ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পার হতে ৫ টাকায় ‘মই ভাড়া’, যুবক আটক মই বসিয়ে মহাসড়ক পার করানো সেই যুবক আটক গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন আলোকের সুপারভাইজার কর্তৃক ডাক্তারের সহকারী ধর্ষণ! বদলে গেছে ফুটপাতের রূপ- পথচারীরা ফিরে পেলো স্বস্তি ! সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ আশুলিয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটায় জরিমানা দালালচক্রের নিয়ন্ত্রনেই যেন নওগাঁর ফতেপুর ভূমি অফিস: সংবাদ সংগ্রহে হামলার শিকার ২ সাংবাদিক

মাগুরা মহম্মদপুর ৩০ হাজার টাকার সুদ ১২ লাখ টাকা!

মাগুরা প্রতিনিধি : ৩০ হাজার টাকায় সুদ হয়েছে ১২ লাখ টাকা! দেড় লাখ টাকা পরিশোধের পরও সুদাআসল মিলে পাওনাদারের দাবি এখন ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এই টাকার দাবিতে ‘সুদখোরের’ হুমকির মুখে মাগুরা জেলা মহম্মদপুর রাজাপুর গ্রামের আধিবাসি মিলন। ‘সুদখোর’ ইসমাইল এখনও ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
এমনকি জোর পূর্বক সাদা স্টাম্পে মাধেমে সই করিয়ে মিলনের জায়গা জমি লিখে নেই। গোবর নাদা গ্রামের ইউনুচ মন্ডলের বড় ছেলে ইসমাইলকে সুদখোর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে এমন অত্যাচারের তথ্য প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী মিলন। সোমবার দুপুরে দৈনিক “খবর বাংলাদেশ” প্রতিনিধির নিকট এমন অভিযোগ করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর সাথে এলাকার সকল লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মিলন জানাই, সুদখোর ইসমাইলের সুদের জালে জিম্মি হয়ে রাজাপুর এলাকার অনেক নারী-পুরুষ ভিটামাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টিতে অবহিত আছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার মিলছে না। ভুক্তভোগী মিলন দাবি করেন, তিনি দুই বছর আগে এক মাসের জন্য ৩০ হাজার টাকা ধার নেন। এ সময় ইসমাইল সাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেয়। কিন্তু ওই টাকা পরিশোধ করতে দেরি হয়। এরপর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সুদখোর ইসমাইল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আমাকে জিম্মি করে সাদা স্টাম্পের মাধ্যেমে আমার সব জায়গা জমি লিখে নেয়।

আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি রাজাপুর বাজারে কাচাঁমালের ব্যবসা করেন। ২০ হাজার টাকায় তাকে মাসে ৫ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়। ৫ বছর ধরে এভাবে দিয়েও এখনও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করছে ইসমাইল। মিলন মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করলে মহম্মদপুর থানায় এসে ইসমাইল তার সত্যেতা শিকার করে পুনরায় বসার জন্য রাজাপুর চেয়াম্যানের নিকট একটা সময় নেয়, সময় নেয়ার পর আর সে বসে নেই।

