডিও, মাসে আয় ৫ লাখ টাকা আদমদীঘিতে থানা পুলিশের অভিযানে ৩১কেজি গাঁজাসহ আটক- ৪

কি মধু আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে?

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এর সচিব সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম, উপসচিব (পরিচিতি নং-১৫৬৭৬) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসাদাচরণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে (বিএসসিতে) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে যোগদান করেন। এরপরই তার নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে অন্যতম হলো: খুলনার প্রাণকেন্দ্র বিএসসির অত্যন্ত মূল্যবান একটি জমি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি প্রাইভেট কোম্পানীকে নামমাত্র দামে ৫০ হাজার টাকায় লিজ দেন। বিএসসি’র তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে সম্পূর্ণ কাজটি তাঁর হাত দিয়ে সম্পাদিত হয়। এছাড়া মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মচারীদের পদোন্নতি ও লোভনীয় পদে বদলি নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

জমি দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলে তিনি এ থেকে বাঁচতে ২০২০ সালে বিএসসি হতে বদলি হয়ে যান কিন্তু পুনরায় বিএসসির মত লোভনীয় জায়গায় আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে বিএসসিতে সচিব হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন। বিএসসি’র সচিব পদটি মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) থেকে সিনিয়র এবং সম্মানের হওয়া সত্ত্বেও অর্থলোভী এই কর্মকর্তা সম্মানের চেয়ে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাকেই প্রাধান্য দেন। বিএসসি’র আর্থিক কমিটিতে সদস্য পদে নাম না থাকায় এটা নিয়ে তিনি বিভিন্ন দেন দরবার ও বিএসসি’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর সাথে ঝামেলা শুরু করেন। এমনকি বিএসসি’র কক্সবাজার পিকনিকে গিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে পুরো পবিরবারসহ থাকা ও খাওয়ার দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও নির্বাহী পরিচালক বাণিজ্য এর সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে অনুষ্ঠানকে পন্ড করে চলে আসেন। এরপর থেকে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকেন। তাঁর কারণে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বিএসসি থেকে চলে যান। তিনি অর্থের জন্য কোন নামমাত্র কারণ দেখিয়ে ঢাকা ভ্রমণ করে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ টি ভ্রমণ বিল আদায় করেন। তিনি সব সময় বিএসসির কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের ভয় দেখিয়ে থাকেন এবং এ্যাকশন নিবেন বলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হুমকি দেন।
এছাড়া তিনি প্রায় সপ্তাহে পরপর ০২ দিন ০২ টি আলাদা কাজ দেখিয়ে ঢাকা গিয়ে ঢাকা থেকে না এসে ০২ টি আলাদা ভ্রমণ বিল করেন। বিএসসি’র বিগত টেন্ডার গুলোতে প্রবেশ করতে সফল না হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তৎকালীন বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) ড. পিযুষ দত্ত এর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৫ অগাষ্ট পরবর্তী রদবদল এর সুযোগ নিয়ে জন প্রশাসনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওএসডি করান। তাছাড়াও যেকোন কর্মকর্তার জিও এর জন্য তিনি উপটৌকন দাবি করেন। কোন ধরণের টেকনিক্যাল ও কারিগরি জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের মিটিং এ যাওয়ার জন্য সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাধ্য করে তার নাম পাঠান কিন্তু পরবর্তীতে কোনো আর্থিক সুবিধা ( টিএ/ ডিএ) না থাকায় তিনি যাওয়া বাদ দেন যার কারণে উক্ত মিটিং বিএসসি তথা বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্ব বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়া বিএসসি’র জাহাজের ইন্সপেকশন এর জন্য টেকনিক্যাল অফিসার সাথে তার নামেও ইউএসএ ভিসা করার জন্য বাধ্য করেন এবং অবৈধভাবে ইউএসওতে থেকে যাওয়ার পাঁয়তারা করেন। কোনো ধরনের টেকনিক্যাল ডকুমেন্টস ব্যতীত তার নাম প্রবেশ করানোই ইউএসএ এজেন্ট সকলের গ্যারান্টি লেটার বাতিল করে দেন । গত ০১ বছরে তিনি বিএসসি থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ভ্রমণ বিল নেন এবং কর্মকর্তাদের বিভাগ পরিবর্তনের লোভ দেখিয়ে ও অর্থ আদায় করেন। এছাড়া প্রায়ই মন্ত্রণালয়ের মিথ্যা ভয় দেখিয়ে বিএসসি’র কর্মকর্তাদের থেকে উপঢৌকন নেন এবং কোনো সমস্যায় তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে বলেন।
সরকারী বেতন দিয়ে তিনি কিভাবে তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়েকে ঢাকাতে ব্যয়বহুল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াচ্ছেন তা কারো বোধগম্য নয়। তিনি বিএসসি থেকে প্রদত্ত মোবাইল, ল্যাপটপ কিছু দিন ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে পুরাতন গুলো ফেরত না দিয়ে প্রশাসন বিভাগ থেকে পুনরায় নতুন মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে নেন যা সরকারী নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
এমনকি সম্প্রতি তার কথামত টেন্ডার এবং অন্যান্য কিছু বেআইনি কাজ না করায় মন্ত্রণালয় থেকে তার বাচম্যাট (উপসচিব-নাজমুন্নাহার)কে বিএসসিতে ডেকে এনে তার রুমে বসিয়ে কতিপয় সরলমনা কর্মকর্তাকে অশালীন ভাবে ধমক দেন এবং দুদকে দিবেন বলে হুমকি দেন,যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার চরম লঙ্ঘন।তার কারণে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা অত্যন্ত বিব্রত।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় বিএসসিতে সচিব পদে পদায়ন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আজ অব্দি কোন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কে অভিযোগ করলো? কোথায় করলো? এসবের আমি কিছুই জানি না।

