ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে ১৪০ফুট লম্বা তৌরী হচ্ছে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভাদ্রা ইউনিয়নের কাওনহোলা গ্রামে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে প্রায় ১৪০ ফুট লম্বা বাইচের নৌকা বানাচ্ছে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ আব্দুল কুদ্দুস। এতে ব্যাপক আনন্দিত এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই আশেপাশের জনসাধারণ এই নৌকা বানানোর দৃশ্য একনজর দেখতে এসে ভিড় জমাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মিশে আছে বিধায় এই নৌকা তৈরির গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় ৭৫ বছর বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ মো: আব্দুল কুদ্দুসের ভাষ্যমতে, ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নাগরপুর উপজেলায় এসে যে নৌকায় উঠেছিলেন, সেই নৌকার গোলই অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বাইচ নৌকা। তাই স্মৃতি রক্ষার্থে বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করা হবে এই নৌকাকে। এছাড়াও নৌকার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু দুরন্ত বিজয় তরী।এদিকে নৌকার কারিগর লতিফ জানায়, আমরা নৌকার কারিগর হিসেবে অনেক আনন্দিত। অনেক জায়গা থেকে জনগণ এই নৌকা বানানোর কাজ দেখতে আসে, ভালোই লাগে আমাদের।বাইচ নৌকার মালিক মো: আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে ও এলাকাবাসীর আনন্দের জন্যই এই নৌকা বানানো হচ্ছে। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নাগরপুরে এসে যে নৌকায় উঠেছেন সেটির গোলই ব্যবহার করে এই বাইচ নৌকা বানানো হচ্ছে।বাবার শখ পূরণের চেষ্টায় ছেলে শাহাদত হোসেন জানায়, বাবার ইচ্ছা আনন্দের জন্য এই নৌকা আমরা এলাকাবাসী আনন্দ নিয়ে বানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর বিষয়টি বাবার থেকেই শুনেছি আমরা।ভাদ্রা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য (মেম্বার) লুৎফর রহমান বাবুল জানায়, আমি অবগত আছি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে বাইচ নৌকা বানানো হচ্ছে। এলাকাবাসী উৎসাহের সাথে নৌকা বানানোর বিষয়টি উপভোগ করছে।নাগরপুর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন বলেন, কাওনহোলা এলাকার যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বাইচ নৌকা বানাচ্ছে তাকে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষার্থে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।উল্লেখ্য, নাগরপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় নৌকা বাইচ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু দুরন্ত বিজয় তরী এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদী মালিকপক্ষ।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে ১৪০ফুট লম্বা তৌরী হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০১:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভাদ্রা ইউনিয়নের কাওনহোলা গ্রামে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে প্রায় ১৪০ ফুট লম্বা বাইচের নৌকা বানাচ্ছে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ আব্দুল কুদ্দুস। এতে ব্যাপক আনন্দিত এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই আশেপাশের জনসাধারণ এই নৌকা বানানোর দৃশ্য একনজর দেখতে এসে ভিড় জমাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মিশে আছে বিধায় এই নৌকা তৈরির গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় ৭৫ বছর বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ মো: আব্দুল কুদ্দুসের ভাষ্যমতে, ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নাগরপুর উপজেলায় এসে যে নৌকায় উঠেছিলেন, সেই নৌকার গোলই অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বাইচ নৌকা। তাই স্মৃতি রক্ষার্থে বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করা হবে এই নৌকাকে। এছাড়াও নৌকার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু দুরন্ত বিজয় তরী।এদিকে নৌকার কারিগর লতিফ জানায়, আমরা নৌকার কারিগর হিসেবে অনেক আনন্দিত। অনেক জায়গা থেকে জনগণ এই নৌকা বানানোর কাজ দেখতে আসে, ভালোই লাগে আমাদের।বাইচ নৌকার মালিক মো: আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে ও এলাকাবাসীর আনন্দের জন্যই এই নৌকা বানানো হচ্ছে। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নাগরপুরে এসে যে নৌকায় উঠেছেন সেটির গোলই ব্যবহার করে এই বাইচ নৌকা বানানো হচ্ছে।বাবার শখ পূরণের চেষ্টায় ছেলে শাহাদত হোসেন জানায়, বাবার ইচ্ছা আনন্দের জন্য এই নৌকা আমরা এলাকাবাসী আনন্দ নিয়ে বানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর বিষয়টি বাবার থেকেই শুনেছি আমরা।ভাদ্রা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য (মেম্বার) লুৎফর রহমান বাবুল জানায়, আমি অবগত আছি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে বাইচ নৌকা বানানো হচ্ছে। এলাকাবাসী উৎসাহের সাথে নৌকা বানানোর বিষয়টি উপভোগ করছে।নাগরপুর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন বলেন, কাওনহোলা এলাকার যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বাইচ নৌকা বানাচ্ছে তাকে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষার্থে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।উল্লেখ্য, নাগরপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় নৌকা বাইচ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু দুরন্ত বিজয় তরী এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদী মালিকপক্ষ।