ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকার কঠোর: বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে কংক্রিট ব্লক বাউফলে পৃথকভাবে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন আদমদিঘিতে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা- র‌্যালি সুন্দরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিকে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি ক্রীড়াঙ্গনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আমিনুল হকের ইডেন মহিলা কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ! গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ডঃ মঈনুল ইসলামের অবৈধ সম্পদের পাহাড়! ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজদিখানে বিএনপি’র র‍্যালি নাটোরে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান শরীয়তপুরে সিপিবি’র জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মিরপুরের ভূমিদস্যু জসিম দখল করলেন দুদকের ক্রোককৃত সম্পত্তি

রাজধানীর মিরপুর শাহআলী এলাকায় গোদারাঘাট এইচ ব্লক ১৮ নম্বর রোডে ১৬ ও ১৭ নম্বর প্লট ১০ কাঠা জমি ক্রোক করনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উক্ত সম্পত্তিটি ওয়াকফর, সিটি জরিপে মিরপুর এলাকার শমসের আলী নামে এক ব্যক্তির নাম থাকায় শমসের আলী গংরা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি বলে দাবী করেন। এবং শমসের আলী ওয়াকফর ওই সম্পত্তি তার মেয়ে শারমীন আরা জেসমীনকে হেবা দলিলের মধ্যেমে ওই সম্পত্তির মালিক বানিয়ে দেন বলে জানা যায়। সিটি জরিপ সংশোধনের জন্য সরকার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত ঢাকা জেলা রেজিষ্ট্রারকে উক্ত বর্নিত সম্পত্তিটি ক্রোকের আদেশ দেন। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পত্তিটি ক্রোক করেন, এবং ক্রোকে উল্লেখ করেন, ক্রোককৃত স্থাবর সম্পাদ কোন অবস্থাতেই কোন ব্যাক্তি ভোগদখল, হস্তান্তর ও বিনিময় করতে পারবে না। যাহার পারমিশন পিটিশন নম্বর ৩০৩/২০২৫।
এরপরও শমসের আলীর মেয়ে শারমীন আরা জেসমীন ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমিটি দখল করে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুত্রে জানা যায় প্লটটি সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি রিকশার গ্যারেজ বানিয়ে ১০/১২ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছিলেন। এরপর ভূমিদস্যু জসিম, দখলকৃত সোহেল রানাকে প্রসাশন দিয়ে তুলে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে ভয় দেখিয়ে ওই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন।
সোহেল রানা জানান আমার কোন কাগজ পত্র না থাকায় জোর করতে পারিনি তবে জসিমেরও কোন কাগজপত্র নেই কারণ আমরা জানি এটি ওয়াকফর সম্পত্তি।
জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দেন এবং বলেন ওই ১০ কাঠা জমি আমার শ্বশুর শমসের আলীর নামে সিটি জরিপ হয় এবং তার মেয়ে আমার স্ত্রী শারমীন আরা জেসমীনকে হেবা দলিল করে দেন। দুদকের নোটিশের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন তারা তো এখানে কোন রিসিভার দেননি তাই আমরা ভোগদখলে নিয়েছি। সুত্রে জানা যায়, পট পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে জসিম ভয়ংকর হয়ে ওঠেন।
জমিটি রাস্তা থেকে নিচে হওয়ায় সোহেল ঘরবাড়ি না তুলে রিকশার গ্যারেজ ভাড়া দিয়ে চলতো, এখন ভূমিদস্যু জসিম জমিটিতে মাটি দিয়ে ভরাট করে বহুতল ভবণের ধান্দা করে বসে আছে। এলাকাবাসি জানান এই ১৮ নম্বর রোডে কোন বাড়ির কাগজপত্র নেই। সব সম্পত্তি ওয়াকফোর, সবাই এখন জোর করে ভোগদখল করছে। তাই জসিমের বা তার ওয়াইফের নামে এখানে কোন সম্পত্তি নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে কথা বললে জানাই দুদকের ক্রোককৃত কোন সম্পত্তিতে কেউ ভোগদখল করতে পারবে না।
ভূমিদস্যু জসিম কথার মার প্যাচে আটকে গেলে এক পর্যয়ে প্রতিবেদকের পকেটে জোর করে টাকা দিতে চাইলে প্রতিবেদক ওই টাকা নাকচ করেদেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকার কঠোর: বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে কংক্রিট ব্লক

