ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত পাবনায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মানববন্ধন পলাশে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.)’র জশনে জুলুস সিরাজদিখানে ঈদে মিলাদুন্নবী ও জসনে জুলুস পালিত শরীয়তপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর নদীতে পাওয়া রেজাউল বয়াতির লাশের রহস্য উদঘাটন বাউফলে সেই মাদ্রাসার তালা ভাঙ্গার ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত সম্পন্ন, দ্রুত ব্যবস্থা তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার কর্মসূচি জনমনে আশা জাগিয়েছে : কফিলউদ্দিন আহমেদ ভোলায় মনপুরা আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার
মন্ত্রী,সচিব,প্রধান প্রকৌশলী তার পকেটে :

৫ বছর যাবত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে লুটপাট করছেন গণপূর্তের নিবাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা!

নগর গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ হোসেন ডিলুর মাধ্যমে রাজশাহী থেকে ঢাকায় বদলী হয়ে আসেন। বনে যান প্রতিমন্ত্রীর একান্ত লোক। তাকে সব রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে গণপূর্তের অঘোষিত ‘রাজা’ বনে যান। এরপরই তার ডিভিশনে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ হতে থাকে। আর কাগজ কলমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে লুটে নেন কোটি কোটি টাকা।

সুত্রমতে, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী দোসর শরীফ হোসেন ডিলুর ইচ্ছায় রাজশাহী থেকে তাকে বদলী করে ঢাকায় আনা হয়। এরপর পদায়ন করা হয় ঢাকা শেরে বাংলা নগর -৩ নং ডিভিশনে । সেখান থেকে লুটপাট করার পর সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুর মুক্তাদুরের আমলে বিশেষ তদবীরে ঢাকা -৪ ডিভিশনে পদায়ন পান। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে তিনি ৫ বছর চাকুরী করেছেন। এসব ডিভিশনে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থেকে অবৈধ পথে আয় করেছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। আর সে সব টাকায় হাতের মুঠিতে ধরে রেখেছেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে। কথিত আছে যে, যখন যে মন্ত্রী ,সচিব ক্ষমতায় আসেন তখনই সেই মন্ত্রী, সচিবের একান্ত লোক বনে যান প্রকৌশলী মো: মাসুদ রানা।
এ ছাড়াও তিনি প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারকে নিজের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। যে কারণে ঢাকার বাইরে তার বদলী হয় না। ঘুরে ফিরে ঢাকা ডিভিশনের মধ্যেই আছেন গত ৫ বছর। অথচ: ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলে সরকারী সমস্ত দপ্তরে ব্যাপক রদবদল করে আওয়ামী সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ আছে যে, তিনি রাজশাহী ডিভিশনের লোক হওয়ায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো: শাহাবুদ্দীন চুপ্পুর সাথেও বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার বাসায় ঘনঘন যাতায়াত করেন। তার ক্ষমতার প্রভাবও বিস্তার করেছেন গণপূর্তে। ঢাকার অভিজাত এলাকার ফাইভ স্টার হোটেলে সুন্দরী নারীদের নিয়ে় রঙ্গলীলা করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। জুলাইয় ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে থাকা এই নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্তের ঠিকাদার মহলে মিস্টার ১৫% রানা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩ এ থাকা অবস্থায় তিনি হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডারে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রাক্কলন, টেন্ডারের তথ্য ফাঁস, দর-কষাকষির নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বর্তমানে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ -৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে একই লুটপাটের ধারা বজায় রেখেছেন।
তার বিরুদ্ধে একটি স্পর্শকাতর অভিযোগ হলো-তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মিরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। এবং আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় নেতা সাবেক এমপি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের কথামত সব কাজ করতেন। এ নিয়ে শেরে বাংলা নগর থানার সামনে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পরে মুঠো ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি জানান…….।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আদমদীঘিতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের বৃক্ষরোপন

মন্ত্রী,সচিব,প্রধান প্রকৌশলী তার পকেটে :

৫ বছর যাবত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে লুটপাট করছেন গণপূর্তের নিবাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা!

আপডেট টাইম : ১০:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

নগর গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ হোসেন ডিলুর মাধ্যমে রাজশাহী থেকে ঢাকায় বদলী হয়ে আসেন। বনে যান প্রতিমন্ত্রীর একান্ত লোক। তাকে সব রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে গণপূর্তের অঘোষিত ‘রাজা’ বনে যান। এরপরই তার ডিভিশনে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ হতে থাকে। আর কাগজ কলমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে লুটে নেন কোটি কোটি টাকা।

সুত্রমতে, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী দোসর শরীফ হোসেন ডিলুর ইচ্ছায় রাজশাহী থেকে তাকে বদলী করে ঢাকায় আনা হয়। এরপর পদায়ন করা হয় ঢাকা শেরে বাংলা নগর -৩ নং ডিভিশনে । সেখান থেকে লুটপাট করার পর সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুর মুক্তাদুরের আমলে বিশেষ তদবীরে ঢাকা -৪ ডিভিশনে পদায়ন পান। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে তিনি ৫ বছর চাকুরী করেছেন। এসব ডিভিশনে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থেকে অবৈধ পথে আয় করেছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। আর সে সব টাকায় হাতের মুঠিতে ধরে রেখেছেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে। কথিত আছে যে, যখন যে মন্ত্রী ,সচিব ক্ষমতায় আসেন তখনই সেই মন্ত্রী, সচিবের একান্ত লোক বনে যান প্রকৌশলী মো: মাসুদ রানা।
এ ছাড়াও তিনি প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারকে নিজের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। যে কারণে ঢাকার বাইরে তার বদলী হয় না। ঘুরে ফিরে ঢাকা ডিভিশনের মধ্যেই আছেন গত ৫ বছর। অথচ: ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হলে সরকারী সমস্ত দপ্তরে ব্যাপক রদবদল করে আওয়ামী সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ আছে যে, তিনি রাজশাহী ডিভিশনের লোক হওয়ায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো: শাহাবুদ্দীন চুপ্পুর সাথেও বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার বাসায় ঘনঘন যাতায়াত করেন। তার ক্ষমতার প্রভাবও বিস্তার করেছেন গণপূর্তে। ঢাকার অভিজাত এলাকার ফাইভ স্টার হোটেলে সুন্দরী নারীদের নিয়ে় রঙ্গলীলা করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। জুলাইয় ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে থাকা এই নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্তের ঠিকাদার মহলে মিস্টার ১৫% রানা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩ এ থাকা অবস্থায় তিনি হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডারে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রাক্কলন, টেন্ডারের তথ্য ফাঁস, দর-কষাকষির নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বর্তমানে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ -৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে একই লুটপাটের ধারা বজায় রেখেছেন।
তার বিরুদ্ধে একটি স্পর্শকাতর অভিযোগ হলো-তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মিরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। এবং আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রিয় নেতা সাবেক এমপি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের কথামত সব কাজ করতেন। এ নিয়ে শেরে বাংলা নগর থানার সামনে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পরে মুঠো ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি জানান…….।