কি মধু আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে?

বিশেষ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এর সচিব সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম, উপসচিব (পরিচিতি নং-১৫৬৭৬) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসাদাচরণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে (বিএসসিতে) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে যোগদান করেন। এরপরই তার নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে অন্যতম হলো: খুলনার প্রাণকেন্দ্র বিএসসির অত্যন্ত মূল্যবান একটি জমি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি প্রাইভেট কোম্পানীকে নামমাত্র দামে ৫০ হাজার টাকায় লিজ দেন। বিএসসি’র তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে সম্পূর্ণ কাজটি তাঁর হাত দিয়ে সম্পাদিত হয়। এছাড়া মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মচারীদের পদোন্নতি ও লোভনীয় পদে বদলি নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
জমি দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলে তিনি এ থেকে বাঁচতে ২০২০ সালে বিএসসি হতে বদলি হয়ে যান কিন্তু পুনরায় বিএসসির মত লোভনীয় জায়গায় আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে বিএসসিতে সচিব হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন। বিএসসি’র সচিব পদটি মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) থেকে সিনিয়র এবং সম্মানের হওয়া সত্ত্বেও অর্থলোভী এই কর্মকর্তা সম্মানের চেয়ে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাকেই প্রাধান্য দেন। বিএসসি’র আর্থিক কমিটিতে সদস্য পদে নাম না থাকায় এটা নিয়ে তিনি বিভিন্ন দেন দরবার ও বিএসসি’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর সাথে ঝামেলা শুরু করেন। এমনকি বিএসসি’র কক্সবাজার পিকনিকে গিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে পুরো পবিরবারসহ থাকা ও খাওয়ার দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও নির্বাহী পরিচালক বাণিজ্য এর সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে অনুষ্ঠানকে পন্ড করে চলে আসেন। এরপর থেকে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকেন। তাঁর কারণে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বিএসসি থেকে চলে যান। তিনি অর্থের জন্য কোন নামমাত্র কারণ দেখিয়ে ঢাকা ভ্রমণ করে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ টি ভ্রমণ বিল আদায় করেন। তিনি সব সময় বিএসসির কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের ভয় দেখিয়ে থাকেন এবং এ্যাকশন নিবেন বলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হুমকি দেন।
এছাড়া তিনি প্রায় সপ্তাহে পরপর ০২ দিন ০২ টি আলাদা কাজ দেখিয়ে ঢাকা গিয়ে ঢাকা থেকে না এসে ০২ টি আলাদা ভ্রমণ বিল করেন। বিএসসি’র বিগত টেন্ডার গুলোতে প্রবেশ করতে সফল না হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তৎকালীন বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) ড. পিযুষ দত্ত এর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৫ অগাষ্ট পরবর্তী রদবদল এর সুযোগ নিয়ে জন প্রশাসনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওএসডি করান। তাছাড়াও যেকোন কর্মকর্তার জিও এর জন্য তিনি উপটৌকন দাবি করেন। কোন ধরণের টেকনিক্যাল ও কারিগরি জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের মিটিং এ যাওয়ার জন্য সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাধ্য করে তার নাম পাঠান কিন্তু পরবর্তীতে কোনো আর্থিক সুবিধা ( টিএ/ ডিএ) না থাকায় তিনি যাওয়া বাদ দেন যার কারণে উক্ত মিটিং বিএসসি তথা বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্ব বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়া বিএসসি’র জাহাজের ইন্সপেকশন এর জন্য টেকনিক্যাল অফিসার সাথে তার নামেও ইউএসএ ভিসা করার জন্য বাধ্য করেন এবং অবৈধভাবে ইউএসওতে থেকে যাওয়ার পাঁয়তারা করেন। কোনো ধরনের টেকনিক্যাল ডকুমেন্টস ব্যতীত তার নাম প্রবেশ করানোই ইউএসএ এজেন্ট সকলের গ্যারান্টি লেটার বাতিল করে দেন । গত ০১ বছরে তিনি বিএসসি থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ভ্রমণ বিল নেন এবং কর্মকর্তাদের বিভাগ পরিবর্তনের লোভ দেখিয়ে ও অর্থ আদায় করেন। এছাড়া প্রায়ই মন্ত্রণালয়ের মিথ্যা ভয় দেখিয়ে বিএসসি’র কর্মকর্তাদের থেকে উপঢৌকন নেন এবং কোনো সমস্যায় তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে বলেন।
সরকারী বেতন দিয়ে তিনি কিভাবে তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়েকে ঢাকাতে ব্যয়বহুল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াচ্ছেন তা কারো বোধগম্য নয়। তিনি বিএসসি থেকে প্রদত্ত মোবাইল, ল্যাপটপ কিছু দিন ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে পুরাতন গুলো ফেরত না দিয়ে প্রশাসন বিভাগ থেকে পুনরায় নতুন মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে নেন যা সরকারী নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
এমনকি সম্প্রতি তার কথামত টেন্ডার এবং অন্যান্য কিছু বেআইনি কাজ না করায় মন্ত্রণালয় থেকে তার বাচম্যাট (উপসচিব-নাজমুন্নাহার)কে বিএসসিতে ডেকে এনে তার রুমে বসিয়ে কতিপয় সরলমনা কর্মকর্তাকে অশালীন ভাবে ধমক দেন এবং দুদকে দিবেন বলে হুমকি দেন,যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার চরম লঙ্ঘন।তার কারণে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা অত্যন্ত বিব্রত।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় বিএসসিতে সচিব পদে পদায়ন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আজ অব্দি কোন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কে অভিযোগ করলো? কোথায় করলো? এসবের আমি কিছুই জানি না।