মিরপুরের ভূমিদস্যু জসিম দখল করলেন দুদকের ক্রোককৃত সম্পত্তি

আপডেট টাইম : ০৮:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

রাজধানীর মিরপুর শাহআলী এলাকায় গোদারাঘাট এইচ ব্লক ১৮ নম্বর রোডে ১৬ ও ১৭ নম্বর প্লট ১০ কাঠা জমি ক্রোক করনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উক্ত সম্পত্তিটি ওয়াকফর, সিটি জরিপে মিরপুর এলাকার শমসের আলী নামে এক ব্যক্তির নাম থাকায় শমসের আলী গংরা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি বলে দাবী করেন। এবং শমসের আলী ওয়াকফর ওই সম্পত্তি তার মেয়ে শারমীন আরা জেসমীনকে হেবা দলিলের মধ্যেমে ওই সম্পত্তির মালিক বানিয়ে দেন বলে জানা যায়। সিটি জরিপ সংশোধনের জন্য সরকার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত ঢাকা জেলা রেজিষ্ট্রারকে উক্ত বর্নিত সম্পত্তিটি ক্রোকের আদেশ দেন। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পত্তিটি ক্রোক করেন, এবং ক্রোকে উল্লেখ করেন, ক্রোককৃত স্থাবর সম্পাদ কোন অবস্থাতেই কোন ব্যাক্তি ভোগদখল, হস্তান্তর ও বিনিময় করতে পারবে না। যাহার পারমিশন পিটিশন নম্বর ৩০৩/২০২৫।
এরপরও শমসের আলীর মেয়ে শারমীন আরা জেসমীন ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমিটি দখল করে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুত্রে জানা যায় প্লটটি সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি রিকশার গ্যারেজ বানিয়ে ১০/১২ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছিলেন। এরপর ভূমিদস্যু জসিম, দখলকৃত সোহেল রানাকে প্রসাশন দিয়ে তুলে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে ভয় দেখিয়ে ওই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন।
সোহেল রানা জানান আমার কোন কাগজ পত্র না থাকায় জোর করতে পারিনি তবে জসিমেরও কোন কাগজপত্র নেই কারণ আমরা জানি এটি ওয়াকফর সম্পত্তি।
জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দেন এবং বলেন ওই ১০ কাঠা জমি আমার শ্বশুর শমসের আলীর নামে সিটি জরিপ হয় এবং তার মেয়ে আমার স্ত্রী শারমীন আরা জেসমীনকে হেবা দলিল করে দেন। দুদকের নোটিশের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন তারা তো এখানে কোন রিসিভার দেননি তাই আমরা ভোগদখলে নিয়েছি। সুত্রে জানা যায়, পট পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে জসিম ভয়ংকর হয়ে ওঠেন।
জমিটি রাস্তা থেকে নিচে হওয়ায় সোহেল ঘরবাড়ি না তুলে রিকশার গ্যারেজ ভাড়া দিয়ে চলতো, এখন ভূমিদস্যু জসিম জমিটিতে মাটি দিয়ে ভরাট করে বহুতল ভবণের ধান্দা করে বসে আছে। এলাকাবাসি জানান এই ১৮ নম্বর রোডে কোন বাড়ির কাগজপত্র নেই। সব সম্পত্তি ওয়াকফোর, সবাই এখন জোর করে ভোগদখল করছে। তাই জসিমের বা তার ওয়াইফের নামে এখানে কোন সম্পত্তি নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে কথা বললে জানাই দুদকের ক্রোককৃত কোন সম্পত্তিতে কেউ ভোগদখল করতে পারবে না।
ভূমিদস্যু জসিম কথার মার প্যাচে আটকে গেলে এক পর্যয়ে প্রতিবেদকের পকেটে জোর করে টাকা দিতে চাইলে প্রতিবেদক ওই টাকা নাকচ করেদেন।