ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার হওয়া উচিত- শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা গাজীপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আমার সন্তান ভয়ে বাড়িতে আসতে পারেনা, বিচার চাই গাজীপুরে কুরআন অপমানকারী শুভ সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

ফরিদপুরে ভুমি অধিগ্রহণ নিয়ে সাবেক জেলা প্রশাসকসহ পান্না গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা-(পর্ব-১)

  • তাওহিদুল ইসলাম :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতা আর টাকার দাপটে প্রশাসনের সহযোগীতায় অসহায় ব্যক্তির জমি দখল ও অধিগ্রহণ করে নিয়েছেন পান্না গ্রুপ। ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার আলতু খান জুট মিলের ভিতরে থাকা দেশ বিদেশে আলোচিত পান্না গ্রুপের ভলবো ব্যাটারীর সীসা গলানোর কারখানা এটি। মধুখালি উপজেলাধীন পরক্ষিতপুর গ্রামের আলতু খান জুট মিলের ভিতরে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মরত থাকা সত্ত্বেও, দিনে রাতে সীসা গলানোর কারনে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম জুড়ে দেখা দেয় তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত সাদা কালো ধোয়া। এতে ক্রমান্বয়ে নষ্ট হচ্ছে আবাদি ফসল ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অসহায় কৃষক পরিবার,বাড়ছে বিভিন্ন রোগবালাই সহ স্বাস্থ্যের ঝুঁকি।ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারীকে ম্যানেজ করে পরিবেশের অবস্থান গত ছাড়পত্র নেয় ১৩-১২-২০১২ সালে। প্রতিবছর নবায়নের নিয়ম থাকলেও ভলবো ব্যাটারীর সীসা তৈরীর সর্বশেষ নবায়ন করা হয় ২০-৩-২০১৭ সালে। পুনরায় নবায়ন না করে দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের এই কর্মকান্ড। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আলতুখান জুট মিলের পাশে থাকা মধুখালী মৌজা- বি এস ৯৩ নং পরক্ষিতপুর, খতিয়ান ১৪২-ও ১৪৩ বি এস দাগ নং ২৮৩ ও ২৮৫ দাগের মোট (১০৩) শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক গোন্দারদিয়া গ্রামের সাইদ শেখ। আলতুখান খান জুট মিল করার পরেই শুরু করেন ভলবো ব্যাটারী সীসা রিফাইনিং এর কারখানা। পরিমান মতো জায়গা না পাওয়ায় জুট মিল কর্তৃপক্ষ কথা বলেন পাশের জমির মালিক সাইদ শেখের সাথে। চলমান বাজারের জমির দামের সাথে না মিলায়,ক্ষমতা ও টাকার গরম দেখিয়ে জমি দখল করা সহ ভয়ভীতি দেখান আলতু খান মিল কর্তৃকপক্ষ।এ বিষয়ে জমির মালিক সাইদ শেখ ও তার ছেলে সোহান শেখ মধুখালী থানায় অভিযোগ করতে গেলেও থানা থেকে বের করে দেন পুলিশ সদস্যরা। ২০১২ সালে ফরিদপুরের তৎকালীন জেলা প্রসাশক হেলালুদ্দীন আহমেদ (ভুমি) অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে (১০৩) শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছেন। গোপন সূত্রে জানা যায়, মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে (ভুমি) অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে আলতু খান জুট মিল কর্তৃপক্ষ (১০৩) জমি মিউটেশনও করে নেন। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কে শাস্তি দেওয়া ও জমি পুনরুদ্ধারের জন্য জমির মালিক সাইদ শেখ,সম্প্রতি ২০১২ সালের ফরিদপুর জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমেদ, সফিকুর রেজা বিশ্বাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), শাহারিয়া আহমেদ ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, আলমগির বিশ্বাস (কানুনগো), সজল খন্দকার (সার্ভেয়ার ১) নজরুল ইসলাম (সার্ভেয়ার ২) আলতু খান জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান খান সহ ২০১৩ সালে এই ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ভুক্তভোগী। তবে সাবেক এই জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমেদ পদন্নোতি পেয়ে বর্তমান স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণলয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমেদ এর সাথে মুঠো ফোনে জমির মালিক ছাড়া ভুমি অধিগ্রহণ ও মামলা চলমান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আমি আপনার মুখে শুনলাম। যদি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তাহলে আমাকে উকিল নোটিশ দেওয়ার কথা,আপনি একজন সাংবাদিক একটু ভেবে দেখুন কিভাবে মামলা হয়েছে,আর আমার জানা মতে সরকারি নিয়মনিতি অনুযায়ী ভুমি অধিগ্রহণ সম্পুর্ন হয়েছে। জমির মালিক সাইদ শেখ জানান, এই জমি বাজার দরের থেকে কম দামে কিনতে চেয়েছিলেন বিধায় আমি জমি দেইনি, মিল মালিক লোকমান খানের ভাই বাদশা খান বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে লিখে নিতে চেয়েছিলেন।ফরিদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমেদ এর সহযোগীতায় একই অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভুমি অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে (১০৩) শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে নেন। ভুমি অধিগ্রহণ আইন হিসেবে জমির মুল্য যে পরিমান টাকা পাওয়ায় কথা তার তুলনায় অনেক কম টাকা দেওয়ার কথা বলেন তারা,এবং জমির কাগজপত্র দেখার নামে বিভিন্ন নাটক শুরু করেন মিল মালিকের ভাই বাদশা খান। এ বিষয়ে বাদশা খানের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, যখন আমরা এই ভলবো ব্যাটারীর শিষা কারখানাটির জন্য জমি কেনা শুরু করি তখন আমাদের জুট মিলের পাশে থাকা সাইদ শেখের, ভিটা ও নাল জমির বাজার মুল্য হিসাবে তাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করি। জমির মালিক রাজি হয়েও শুরু করেন তালবাহানা, পরে জানতে পারি ঐ জমির ভিতরে ১৩ শতাংশ জমি আরেক ভাগিদারের, তিনি আরও বলেন, এই জমি বাবদ (৩৬) লক্ষ টাকা আমরা সরকারের ঘরে জমা দিয়েছি। তবে জমির মালিক ছাড়া কিভাবে অধিগ্রহণ করা হলো জানতে চাইলে, তিনি সাবেক এই জেলা প্রশাসকের দোহাই দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এদিকে আলতু খান জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান খানের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়, কথা হয় তার ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ জয়নাল এর সাথে, তিনি বলেন স্যার কে কি দরকার স্যার দেশের বাহিরে আছেন আমাকে বলতে পারেন, আর হ্যাঁ ভুমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পান্না গ্রুপ জমি নিয়েছে। তবে জমির মালিক সাইদ শেখ কে কয়েকবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসার জন্য চিঠিও দিয়েছে কিন্তু তারা আসেনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি

ফরিদপুরে ভুমি অধিগ্রহণ নিয়ে সাবেক জেলা প্রশাসকসহ পান্না গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা-(পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০৭:১৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

ক্ষমতা আর টাকার দাপটে প্রশাসনের সহযোগীতায় অসহায় ব্যক্তির জমি দখল ও অধিগ্রহণ করে নিয়েছেন পান্না গ্রুপ। ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার আলতু খান জুট মিলের ভিতরে থাকা দেশ বিদেশে আলোচিত পান্না গ্রুপের ভলবো ব্যাটারীর সীসা গলানোর কারখানা এটি। মধুখালি উপজেলাধীন পরক্ষিতপুর গ্রামের আলতু খান জুট মিলের ভিতরে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মরত থাকা সত্ত্বেও, দিনে রাতে সীসা গলানোর কারনে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম জুড়ে দেখা দেয় তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত সাদা কালো ধোয়া। এতে ক্রমান্বয়ে নষ্ট হচ্ছে আবাদি ফসল ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অসহায় কৃষক পরিবার,বাড়ছে বিভিন্ন রোগবালাই সহ স্বাস্থ্যের ঝুঁকি।ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারীকে ম্যানেজ করে পরিবেশের অবস্থান গত ছাড়পত্র নেয় ১৩-১২-২০১২ সালে। প্রতিবছর নবায়নের নিয়ম থাকলেও ভলবো ব্যাটারীর সীসা তৈরীর সর্বশেষ নবায়ন করা হয় ২০-৩-২০১৭ সালে। পুনরায় নবায়ন না করে দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের এই কর্মকান্ড। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আলতুখান জুট মিলের পাশে থাকা মধুখালী মৌজা- বি এস ৯৩ নং পরক্ষিতপুর, খতিয়ান ১৪২-ও ১৪৩ বি এস দাগ নং ২৮৩ ও ২৮৫ দাগের মোট (১০৩) শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক গোন্দারদিয়া গ্রামের সাইদ শেখ। আলতুখান খান জুট মিল করার পরেই শুরু করেন ভলবো ব্যাটারী সীসা রিফাইনিং এর কারখানা। পরিমান মতো জায়গা না পাওয়ায় জুট মিল কর্তৃপক্ষ কথা বলেন পাশের জমির মালিক সাইদ শেখের সাথে। চলমান বাজারের জমির দামের সাথে না মিলায়,ক্ষমতা ও টাকার গরম দেখিয়ে জমি দখল করা সহ ভয়ভীতি দেখান আলতু খান মিল কর্তৃকপক্ষ।