ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে মাসুদ রানা ও নান্নুর ভয়ংকর সিন্ডিকেট! ষড়যন্ত্রকারী যত চেষ্টাই করুক; সফল হবে না, জনগণের সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস বয়সী দুই যজম কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগ পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রে ফাঁসলেন রাজউক উপপরিচালক ও তার স্ত্রী পবিত্র আশুরায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান আমিনুল হকের শওকত আলী ইমনের সুরে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের থিম সং মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ একর জায়গা উদ্ধার

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশের সুপরিচিত সামাজিক সংগঠন দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন -এর নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকার রামপুরাকে তাঁর নিজ বাসভবনে গিয়ে এই সাক্ষাৎ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান অপূর্ব ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

সাক্ষাৎকালে তারা এই কিংবদন্তি শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দীর্ঘ সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আসন্ন একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হয় আনোয়ারার কাছ থেকে। জবাবে তিনি বলেন,তোমার পরিকল্পনা ভালো, এগিয়ে যাও। আমি পাশে আছি।তিনি আরও জানান,আগের মতো এখন আর যেতে পারি না। বয়স হয়েছে, শরীর ঠিক নেই। তবে আমার মেয়ে রুমানা ইসলাম (মুক্তি) সবসময় তোমাদের পাশে থাকবে।

দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সৌজন্য সাক্ষাৎ কেবল সম্মান প্রদর্শনের অংশ নয়, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শিল্প ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আনোয়ারা জামাল ১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। নৃত্যশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও মাত্র ১৪–১৫ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে ‘আজান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক ঘটে। এরপর ‘উত্তরণ’ ও ‘নাচঘর’–এ অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

১৯৬৭ সালে ‘বালা’ ছবিতে প্রথমবার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে আলেয়া চরিত্রে অভিনয়।

তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে: ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সখিনার যুদ্ধ’
সেরা অভিনেত্রী‘শুভদা’
(১৯৮৬),আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ২০২০ সালে।

২০২২ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আনোয়ারার স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তিতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলে জানায় পরিবার। তাঁর দেখাশোনা করছেন একমাত্র মেয়ে রুমানা ইসলাম মুক্তি, যিনি নিজেও একজন সফল অভিনেত্রী।
আনোয়ারা বেগম ঢাকাই চলচ্চিত্রে একজন সুপরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি বহু বছর ধরে নায়িকা ও মা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন কিংবদন্তী এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও তার পরিবার।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেট টাইম : ০১:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশের সুপরিচিত সামাজিক সংগঠন দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন -এর নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকার রামপুরাকে তাঁর নিজ বাসভবনে গিয়ে এই সাক্ষাৎ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান অপূর্ব ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

সাক্ষাৎকালে তারা এই কিংবদন্তি শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর দীর্ঘ সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আসন্ন একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হয় আনোয়ারার কাছ থেকে। জবাবে তিনি বলেন,তোমার পরিকল্পনা ভালো, এগিয়ে যাও। আমি পাশে আছি।তিনি আরও জানান,আগের মতো এখন আর যেতে পারি না। বয়স হয়েছে, শরীর ঠিক নেই। তবে আমার মেয়ে রুমানা ইসলাম (মুক্তি) সবসময় তোমাদের পাশে থাকবে।

দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সৌজন্য সাক্ষাৎ কেবল সম্মান প্রদর্শনের অংশ নয়, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শিল্প ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আনোয়ারা জামাল ১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। নৃত্যশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও মাত্র ১৪–১৫ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে ‘আজান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক ঘটে। এরপর ‘উত্তরণ’ ও ‘নাচঘর’–এ অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

১৯৬৭ সালে ‘বালা’ ছবিতে প্রথমবার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে আলেয়া চরিত্রে অভিনয়।

তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে: ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সখিনার যুদ্ধ’
সেরা অভিনেত্রী‘শুভদা’
(১৯৮৬),আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ২০২০ সালে।

২০২২ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আনোয়ারার স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তিতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলে জানায় পরিবার। তাঁর দেখাশোনা করছেন একমাত্র মেয়ে রুমানা ইসলাম মুক্তি, যিনি নিজেও একজন সফল অভিনেত্রী।
আনোয়ারা বেগম ঢাকাই চলচ্চিত্রে একজন সুপরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি বহু বছর ধরে নায়িকা ও মা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন কিংবদন্তী এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও তার পরিবার।