প্রশস্ত আরসিসি ঢালাই রাস্তা, কোথাও নেই খানাখন্দ। তারপরেও সামান্য বৃষ্টি হলেই সেই রাস্তায় জমে থাকে আধ-হাটু পানি! ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। দুপাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিসহ আশেপাশের বাসা-বাড়ির নোংরা ও দুষিত পানি এসে বেশ কয়েকদিন জমে থাকে এই রাস্তায়। যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি পথচারীদের গায়ে লেগে চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই!
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কের সুবিদখালী তেমাথা এলাকার কিছু অংশে বৃষ্টি এলেই এমনই চিত্র দেখা যায়।
পথচারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত মহাসড়কটি অত্র উপজেলার প্রধান সড়ক হওয়ায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের জনসাধারণকেই এই পথ দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়েই হেটে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও উপজেলার অফিস-আদালত ও হাট-বাজারে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তো চলাচল করেই। কিন্তু রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলেই আধা-হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। দুপাশে কোন পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই পানি জমে থাকে। তখন এই পানির মধ্য দিয়েই মানুষ চলাচল করে। এসময় পাশ থেকে কোন যানবাহন গেলেই পানি ছিটকে গায়ে লেগে ভিজে যাওয়ার পাশাপাশি চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্ম রোগেও আক্রান্ত হয়। সেইসাথে আশেপাশের বাসা-বাড়ির নোংরা ও দূষিত পানি থাকার কারনে চরম দুর্গন্ধও ছড়ায়। ফলে স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছে সুরক্ষিত ড্রেনেজের ব্যবস্থাসহ বাসা-বাড়ির নোংরা পানি ফালানো বন্ধের জোড় দাবি জানান।
পথচারী আলাল ও রাসেল বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর হাঁটা যায় না। তখন এক হাতে জুতা নিয়ে আরেক হাতে নাক চেপে হাঁটতে হয়। শরীরের কোথাও পানি লাগলেই চুলকায়। আর হাটার সময় পাশ দিয়ে কোন যানবাহন গেলেই নিজেরা তো ভিজে যাইই সাথে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বই-খাতাও ভিজে যায়। রাস্তাটিতে খুব দ্রুত ড্রেন নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরী। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, খুব শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তাটির পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।