মাগুরা-২ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভক্ত নেতৃত্ব ও অগ্রহণযোগী প্রার্থীর কারণে ধানের শীষের আসন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিপরীতে জামায়াত একক প্রার্থী এবং সুশৃঙ্খল সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসন পুনরুদ্ধারে মাঠে মরিয়া হয়ে প্রচার চালাচ্ছে। বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার।
মাগুরা-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। তাঁর এই মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ এবং মশাল মিছিল অব্যাহত রেখেছেন অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক জেলা সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল। শালিখা ও মহম্মদপুরের সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান, ১৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৮ জন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, এবং সম্প্রতি ভোটে নির্বাচিত ৫১৩ জন ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ৫০১ জন নিতাই রায়ের মনোনয়ন বাতিল চাই। তাদের সাথে নিতাই রায়ের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান এবং ৫০১ জনই নিতাই রায়ের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে আবেদন করছেন।
বর্তমানে বিএনপির প্রার্থী দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই মাঠে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিএনপির ৭০ শতাংশ নেতাকর্মি কাজী সালিমুল কামালের পক্ষে কাজ করছেন। তা ছাড়া কাজী সালিমুল হক কামাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে ধানের শীষ প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুন ভোট বেশি পেয়ে জয় লাভ করবেন এমন প্রত্যাশা করছেন দলের তৃণ্যমূল নেতারা।
এ আসনটি ছিলো আওয়ামীলীগের ঘাটি ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ১৯৯৩ সালে বীর মুক্তিযুদ্ধা আসাদুজ্জামানের মৃত্যুর পর ১৯৯৪ সালে উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ আসনটি হাতছাড়া হয়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে এসে ৯৪ এর উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী সালিমুল হক কামাল মাগুরা-২ আসনটি দখল করে নেন।
শালিখা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুন্সি আনিসুর রহমান মিল্টন, শালিখা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাফফর হোসেন টুকু, মহম্মদপুর উপজেলার সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম আজম সাবু, মহম্মদপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান বাচ্চু, বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ও দক্ষিণ মাগুরা ইউনিট বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ কাজী কামালের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং তাদের নেতৃত্বে থানা ও ইউনিয়নে জনসমাবেশ চলছে। এদিকে কাজী সালিমুল হক কামাল ঘোষণা করছেন দল মনোনয়ন না দিলে মাগুরা-২ আসনের জনগণের সম্মতিতে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করবেন।
অন্যদিকে, জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মাগুরা জেলার আমির এমবি বাকের। বেশকিছু দিন আগেই জামায়াত একক প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এতে প্রচারে বেশ এগিয়ে। ইতিপূর্বে এ আসন কোনোবারই জামায়াত করায়ত্ত করতে পারেনি। এবার জামায়াত প্রার্থী নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্ত নেতৃত্বের সুযোগ নিয়ে নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
এ আসনে এখনও জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) প্রার্থী এখনো নির্বাচনী মাঠে নামেনি।
মাগুরা প্রতিনিধি : 
























