ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখানে বাসাইল ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত লাজফার্মার ঔষধ খেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন (পর্ব-১) নওগাঁ ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের নির্বাচন তফসিল ঘোষণা নওগাঁয় সাবেক স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল: থানায় মামলা না নেবার অভিযোগ তারেক রহমানের জন্মদিনে নওগাঁয় দোয়া ও খাবার বিতরণ মাগুরা-২ আসনে পরিবর্তনের হাওয়া মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তৃণমূলের সমাবেশ পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু মাগুরা ২ আসনে কাজী কামালের লক্ষ্যাধিক লোকের সমাবেশের প্রস্তুতি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

লাজফার্মার ঔষধ খেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন (পর্ব-১)

প্রেসক্রিপশনে আছে এক ঔষধ ফার্মেসী দিয়েছে অন্য ঔষধ আর সেই ঔষধ সেবন করে ধানমন্ডী গ্রীন লাইফ হাসপাতালে দীর্ঘ প্রায় ১ মাস ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন খালেদা আক্তার রিনা নামে এক মহিলা। খালেদা আক্তার রিনা মিরপুর চিড়িয়াখানার পাশে কামাল হাউজিংয়ে থাকেন।
গত ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে রাজধানী মিরপুর ১ নম্বর শাহআলী থানাধীন চিড়িয়াখানা রোড রাইনখোলা মোড়ে অবস্থিত লাজফার্মা। খালেদা আক্তার রিনা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঔষধ ক্রয় করতে যান ওই ফার্মেসীতে। প্রেসক্রিপশনে ছিলো মেথোফ্লেক্স ৫০০ এমজি আর লাজফার্মা দিয়ে ছিলেন মিথোট্রেক্স ১০ এমজি একপাতা অর্থাৎ ১০টি ট্যাবলেট। মেথোফ্লেক্স আর মিথোট্রেক্স দুইটায় ভিন্ন গ্রুপের ঔষধ। লাজফার্মার ১০ এমজি মিথোট্রেক্স ঔষধ সেবন করে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং শরীরের অবনতি দেখা দিলে তখন তার পরিবারের লোকজন দ্রুত ১ নভেম্বর ইং তারিখে মিরপুর শিয়ালবাড়ী ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইবনে সিনা হাসপাতাল খালেদা আক্তার রিনার অবস্থা অশংকাজনক দেখে ওই দিনে ফেরত দেন, এবং উনাকে দ্রুত রাজধানীর ধানমন্ডী গ্রীন লাইফ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করেন। আইসিইউতে থাকার খবর পেয়ে লাজফার্মার ম্যানেজার মোঃ ওবাদুল গ্রীনলাইফ হাসপাতালে বেশ কয়েকবার দেখতে যান এবং প্রতিষ্ঠানের সম্মান বাচাতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চিকিৎসাবাবদ দেন। চিকিৎসাবাবদ সব টাকা দিবেন বলে প্রশ্রুতিদেন লাজফার্মার ম্যানেজার মোঃ ওবাদুল রহমান।
