ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে সান্তাহার রেলওয়ে এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু

গায়ক আকবরের বেহাল দশা

বিনোদন প্রতিবেদক

আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গায়ক আকবর। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করা এই শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। গিয়েছিলেন ভারতেরও। তবে এবার নতুন সমস্যা হয়েছে তার হাড়ে। পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে (ককসিডাইনিয়া) আঘাত পান তিনি। একই সঙ্গে কিছু নার্ভ সেখানে ঢুকে যাওয়ায় পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। চলছেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে।

আকবর জানান, তিনি পড়ে যাওয়ার পর থেকেই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিপদ আমাকে ছাড়ছেই না। আমি চলতে পারি না। আমার মেরুদণ্ডে হাড়ের মধ্যে নার্ভ ঢুকে গেছে। আমি এমআরআই করেছিলাম। তখন জানিয়েছিল ৭০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। পরে আবার শুনি, হাড়ের কী যেন চেঞ্জ করতে হবে।’

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল তাকে অর্থ সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন আকবর। তিরি আরও বলেন, ‘এক ডাক্তার ভদ্রমহিলা জানিয়েছিলেন অপারেশনের জন্য ৭০ হাজার টাকা লাগবে। সব মিলিয়ে ১ লাখ। সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিপজল ভাইকে ফোন দিই। তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপর এখন শুনি যে, মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে সমস্যা। ডিস্কও চেঞ্জ করতে হবে। ৪-৫ লাখ টাকার ব্যাপার। এরমধ্যে মেয়ের স্কুলের ভর্তি, সংসার খরচ- সবই করতে হচ্ছে। অথচ গত ৫ মাস আমি কোনো শো-ই করতে পারিনি।’

তার দুরাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। জানালেন সেটা নিয়েও সমস্যা পড়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের যে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন, তখন জানানো হয়েছিল, ৩ বছর পর এটা আমি ভাঙাতে পারবো। ৩ বছর পূর্ণ হলেও ব্যাংক সে টাকা আমাকে দিচ্ছে না। সেটা তুলতে পারলে এখন হয়তো বাঁচতে পারতাম। হয়তো ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবো, তবে পঙ্গু হয়ে।’

উল্লেখ্য, গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। গান শেখা হয়নি। তবে তার ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন তিনি। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। বাগেরহাটের এক ব্যক্তি তার গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বছর ইত্যাদি অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

গায়ক আকবরের বেহাল দশা

আপডেট টাইম : ০২:২৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিনোদন প্রতিবেদক

আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গায়ক আকবর। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করা এই শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। গিয়েছিলেন ভারতেরও। তবে এবার নতুন সমস্যা হয়েছে তার হাড়ে। পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে (ককসিডাইনিয়া) আঘাত পান তিনি। একই সঙ্গে কিছু নার্ভ সেখানে ঢুকে যাওয়ায় পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। চলছেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে।

আকবর জানান, তিনি পড়ে যাওয়ার পর থেকেই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিপদ আমাকে ছাড়ছেই না। আমি চলতে পারি না। আমার মেরুদণ্ডে হাড়ের মধ্যে নার্ভ ঢুকে গেছে। আমি এমআরআই করেছিলাম। তখন জানিয়েছিল ৭০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। পরে আবার শুনি, হাড়ের কী যেন চেঞ্জ করতে হবে।’

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল তাকে অর্থ সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন আকবর। তিরি আরও বলেন, ‘এক ডাক্তার ভদ্রমহিলা জানিয়েছিলেন অপারেশনের জন্য ৭০ হাজার টাকা লাগবে। সব মিলিয়ে ১ লাখ। সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিপজল ভাইকে ফোন দিই। তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপর এখন শুনি যে, মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে সমস্যা। ডিস্কও চেঞ্জ করতে হবে। ৪-৫ লাখ টাকার ব্যাপার। এরমধ্যে মেয়ের স্কুলের ভর্তি, সংসার খরচ- সবই করতে হচ্ছে। অথচ গত ৫ মাস আমি কোনো শো-ই করতে পারিনি।’

তার দুরাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। জানালেন সেটা নিয়েও সমস্যা পড়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের যে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন, তখন জানানো হয়েছিল, ৩ বছর পর এটা আমি ভাঙাতে পারবো। ৩ বছর পূর্ণ হলেও ব্যাংক সে টাকা আমাকে দিচ্ছে না। সেটা তুলতে পারলে এখন হয়তো বাঁচতে পারতাম। হয়তো ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবো, তবে পঙ্গু হয়ে।’

উল্লেখ্য, গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। গান শেখা হয়নি। তবে তার ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন তিনি। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। বাগেরহাটের এক ব্যক্তি তার গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বছর ইত্যাদি অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।