নাদিম আহমেদ অনিক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
আমের বানজ্যিক রাজধান খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে প্রখর খরায় গাছের আম ঝরে পড়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার আম চাষীরা। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেশে এখন বিরাজ করছে লম্বা খরা। খরায় চারিদিক যেন খাঁখাঁ করছে মাঠ ঘাট নদী-নালা ইতো মধ্যেই শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এই অবস্থায় উপজেলার আমচাষীগন নিজ নিজ বাগানে আম ঝরে পড়তে দেখে দারুন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সাপাহার উপজেলার এবছর প্রায় ৮হাজার ২৫০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ করা হচ্ছে। সে মতে অন্যান্য বছরের মত এবারেও জেলায় আমের বিপ্লব ঘটবে বলে কৃষি বিভাগ ও আম চাষীগন মনে করছেন। তবে আমের বাড়ন্ত সময়ে অতিরিক্ত খরা যেন বাঁধ সেধে বসেছে। প্রচন্ড খরায় আমের বেড়ে উঠা অনেকটাই থেমে গেছে সে সাথে মাটিতে কোন প্রকার রস না থাকায় গাছ থেকে নির্বিচারে ঝরে পড়ছে আম।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের দেয়া উপদেশ মতে অনেকেই খরার কবল থেকে আম বাঁচাতে গাছে শুধু পানি স্প্রে করছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে তেমন কোন সেচ সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ বাগান মালিকগন তাদের বাগানে সেচ দিতে পারছেন না।
কৃষি বিভাগ ও বাগানীদের মতে চলতি খরা আরোও কয়েক সপ্তাহ বিরাজ করলে প্রতিটি বাগানের প্রায় ৮০%শতাংশ আম ঝরে পড়বে।
সাপাহার উপজেলার একাধিক আমচাষর সাথে কথা হলে তারা জানান যে, বর্তমানে প্রচন্ড খরা বিরাজ করছে তাতে গাছের আম ঝরে পড়ছে, বর্তমানে সকল বাগান মালিকগন রহমতের বৃষ্টির জন্য আকাশ পানে সৃষ্টিকর্তার মুখ পানে চেয়ে রয়েছেন। দু’এক সপ্তাহের মধ্যে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামলে হয়তো এখানকার বাগান মালিকদের স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হবে। সাপাহার উপজেলা কৃষি দপ্তরও বাগান মালিকদের সাথে সহমত প্রকাশ করে বলেছেন চলতি খরা দীর্ঘায়িত হলে আমের অপুরনীয় ক্ষতি হতে পারে। তবে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামলে ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে।
আবহাওয়াবিদদের মতে অচিরেই কালবৈশাখী ঝড়হাওয়া সহ বৃষ্টিপাতের আশু সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সকলকেই সৃষ্টিকর্তার দয়ার আশায় অপেক্ষা করতে হবে বলে অনেকেই তাদের মত প্রকাশ করেছেন।