খালেদা আক্তার রিনা ১ নভেম্বর থেকে ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত আইসিইউতি ছিলেন এবং ৬ই নভেম্বর কেবিনে আনেন। জানা যায় লাজফার্মার ভুলভাল ঔষধ মিথোট্রেক্স ১০ এমজি ঔষধ খাওয়ার কারণে খালেদা আক্তার রিনার শরীরে ঔষধের প্রতিক্রিয়ায় কিডনি ও লিভার ড্যামেজ হয়ে গেছে এবং মাথার চুল ভ্রু উঠে যাচ্ছে বর্তমানে হাসপালটিতেই চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছেন। বর্তমানে লাজফার্মার কেহর কোন খোজ না পেয়ে খালেদা আক্তার রিনার স্বামী ও তার ছেলে-মেয়ে ১১ নভেম্বের মিরপুর রাইন খোলার মোড়ে লাজফার্মায় চিকিৎসার টাকার জন্য যান। সেখানে গেলে ম্যানেজার ওবায়দুল ও পরিচালক বেলালের ছোট ভাই জিলাল তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন বিভিন্ন হুমকী ধামকীদেন এবং চিকিৎসাবাবদ কোন টাকা দিবেনা বলে জানান। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা হাজির হন লাজফার্মায় তখন পরিচালক আকবর ও বেলাল চিকিৎসাবাদ যে টাকা লাগবে সেই টাকা দিবেন বলে জানান।
১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফেয়ারপ্লাজার ১০ম তলায় এক ডেভেলপারের অফিসে বসে মিমাংশা হয় তারা চিকিৎসা বাবদ আর চার লাখ টাকা দিবে এবং সাদা কাগজে খসড়া লিখিত করেন এবং উপস্থিত সবার স্বাক্ষর নেন, আজও সেই টাকা পরিশোধ করেননি।
এখন টাকাতো দুরের কথা উল্টো রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে শাহআলী থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন লাজফার্মার ম্যানেজার মোঃ ওবায়দুল। অভিযোগটি এসআই রুবেল তদন্ত করছেন।
সুত্রে জানা যায়, মিরপুর রাইণখোলার মোড়ে কিছু আওয়ামীলীগের দোসরদের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাইনবোর্ড বিক্রি করেছেন মূল মালিক উদ্যোক্তা লুৎফর রহমান। সাইনবোর্ড ক্রেতাকে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা দিতে হয় মূল মালিককে এবং এককালিন ৬০ লাখ টাকা ৫ বছরের জন্য দিতে হয় আর প্রতিমাসে দিতে হয় ১ লাখ টাকা। কিন্তু ওষুধ, প্রসাধনী ও খাদ্যপণ্যের মান নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই প্রতিষ্ঠানটির। আর আগেও লাজফার্মার আন্য শাখায় নকল ওষুধ বিক্রিরদায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে অভিযোগ আছে, মান নিয়ন্ত্রণ, সেবা নিশ্চিতের বিপরীতে গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করছে ওই আওয়ামী দোসররা। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। বিভিন্ন সময় ভোক্তারা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার ও অসহযোগিতা করেন বলে জানান ভোক্তারা। এসব অভিযোগের কোনো প্রতিকার নেই।