এ বিষয়ে জমির মালিক সাইদ শেখ ও তার ছেলে সোহান শেখ মধুখালী থানায় অভিযোগ করতে গেলেও থানা থেকে বের করে দেন পুলিশ সদস্যরা। ২০১২ সালে ফরিদপুরের তৎকালীন জেলা প্রসাশক হেলালুদ্দীন আহমেদ (ভুমি) অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে (১০৩) শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেছেন। গোপন সূত্রে জানা যায়, মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে (ভুমি) অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে আলতু খান জুট মিল কর্তৃপক্ষ (১০৩) জমি মিউটেশনও করে নেন। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কে শাস্তি দেওয়া ও জমি পুনরুদ্ধারের জন্য জমির মালিক সাইদ শেখ,সম্প্রতি ২০১২ সালের ফরিদপুর জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমেদ, সফিকুর রেজা বিশ্বাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), শাহারিয়া আহমেদ ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, আলমগির বিশ্বাস (কানুনগো), সজল খন্দকার (সার্ভেয়ার ১) নজরুল ইসলাম (সার্ভেয়ার ২) আলতু খান জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান খান সহ ২০১৩ সালে এই ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ভুক্তভোগী। তবে সাবেক এই জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমেদ পদন্নোতি পেয়ে বর্তমান স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণলয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমেদ এর সাথে মুঠো ফোনে জমির মালিক ছাড়া ভুমি অধিগ্রহণ ও মামলা চলমান নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আমি আপনার মুখে শুনলাম। যদি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তাহলে আমাকে উকিল নোটিশ দেওয়ার কথা,আপনি একজন সাংবাদিক একটু ভেবে দেখুন কিভাবে মামলা হয়েছে,আর আমার জানা মতে সরকারি নিয়মনিতি অনুযায়ী ভুমি অধিগ্রহণ সম্পুর্ন হয়েছে। জমির মালিক সাইদ শেখ জানান, এই জমি বাজার দরের থেকে কম দামে কিনতে চেয়েছিলেন বিধায় আমি জমি দেইনি, মিল মালিক লোকমান খানের ভাই বাদশা খান বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে লিখে নিতে চেয়েছিলেন।ফরিদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক হেলালুদ্দীন আহমেদ এর সহযোগীতায় একই অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভুমি অধিগ্রহণ আইন দেখিয়ে (১০৩) শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে নেন। ভুমি অধিগ্রহণ আইন হিসেবে জমির মুল্য যে পরিমান টাকা পাওয়ায় কথা তার তুলনায় অনেক কম টাকা দেওয়ার কথা বলেন তারা,এবং জমির কাগজপত্র দেখার নামে বিভিন্ন নাটক শুরু করেন মিল মালিকের ভাই বাদশা খান। এ বিষয়ে বাদশা খানের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, যখন আমরা এই ভলবো ব্যাটারীর শিষা কারখানাটির জন্য জমি কেনা শুরু করি তখন আমাদের জুট মিলের পাশে থাকা সাইদ শেখের, ভিটা ও নাল জমির বাজার মুল্য হিসাবে তাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করি। জমির মালিক রাজি হয়েও শুরু করেন তালবাহানা, পরে জানতে পারি ঐ জমির ভিতরে ১৩ শতাংশ জমি আরেক ভাগিদারের, তিনি আরও বলেন, এই জমি বাবদ (৩৬) লক্ষ টাকা আমরা সরকারের ঘরে জমা দিয়েছি। তবে জমির মালিক ছাড়া কিভাবে অধিগ্রহণ করা হলো জানতে চাইলে, তিনি সাবেক এই জেলা প্রশাসকের দোহাই দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এদিকে আলতু খান জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান খানের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়, কথা হয় তার ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ জয়নাল এর সাথে, তিনি বলেন স্যার কে কি দরকার স্যার দেশের বাহিরে আছেন আমাকে বলতে পারেন, আর হ্যাঁ ভুমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পান্না গ্রুপ জমি নিয়েছে। তবে জমির মালিক সাইদ শেখ কে কয়েকবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসার জন্য চিঠিও দিয়েছে কিন্তু তারা আসেনি।