ট্যাগস

সরকারের সহায়তায় নতুন দল গঠন করলে জনগণ মেনে নিবেনা : মির্জা ফখরুল

কি মধু আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে?

আপডেট টাইম : ১১:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এর সচিব সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম, উপসচিব (পরিচিতি নং-১৫৬৭৬) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসাদাচরণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে (বিএসসিতে) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে যোগদান করেন। এরপরই তার নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে অন্যতম হলো: খুলনার প্রাণকেন্দ্র বিএসসির অত্যন্ত মূল্যবান একটি জমি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি প্রাইভেট কোম্পানীকে নামমাত্র দামে ৫০ হাজার টাকায় লিজ দেন। বিএসসি’র তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে সম্পূর্ণ কাজটি তাঁর হাত দিয়ে সম্পাদিত হয়। এছাড়া মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মচারীদের পদোন্নতি ও লোভনীয় পদে বদলি নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

জমি দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলে তিনি এ থেকে বাঁচতে ২০২০ সালে বিএসসি হতে বদলি হয়ে যান কিন্তু পুনরায় বিএসসির মত লোভনীয় জায়গায় আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে বিএসসিতে সচিব হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন। বিএসসি’র সচিব পদটি মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) থেকে সিনিয়র এবং সম্মানের হওয়া সত্ত্বেও অর্থলোভী এই কর্মকর্তা সম্মানের চেয়ে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাকেই প্রাধান্য দেন। বিএসসি’র আর্থিক কমিটিতে সদস্য পদে নাম না থাকায় এটা নিয়ে তিনি বিভিন্ন দেন দরবার ও বিএসসি’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর সাথে ঝামেলা শুরু করেন। এমনকি বিএসসি’র কক্সবাজার পিকনিকে গিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে পুরো পবিরবারসহ থাকা ও খাওয়ার দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও নির্বাহী পরিচালক বাণিজ্য এর সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে অনুষ্ঠানকে পন্ড করে চলে আসেন। এরপর থেকে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকেন। তাঁর কারণে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বিএসসি থেকে চলে যান। তিনি অর্থের জন্য কোন নামমাত্র কারণ দেখিয়ে ঢাকা ভ্রমণ করে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ টি ভ্রমণ বিল আদায় করেন। তিনি সব সময় বিএসসির কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের ভয় দেখিয়ে থাকেন এবং এ্যাকশন নিবেন বলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হুমকি দেন।