ট্যাগস

সিরাজদিখানে বাসাইল ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত

লাজফার্মার ঔষধ খেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ১২:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

প্রেসক্রিপশনে আছে এক ঔষধ ফার্মেসী দিয়েছে অন্য ঔষধ আর সেই ঔষধ সেবন করে ধানমন্ডী গ্রীন লাইফ হাসপাতালে দীর্ঘ প্রায় ১ মাস ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন খালেদা আক্তার রিনা নামে এক মহিলা। খালেদা আক্তার রিনা মিরপুর চিড়িয়াখানার পাশে কামাল হাউজিংয়ে থাকেন।
গত ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে রাজধানী মিরপুর ১ নম্বর শাহআলী থানাধীন চিড়িয়াখানা রোড রাইনখোলা মোড়ে অবস্থিত লাজফার্মা। খালেদা আক্তার রিনা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঔষধ ক্রয় করতে যান ওই ফার্মেসীতে। প্রেসক্রিপশনে ছিলো মেথোফ্লেক্স ৫০০ এমজি আর লাজফার্মা দিয়ে ছিলেন মিথোট্রেক্স ১০ এমজি একপাতা অর্থাৎ ১০টি ট্যাবলেট। মেথোফ্লেক্স আর মিথোট্রেক্স দুইটায় ভিন্ন গ্রুপের ঔষধ। লাজফার্মার ১০ এমজি মিথোট্রেক্স ঔষধ সেবন করে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং শরীরের অবনতি দেখা দিলে তখন তার পরিবারের লোকজন দ্রুত ১ নভেম্বর ইং তারিখে মিরপুর শিয়ালবাড়ী ইবনেসিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইবনে সিনা হাসপাতাল খালেদা আক্তার রিনার অবস্থা অশংকাজনক দেখে ওই দিনে ফেরত দেন, এবং উনাকে দ্রুত রাজধানীর ধানমন্ডী গ্রীন লাইফ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করেন। আইসিইউতে থাকার খবর পেয়ে লাজফার্মার ম্যানেজার মোঃ ওবাদুল গ্রীনলাইফ হাসপাতালে বেশ কয়েকবার দেখতে যান এবং প্রতিষ্ঠানের সম্মান বাচাতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চিকিৎসাবাবদ দেন। চিকিৎসাবাবদ সব টাকা দিবেন বলে প্রশ্রুতিদেন লাজফার্মার ম্যানেজার মোঃ ওবাদুল রহমান।
খালেদা আক্তার রিনা ১ নভেম্বর থেকে ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত আইসিইউতি ছিলেন এবং ৬ই নভেম্বর কেবিনে আনেন। জানা যায় লাজফার্মার ভুলভাল ঔষধ মিথোট্রেক্স ১০ এমজি ঔষধ খাওয়ার কারণে খালেদা আক্তার রিনার শরীরে ঔষধের প্রতিক্রিয়ায় কিডনি ও লিভার ড্যামেজ হয়ে গেছে এবং মাথার চুল ভ্রু উঠে যাচ্ছে বর্তমানে হাসপালটিতেই চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছেন। বর্তমানে লাজফার্মার কেহর কোন খোজ না পেয়ে খালেদা আক্তার রিনার স্বামী ও তার ছেলে-মেয়ে ১১ নভেম্বের মিরপুর রাইন খোলার মোড়ে লাজফার্মায় চিকিৎসার টাকার জন্য যান। সেখানে গেলে ম্যানেজার ওবায়দুল ও পরিচালক বেলালের ছোট ভাই জিলাল তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন বিভিন্ন হুমকী ধামকীদেন এবং চিকিৎসাবাবদ কোন টাকা দিবেনা বলে জানান। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা হাজির হন লাজফার্মায় তখন পরিচালক আকবর ও বেলাল চিকিৎসাবাদ যে টাকা লাগবে সেই টাকা দিবেন বলে জানান।
১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফেয়ারপ্লাজার ১০ম তলায় এক ডেভেলপারের অফিসে বসে মিমাংশা হয় তারা চিকিৎসা বাবদ আর চার লাখ টাকা দিবে এবং সাদা কাগজে খসড়া লিখিত করেন এবং উপস্থিত সবার স্বাক্ষর নেন, আজও সেই টাকা পরিশোধ করেননি।
এখন টাকাতো দুরের কথা উল্টো রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে শাহআলী থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন লাজফার্মার ম্যানেজার মোঃ ওবায়দুল। অভিযোগটি এসআই রুবেল তদন্ত করছেন।
সুত্রে জানা যায়, মিরপুর রাইণখোলার মোড়ে কিছু আওয়ামীলীগের দোসরদের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাইনবোর্ড বিক্রি করেছেন মূল মালিক উদ্যোক্তা লুৎফর রহমান। সাইনবোর্ড ক্রেতাকে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা দিতে হয় মূল মালিককে এবং এককালিন ৬০ লাখ টাকা ৫ বছরের জন্য দিতে হয় আর প্রতিমাসে দিতে হয় ১ লাখ টাকা। কিন্তু ওষুধ, প্রসাধনী ও খাদ্যপণ্যের মান নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই প্রতিষ্ঠানটির। আর আগেও লাজফার্মার আন্য শাখায় নকল ওষুধ বিক্রিরদায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে অভিযোগ আছে, মান নিয়ন্ত্রণ, সেবা নিশ্চিতের বিপরীতে গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করছে ওই আওয়ামী দোসররা। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। বিভিন্ন সময় ভোক্তারা হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার ও অসহযোগিতা করেন বলে জানান ভোক্তারা। এসব অভিযোগের কোনো প্রতিকার নেই।