মাহামুদুন নবী
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামে কু-প্রস্তাব ও যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষক ও তার মাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় খোকন রায় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অভিযুক্ত খোকন রায় মহম্মদপুরের ভিটে পাড়া গ্রামের লক্ষীপদ রায়ের ছেলে।
ওই স্কুল শিক্ষকের মা রিপা রানী জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরের গণশিক্ষা কার্যক্রমের একজন শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে খোকন রায় স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তার নাতনিকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। পাশাপশি কুপ্রস্তাবও দিতেন। শনিবার সকালে খোকন রায় তাদের বাড়ির সামনে এসে তার নাতনিকে একইভাবে উত্ত্যক্ত করেন। এ সময় তার মেয়ে ও নাতনি প্রতিবাদ করলে বাঁশ দিয়ে খোকন রায় তাদের পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে খোকন রায় পালিয়ে যান। প্রথমে তারা বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বিকালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের অন্যরা তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষকের চাচা নিধির বিশ্বাস বলেন, ‘বখাটে যুবক দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করছিল। শনিবার বাড়ি এসে মারধর করেছে। আমরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেব।’
অভিযুক্ত খোকন রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমি কাউকে মারধর করিনি। বরং মা-মেয়ে মিলে আমাকে মেরেছে। পরে আমাকে ফাঁসানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’