এছাড়া তিনি প্রায় সপ্তাহে পরপর ০২ দিন ০২ টি আলাদা কাজ দেখিয়ে ঢাকা গিয়ে ঢাকা থেকে না এসে ০২ টি আলাদা ভ্রমণ বিল করেন। বিএসসি’র বিগত টেন্ডার গুলোতে প্রবেশ করতে সফল না হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তৎকালীন বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) ড. পিযুষ দত্ত এর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৫ অগাষ্ট পরবর্তী রদবদল এর সুযোগ নিয়ে জন প্রশাসনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওএসডি করান। তাছাড়াও যেকোন কর্মকর্তার জিও এর জন্য তিনি উপটৌকন দাবি করেন। কোন ধরণের টেকনিক্যাল ও কারিগরি জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের মিটিং এ যাওয়ার জন্য সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাধ্য করে তার নাম পাঠান কিন্তু পরবর্তীতে কোনো আর্থিক সুবিধা ( টিএ/ ডিএ) না থাকায় তিনি যাওয়া বাদ দেন যার কারণে উক্ত মিটিং বিএসসি তথা বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্ব বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়া বিএসসি’র জাহাজের ইন্সপেকশন এর জন্য টেকনিক্যাল অফিসার সাথে তার নামেও ইউএসএ ভিসা করার জন্য বাধ্য করেন এবং অবৈধভাবে ইউএসওতে থেকে যাওয়ার পাঁয়তারা করেন। কোনো ধরনের টেকনিক্যাল ডকুমেন্টস ব্যতীত তার নাম প্রবেশ করানোই ইউএসএ এজেন্ট সকলের গ্যারান্টি লেটার বাতিল করে দেন । গত ০১ বছরে তিনি বিএসসি থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ভ্রমণ বিল নেন এবং কর্মকর্তাদের বিভাগ পরিবর্তনের লোভ দেখিয়ে ও অর্থ আদায় করেন। এছাড়া প্রায়ই মন্ত্রণালয়ের মিথ্যা ভয় দেখিয়ে বিএসসি’র কর্মকর্তাদের থেকে উপঢৌকন নেন এবং কোনো সমস্যায় তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে বলেন।
সরকারী বেতন দিয়ে তিনি কিভাবে তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়েকে ঢাকাতে ব্যয়বহুল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াচ্ছেন তা কারো বোধগম্য নয়। তিনি বিএসসি থেকে প্রদত্ত মোবাইল, ল্যাপটপ কিছু দিন ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে পুরাতন গুলো ফেরত না দিয়ে প্রশাসন বিভাগ থেকে পুনরায় নতুন মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে নেন যা সরকারী নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
এমনকি সম্প্রতি তার কথামত টেন্ডার এবং অন্যান্য কিছু বেআইনি কাজ না করায় মন্ত্রণালয় থেকে তার বাচম্যাট (উপসচিব-নাজমুন্নাহার)কে বিএসসিতে ডেকে এনে তার রুমে বসিয়ে কতিপয় সরলমনা কর্মকর্তাকে অশালীন ভাবে ধমক দেন এবং দুদকে দিবেন বলে হুমকি দেন,যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার চরম লঙ্ঘন।তার কারণে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা অত্যন্ত বিব্রত।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় বিএসসিতে সচিব পদে পদায়ন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আজ অব্দি কোন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কে অভিযোগ করলো? কোথায় করলো? এসবের আমি কিছুই জানি না।

কি মধু আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে?

