ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ মির্জাগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন নাগরিক জীবন’র সব ক্ষেত্রেই রয়েছে পুলিশের অবস্থান- ডিএমপি কমিশনার স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীর পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে আহত পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! একসঙ্গে ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ

মাগুরায় অবৈধ ৭ ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগ বন্ধ করলেও চলছে যথারীতি

মাগুরা প্রতিনিধি
অনুমোদনহীন ও অব্যস্থাপনার অভিযোগে মাগুরায় অবৈধ ৭ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বন্ধের করে দেওয়া আধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ আমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ১২৪টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার। অস্বাস্থকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোন সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের ইবনে সিনা, পপুলার, একতা, সালেহা, শান্তি, আল্ট্রল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এ সব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তা ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে এ সব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগির স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না। বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তবে নার্স, আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যে সকল রোগি রয়েছে, তা আগে ভার্তি। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগি ভর্তি করেননি। জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ আহমেদ বলছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, সিভিল সার্জন, মাগুরা বলছেন, তারা জেলার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচানা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন বাস্তবতায় জেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পড়েছে হুমকির মূখে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই স্বাস্থ্য বিভাগের বড় চ্যালেন্স।

ট্যাগস

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত

মাগুরায় অবৈধ ৭ ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগ বন্ধ করলেও চলছে যথারীতি

আপডেট টাইম : ০১:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাগুরা প্রতিনিধি
অনুমোদনহীন ও অব্যস্থাপনার অভিযোগে মাগুরায় অবৈধ ৭ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বন্ধের করে দেওয়া আধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশ অমান্য করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আদেশ আমান্য করে কেউ বন্ধ প্রতিষ্ঠান চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ১২৪টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার। অস্বাস্থকর পরিবেশে গড়ে ওঠা অধিকাংশের নেই কোন সরকারি অনুমোদন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে শহরের ইবনে সিনা, পপুলার, একতা, সালেহা, শান্তি, আল্ট্রল্যাব, ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বন্ধ হওয়া এ সব প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্তা ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানে না থেকেও কর্মচারী দিয়ে কৌশলে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে এ সব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রোগির স্বজনরা বলছেন, এসব ক্লিনিক যে অবৈধ তা তারা জানেন না। বন্ধ ক্লিনিকের মালিক ও ম্যানেজারদের প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তবে নার্স, আয়ারা বলছেন, তাদের ক্লিনিকে যে সকল রোগি রয়েছে, তা আগে ভার্তি। সিভিল সার্জনের নোটিশ পাওয়ার পরে তারা নতুন রোগি ভর্তি করেননি। জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট মালিক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ আহমেদ বলছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চান। সিভিল সার্জন অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা সেটিকে সমর্থন করেন।
ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, সিভিল সার্জন, মাগুরা বলছেন, তারা জেলার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মানহীন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্ট এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচানা করে তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। যারা তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন বাস্তবতায় জেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পড়েছে হুমকির মূখে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই স্বাস্থ্য বিভাগের বড় চ্যালেন্স।