কে এই ইসমাইল ?
নাম ইসমাইল মন্ডল, পড়া লেখা তেমন জানে না, মোট তারা ৭ ভাই বোন, ভাইয়েদের মধ্যে সে বড়। ছোট বেলা থেকে ছিলো সাহসী ও চোর স্বভাবের, বাবার কিছু ছিলো না। মা পরের বাড়ী কাজ করে বেড়াতো, অভাবের সংসার, সব সময় লেগে থাকতো অভাব। ভাদামে স্বাভাব হওয়া কোন কাজকর্ম করতো না। গ্রাম এলাকাতে সে রাতের বেলা বিভিন্ন বাড়ীতে বাড়ীতে হাঁস মুরগী চুরি করে বেড়াত, এর পর সে গ্রামের মাঠ থেকে ছাগল চুরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রয় করতো, এমনকি সুযোগ পেলেও গরু বিক্রয় করতো। বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়ে বেশ উত্তম মাধ্যেম খেয়ে অনেকবার জেল হাজতে গেছে। এক পর্যায় হাঁস মুরগী গরু ছাগল চুরি বাদ দিয়ে শুরু করলো সিঁধকাটা। রাতের বেলা বাড়িতে বাড়িতে চলে তার সিধ কাটা, ওই এলাকার কেউ তার অত্যাচারে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতো না। সাবাই মনে করতো ঘুমালে ইসমাইল চোর সিধ কেটে সব কিছু নিয়ে যাবে। এক পর্যয়ে এলাকা বাসি তাকে মারধোর দিয়ে পুলিশে দিয়ে দিলো। জেল হাজত খেটে এসে ২০০৯ সালে তার স্ত্রী সাবানা ইউপি সদস্যতে নির্বাচন করেন, সবাই চিন্তা করে ভোট দিয়ে জয় লাভ করে দেয়। দিলে কি হবে “কথায় আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না” কুত্তার লেজে ৮০ মণ ঘি মাখলেও কুত্তার লেজ সোজা হয় না। চোর ইসমাইল ঠিক তেমনি একজন। ইউপি সদস্য হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গরিবের সম্পাদ গম, চাউল চুরি করে বিক্রয় শুরু করে। এতে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর বিশ্বাস তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য হয়ে যান। এর পর আবার ২০১৪ সালে নির্বাচন করেন এলাকার মানুষ বোঝতে পারে শিয়ালকে আর মুরগী বরগা দিতে রাজি হলো না। ওই ইউপি নির্বাচনে ভরাডুবি হয়। এর পর কি করবে বিএনপিতে যোগদান করে এবং শুরু করে সুদের ব্যবসা। এই অবৈধ সুদের ব্যবসা করে চোর ইসমাইল বর্তমান আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। তার ফাঁদে পড়ে অনেকে স্বর্বশান্ত হয়ে গেছে। অনেকের জায়গা জমি লিখে নিয়েছে। ইসমাইলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।
তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ইসমাইল চোর জানায়, তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে এখন ফেরত দিচ্ছে না। টাকা না দিতে এমন মিথ্যা কথা প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়েছে বলে জানান ইসমাইল। আরও জানান জমি আমি টাকা দিয়ে দলিল করে নিয়েছি। বিস্তারিত আরও পরবর্তী সংখ্যায়……..।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পার হতে ৫ টাকায় ‘মই ভাড়া’, যুবক আটক

মাগুরা মহম্মদপুর ৩০ হাজার টাকার সুদ ১২ লাখ টাকা!

আপডেট টাইম : ০৬:১৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মাগুরা প্রতিনিধি : ৩০ হাজার টাকায় সুদ হয়েছে ১২ লাখ টাকা! দেড় লাখ টাকা পরিশোধের পরও সুদাআসল মিলে পাওনাদারের দাবি এখন ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এই টাকার দাবিতে ‘সুদখোরের’ হুমকির মুখে মাগুরা জেলা মহম্মদপুর রাজাপুর গ্রামের আধিবাসি মিলন। ‘সুদখোর’ ইসমাইল এখনও ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
এমনকি জোর পূর্বক সাদা স্টাম্পে মাধেমে সই করিয়ে মিলনের জায়গা জমি লিখে নেই। গোবর নাদা গ্রামের ইউনুচ মন্ডলের বড় ছেলে ইসমাইলকে সুদখোর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে এমন অত্যাচারের তথ্য প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী মিলন। সোমবার দুপুরে দৈনিক “খবর বাংলাদেশ” প্রতিনিধির নিকট এমন অভিযোগ করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর সাথে এলাকার সকল লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মিলন জানাই, সুদখোর ইসমাইলের সুদের জালে জিম্মি হয়ে রাজাপুর এলাকার অনেক নারী-পুরুষ ভিটামাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টিতে অবহিত আছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার মিলছে না। ভুক্তভোগী মিলন দাবি করেন, তিনি দুই বছর আগে এক মাসের জন্য ৩০ হাজার টাকা ধার নেন। এ সময় ইসমাইল সাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেয়। কিন্তু ওই টাকা পরিশোধ করতে দেরি হয়। এরপর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সুদখোর ইসমাইল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আমাকে জিম্মি করে সাদা স্টাম্পের মাধ্যেমে আমার সব জায়গা জমি লিখে নেয়।

আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি রাজাপুর বাজারে কাচাঁমালের ব্যবসা করেন। ২০ হাজার টাকায় তাকে মাসে ৫ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়। ৫ বছর ধরে এভাবে দিয়েও এখনও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করছে ইসমাইল। মিলন মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করলে মহম্মদপুর থানায় এসে ইসমাইল তার সত্যেতা শিকার করে পুনরায় বসার জন্য রাজাপুর চেয়াম্যানের নিকট একটা সময় নেয়, সময় নেয়ার পর আর সে বসে নেই।

কে এই ইসমাইল ?
নাম ইসমাইল মন্ডল, পড়া লেখা তেমন জানে না, মোট তারা ৭ ভাই বোন, ভাইয়েদের মধ্যে সে বড়। ছোট বেলা থেকে ছিলো সাহসী ও চোর স্বভাবের, বাবার কিছু ছিলো না। মা পরের বাড়ী কাজ করে বেড়াতো, অভাবের সংসার, সব সময় লেগে থাকতো অভাব। ভাদামে স্বাভাব হওয়া কোন কাজকর্ম করতো না। গ্রাম এলাকাতে সে রাতের বেলা বিভিন্ন বাড়ীতে বাড়ীতে হাঁস মুরগী চুরি করে বেড়াত, এর পর সে গ্রামের মাঠ থেকে ছাগল চুরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রয় করতো, এমনকি সুযোগ পেলেও গরু বিক্রয় করতো। বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়ে বেশ উত্তম মাধ্যেম খেয়ে অনেকবার জেল হাজতে গেছে। এক পর্যায় হাঁস মুরগী গরু ছাগল চুরি বাদ দিয়ে শুরু করলো সিঁধকাটা। রাতের বেলা বাড়িতে বাড়িতে চলে তার সিধ কাটা, ওই এলাকার কেউ তার অত্যাচারে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতো না। সাবাই মনে করতো ঘুমালে ইসমাইল চোর সিধ কেটে সব কিছু নিয়ে যাবে। এক পর্যয়ে এলাকা বাসি তাকে মারধোর দিয়ে পুলিশে দিয়ে দিলো। জেল হাজত খেটে এসে ২০০৯ সালে তার স্ত্রী সাবানা ইউপি সদস্যতে নির্বাচন করেন, সবাই চিন্তা করে ভোট দিয়ে জয় লাভ করে দেয়। দিলে কি হবে “কথায় আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না” কুত্তার লেজে ৮০ মণ ঘি মাখলেও কুত্তার লেজ সোজা হয় না। চোর ইসমাইল ঠিক তেমনি একজন। ইউপি সদস্য হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গরিবের সম্পাদ গম, চাউল চুরি করে বিক্রয় শুরু করে। এতে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর বিশ্বাস তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য হয়ে যান। এর পর আবার ২০১৪ সালে নির্বাচন করেন এলাকার মানুষ বোঝতে পারে শিয়ালকে আর মুরগী বরগা দিতে রাজি হলো না। ওই ইউপি নির্বাচনে ভরাডুবি হয়। এর পর কি করবে বিএনপিতে যোগদান করে এবং শুরু করে সুদের ব্যবসা। এই অবৈধ সুদের ব্যবসা করে চোর ইসমাইল বর্তমান আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। তার ফাঁদে পড়ে অনেকে স্বর্বশান্ত হয়ে গেছে। অনেকের জায়গা জমি লিখে নিয়েছে। ইসমাইলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।
তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ইসমাইল চোর জানায়, তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে এখন ফেরত দিচ্ছে না। টাকা না দিতে এমন মিথ্যা কথা প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়েছে বলে জানান ইসমাইল। আরও জানান জমি আমি টাকা দিয়ে দলিল করে নিয়েছি। বিস্তারিত আরও পরবর্তী সংখ্যায়……..।