বিশেষ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এর সচিব সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম, উপসচিব (পরিচিতি নং-১৫৬৭৬) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসাদাচরণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে (বিএসসিতে) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে যোগদান করেন। এরপরই তার নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে অন্যতম হলো: খুলনার প্রাণকেন্দ্র বিএসসির অত্যন্ত মূল্যবান একটি জমি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি প্রাইভেট কোম্পানীকে নামমাত্র দামে ৫০ হাজার টাকায় লিজ দেন। বিএসসি’র তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে সম্পূর্ণ কাজটি তাঁর হাত দিয়ে সম্পাদিত হয়। এছাড়া মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মচারীদের পদোন্নতি ও লোভনীয় পদে বদলি নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
জমি দুর্নীতির তদন্ত শুরু হলে তিনি এ থেকে বাঁচতে ২০২০ সালে বিএসসি হতে বদলি হয়ে যান কিন্তু পুনরায় বিএসসির মত লোভনীয় জায়গায় আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে বিএসসিতে সচিব হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন। বিএসসি’র সচিব পদটি মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) থেকে সিনিয়র এবং সম্মানের হওয়া সত্ত্বেও অর্থলোভী এই কর্মকর্তা সম্মানের চেয়ে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাকেই প্রাধান্য দেন। বিএসসি’র আর্থিক কমিটিতে সদস্য পদে নাম না থাকায় এটা নিয়ে তিনি বিভিন্ন দেন দরবার ও বিএসসি’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর সাথে ঝামেলা শুরু করেন। এমনকি বিএসসি’র কক্সবাজার পিকনিকে গিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে পুরো পবিরবারসহ থাকা ও খাওয়ার দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও নির্বাহী পরিচালক বাণিজ্য এর সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে অনুষ্ঠানকে পন্ড করে চলে আসেন। এরপর থেকে মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকেন। তাঁর কারণে তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বিএসসি থেকে চলে যান। তিনি অর্থের জন্য কোন নামমাত্র কারণ দেখিয়ে ঢাকা ভ্রমণ করে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ টি ভ্রমণ বিল আদায় করেন। তিনি সব সময় বিএসসির কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয়ের ভয় দেখিয়ে থাকেন এবং এ্যাকশন নিবেন বলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হুমকি দেন।
এছাড়া তিনি প্রায় সপ্তাহে পরপর ০২ দিন ০২ টি আলাদা কাজ দেখিয়ে ঢাকা গিয়ে ঢাকা থেকে না এসে ০২ টি আলাদা ভ্রমণ বিল করেন। বিএসসি’র বিগত টেন্ডার গুলোতে প্রবেশ করতে সফল না হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তৎকালীন বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) ড. পিযুষ দত্ত এর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ৫ অগাষ্ট পরবর্তী রদবদল এর সুযোগ নিয়ে জন প্রশাসনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওএসডি করান। তাছাড়াও যেকোন কর্মকর্তার জিও এর জন্য তিনি উপটৌকন দাবি করেন। কোন ধরণের টেকনিক্যাল ও কারিগরি জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ভারতের গোয়াতে অনুষ্ঠিত ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের মিটিং এ যাওয়ার জন্য সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাধ্য করে তার নাম পাঠান কিন্তু পরবর্তীতে কোনো আর্থিক সুবিধা ( টিএ/ ডিএ) না থাকায় তিনি যাওয়া বাদ দেন যার কারণে উক্ত মিটিং বিএসসি তথা বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিত্ব বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়া বিএসসি’র জাহাজের ইন্সপেকশন এর জন্য টেকনিক্যাল অফিসার সাথে তার নামেও ইউএসএ ভিসা করার জন্য বাধ্য করেন এবং অবৈধভাবে ইউএসওতে থেকে যাওয়ার পাঁয়তারা করেন। কোনো ধরনের টেকনিক্যাল ডকুমেন্টস ব্যতীত তার নাম প্রবেশ করানোই ইউএসএ এজেন্ট সকলের গ্যারান্টি লেটার বাতিল করে দেন । গত ০১ বছরে তিনি বিএসসি থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ভ্রমণ বিল নেন এবং কর্মকর্তাদের বিভাগ পরিবর্তনের লোভ দেখিয়ে ও অর্থ আদায় করেন। এছাড়া প্রায়ই মন্ত্রণালয়ের মিথ্যা ভয় দেখিয়ে বিএসসি’র কর্মকর্তাদের থেকে উপঢৌকন নেন এবং কোনো সমস্যায় তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে বলেন।
সরকারী বেতন দিয়ে তিনি কিভাবে তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়েকে ঢাকাতে ব্যয়বহুল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াচ্ছেন তা কারো বোধগম্য নয়। তিনি বিএসসি থেকে প্রদত্ত মোবাইল, ল্যাপটপ কিছু দিন ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে পুরাতন গুলো ফেরত না দিয়ে প্রশাসন বিভাগ থেকে পুনরায় নতুন মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে নেন যা সরকারী নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
এমনকি সম্প্রতি তার কথামত টেন্ডার এবং অন্যান্য কিছু বেআইনি কাজ না করায় মন্ত্রণালয় থেকে তার বাচম্যাট (উপসচিব-নাজমুন্নাহার)কে বিএসসিতে ডেকে এনে তার রুমে বসিয়ে কতিপয় সরলমনা কর্মকর্তাকে অশালীন ভাবে ধমক দেন এবং দুদকে দিবেন বলে হুমকি দেন,যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার চরম লঙ্ঘন।তার কারণে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা অত্যন্ত বিব্রত।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতায় বিএসসিতে সচিব পদে পদায়ন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আজ অব্দি কোন দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কে অভিযোগ করলো? কোথায় করলো? এসবের আমি কিছুই জানি না।