ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকার কঠোর: বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে কংক্রিট ব্লক বাউফলে পৃথকভাবে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন আদমদিঘিতে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা- র‌্যালি সুন্দরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিকে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি ক্রীড়াঙ্গনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আমিনুল হকের ইডেন মহিলা কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ! গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ডঃ মঈনুল ইসলামের অবৈধ সম্পদের পাহাড়! ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজদিখানে বিএনপি’র র‍্যালি নাটোরে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান শরীয়তপুরে সিপিবি’র জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মির্জাগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীকে চায়ের দোকান দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা

বাবা প্রতিবন্ধী ছিলেন, বাবা ৭ বছর আগে মারা গেছেন, মা সে অসুস্থ, কোন কাজকর্ম করতে পারেনা, ভাই সে প্রতিবন্ধী, আমি নিজেও প্রতিবন্ধী, গরিব মানুষ উপার্জন করার মত কোন লোক নেই, সংসার চলে না, মা অসুস্থ শরীর নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে।
একদিন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে গেলাম, অফিসে গিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মহোদয়ের কাছে সমস্যাগুলো বললাম। তিনি কথাগুলো শুনে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় চিন্তা করে আমাকে বললো তোমাকে আমি ১০০০ বা ২০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করবো না। তোমাকে যদি একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দেই, তুমি কি দোকান চালাতে পারবে, আমি বললাম স্যার পারবো। তখন নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মহোদয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলেন, তখন সমাজসেবা অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বললেন,
ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান আওতায় ৫০০০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে। যেই কথা সেই কাজ।
শুরু করলেন অফিসিয়াল প্রক্রিয়া, প্রক্রিয়া শেষে অসহায় প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সিমার পাশে দাঁড়ালেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২০২৫ – ২৬ অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে চায়ের দোকান ও মালামাল প্রদান করেছেন প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সিমাকে। উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের শৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাবিব আকনের মেয়ে প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সীমা।
প্রতিবন্ধী সিমা বলেন,
স্যারের প্রতি অনেক খুশি, এই দোকানের মাধ্যমে কিছুটা অভাব দূর হবে।
সমাজসেবা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা তার পাশে আছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন,
তিনি আমার কাছে এসে তার সমস্যাগুলো বলেন, তারা একটি অসহায় পরিবার তাদের উপার্জন করার মত কেউ নেই,তিনি প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে তাকে স্থায়ী একটি উপার্জনে ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকার কঠোর: বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে কংক্রিট ব্লক

মির্জাগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীকে চায়ের দোকান দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা

আপডেট টাইম : ১২:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাবা প্রতিবন্ধী ছিলেন, বাবা ৭ বছর আগে মারা গেছেন, মা সে অসুস্থ, কোন কাজকর্ম করতে পারেনা, ভাই সে প্রতিবন্ধী, আমি নিজেও প্রতিবন্ধী, গরিব মানুষ উপার্জন করার মত কোন লোক নেই, সংসার চলে না, মা অসুস্থ শরীর নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে।
একদিন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে গেলাম, অফিসে গিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মহোদয়ের কাছে সমস্যাগুলো বললাম। তিনি কথাগুলো শুনে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় চিন্তা করে আমাকে বললো তোমাকে আমি ১০০০ বা ২০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য করবো না। তোমাকে যদি একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দেই, তুমি কি দোকান চালাতে পারবে, আমি বললাম স্যার পারবো। তখন নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মহোদয় মির্জাগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলেন, তখন সমাজসেবা অফিসার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বললেন,
ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান আওতায় ৫০০০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে। যেই কথা সেই কাজ।
শুরু করলেন অফিসিয়াল প্রক্রিয়া, প্রক্রিয়া শেষে অসহায় প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সিমার পাশে দাঁড়ালেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২০২৫ – ২৬ অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে চায়ের দোকান ও মালামাল প্রদান করেছেন প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সিমাকে। উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের শৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাবিব আকনের মেয়ে প্রতিবন্ধী মোসাম্মৎ সীমা।
প্রতিবন্ধী সিমা বলেন,
স্যারের প্রতি অনেক খুশি, এই দোকানের মাধ্যমে কিছুটা অভাব দূর হবে।
সমাজসেবা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা তার পাশে আছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন,
তিনি আমার কাছে এসে তার সমস্যাগুলো বলেন, তারা একটি অসহায় পরিবার তাদের উপার্জন করার মত কেউ নেই,তিনি প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে তাকে স্থায়ী একটি উপার্জনে ব্যবস্থা করে দিয়েছি।