ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মির্জাগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন নাগরিক জীবন’র সব ক্ষেত্রেই রয়েছে পুলিশের অবস্থান- ডিএমপি কমিশনার স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীর পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে আহত পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! একসঙ্গে ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এপিবিএনের তিন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে পৌনে ২টার দিকে ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি। আদালতপাড়ার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যানারে ৪০ থেকে ৫০ জন ওসি প্রদীপের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন। তারা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও হয়রানির শিকার পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। তিন নম্বর আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে। আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন কক্সবাজারের র্যা ব-১৫-কে। এরপর বেরিয়ে আসে মূল ঘটনা। ৭ আগস্ট মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যা ব। এরপর ২৪ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসেন। চার মাসের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যা ব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। মোট ৬৫ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে, সিনহা হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে অতিরিক্ত ডিআইজি এবং লে. কর্নেল মর্যাদার একজন সেনা কর্মকর্তাকে সদস্য করে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এক মাসের মাথায় তদন্ত কমিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে পুলিশের হঠকারী (অবিমৃশ্যকারী), প্রস্তুতিহীন ও অপেশাদারি আচরণ বলে উল্লেখ করে। এছাড়া যথাযথ তদারকি ও জবাবদিহির অভাবে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মনে অসংবেদনশীলতা তৈরি হয়েছে। আত্মরক্ষার আইনি সুবিধার অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এসব বন্ধে কমিটি ১৩ দফা সুপারিশ করে।

তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপের ৩৩ মাসের সময়কালে ১০৬টি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় ১৭৪ ব্যক্তি নিহত হন। মামলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিনহা তার দলের সঙ্গী সিফাতকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র ‘টাইম ল্যাপস’ ভিডিও করতে গিয়েছিলেন। এ সময় মেজর সিনহা ও তার সঙ্গীরা টেকনাফের নিরীহ মানুষের ওপর ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের কাহিনি’ জেনে যান। প্রদীপের অত্যাচারের শিকার কিছু মানুষের সাক্ষাৎকারও তারা নিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রদীপের সঙ্গেও সিনহা ও তার সঙ্গীদের কথা হয়। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে প্রদীপের পরিকল্পনায় শামলাপুর চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। আলোচিত এ মামলায় এখন কারাগারে আছেন ১৫ আসামি।

তারা হলেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী; টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার দেহরক্ষী রুবেল শর্মা; বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত; বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাগর দেব; বরখাস্ত এএসআই লিটন মিয়া; বরখাস্ত এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান; বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ; টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

ট্যাগস

মির্জাগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ১০:৩৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এপিবিএনের তিন সদস্যকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে পৌনে ২টার দিকে ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি। আদালতপাড়ার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যানারে ৪০ থেকে ৫০ জন ওসি প্রদীপের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন। তারা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও হয়রানির শিকার পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। তিন নম্বর আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে। আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন কক্সবাজারের র্যা ব-১৫-কে। এরপর বেরিয়ে আসে মূল ঘটনা। ৭ আগস্ট মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যা ব। এরপর ২৪ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসেন। চার মাসের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যা ব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। মোট ৬৫ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে, সিনহা হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে অতিরিক্ত ডিআইজি এবং লে. কর্নেল মর্যাদার একজন সেনা কর্মকর্তাকে সদস্য করে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এক মাসের মাথায় তদন্ত কমিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে পুলিশের হঠকারী (অবিমৃশ্যকারী), প্রস্তুতিহীন ও অপেশাদারি আচরণ বলে উল্লেখ করে। এছাড়া যথাযথ তদারকি ও জবাবদিহির অভাবে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মনে অসংবেদনশীলতা তৈরি হয়েছে। আত্মরক্ষার আইনি সুবিধার অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এসব বন্ধে কমিটি ১৩ দফা সুপারিশ করে।

তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টেকনাফ থানায় ওসি প্রদীপের ৩৩ মাসের সময়কালে ১০৬টি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় ১৭৪ ব্যক্তি নিহত হন। মামলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিনহা তার দলের সঙ্গী সিফাতকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র ‘টাইম ল্যাপস’ ভিডিও করতে গিয়েছিলেন। এ সময় মেজর সিনহা ও তার সঙ্গীরা টেকনাফের নিরীহ মানুষের ওপর ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের কাহিনি’ জেনে যান। প্রদীপের অত্যাচারের শিকার কিছু মানুষের সাক্ষাৎকারও তারা নিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রদীপের সঙ্গেও সিনহা ও তার সঙ্গীদের কথা হয়। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে প্রদীপের পরিকল্পনায় শামলাপুর চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। আলোচিত এ মামলায় এখন কারাগারে আছেন ১৫ আসামি।

তারা হলেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী; টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার দেহরক্ষী রুবেল শর্মা; বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত; বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাগর দেব; বরখাস্ত এএসআই লিটন মিয়া; বরখাস্ত এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান; বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ; টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।