ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

দুর্লভ সংগ্রহশালা নিয়ে জাদুঘর করলেন তিনি

মাহামুদুন নবী (স্টাফ রিপোর্টার)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কবি সালাহউদদীন আহমেদ মিলটনের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি বেশ আগ্রহ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যসহ তিনি প্রায় ২০টি বই লিখেছেন। যা দেশের বিভিন্ন সনামধন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের বাড়িতে স্থাপন করেছেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহশালা ‘জাদুঘর’।

গত শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবেই এ জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। জাদুঘরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কবি সালাহউদদীন আহমেদ মিটন জাদুঘর’

তাঁর জাদুঘরে স্থান পেয়েছে, মুঘল আমলের তরবারি, মুঘল আমলের খড়গা, ৭১ এর রেডিও ব্যান্ড, পোড়া মাটির ফলক, কলের গান, পিতলের ময়ুরীকুলা, পাথরের কারুকার্য বা নকশা প্লেট, কাঠের খড়ম, বৃটিশ আমলের মুদ্রা, পাকিস্থানি আমলের মুদ্রা, রুপার তৈরী রুপালী ইলিশ, পানের বাটা, জমিদারি হুক্কা, পুরানো ক্যাসেট, হারিণের শিং, ডাকবাক্স, হ্যাজাক, হারিকেনসহ শতাধিক দুর্লভ সরঞ্জাম।

জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতি শুক্রবার ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

কবি সালাহউদদীন আহমেদ মিলটন উদ্বোধনকালে জানান, ছোট বেলা থেকেই প্রাচীন জিনিপত্র সংগ্রহ করা আমার নেশা ছিলো। এই জাদুঘরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারব। এই জাদুঘরে রাখার জন্য অনেকে দুর্লভ সামগ্রী দিয়েছেন। আবার অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

সালাহউদদীন আহমেদ মিলটনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখা বই মহম্মদপুর ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ গতিধারা প্রকাশনী থেকে, সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা নালন্দা প্রকাশনী থেকে, লোক কাহিনী অবলম্বনে ‘নদের চাঁদের কেচ্ছা’ মঞ্চ নাটক সপ্তবর্ণ প্রকাশনী থেকে, রাজা সীতারাম রায়’ মঞ্চ নাটক নবযুগ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সম্পাদনায় মহম্মদপুরে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

দুর্লভ সংগ্রহশালা নিয়ে জাদুঘর করলেন তিনি

আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাহামুদুন নবী (স্টাফ রিপোর্টার)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কবি সালাহউদদীন আহমেদ মিলটনের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি বেশ আগ্রহ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যসহ তিনি প্রায় ২০টি বই লিখেছেন। যা দেশের বিভিন্ন সনামধন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের বাড়িতে স্থাপন করেছেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহশালা ‘জাদুঘর’।

গত শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবেই এ জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। জাদুঘরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কবি সালাহউদদীন আহমেদ মিটন জাদুঘর’

তাঁর জাদুঘরে স্থান পেয়েছে, মুঘল আমলের তরবারি, মুঘল আমলের খড়গা, ৭১ এর রেডিও ব্যান্ড, পোড়া মাটির ফলক, কলের গান, পিতলের ময়ুরীকুলা, পাথরের কারুকার্য বা নকশা প্লেট, কাঠের খড়ম, বৃটিশ আমলের মুদ্রা, পাকিস্থানি আমলের মুদ্রা, রুপার তৈরী রুপালী ইলিশ, পানের বাটা, জমিদারি হুক্কা, পুরানো ক্যাসেট, হারিণের শিং, ডাকবাক্স, হ্যাজাক, হারিকেনসহ শতাধিক দুর্লভ সরঞ্জাম।

জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতি শুক্রবার ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

কবি সালাহউদদীন আহমেদ মিলটন উদ্বোধনকালে জানান, ছোট বেলা থেকেই প্রাচীন জিনিপত্র সংগ্রহ করা আমার নেশা ছিলো। এই জাদুঘরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারব। এই জাদুঘরে রাখার জন্য অনেকে দুর্লভ সামগ্রী দিয়েছেন। আবার অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

সালাহউদদীন আহমেদ মিলটনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখা বই মহম্মদপুর ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ গতিধারা প্রকাশনী থেকে, সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা নালন্দা প্রকাশনী থেকে, লোক কাহিনী অবলম্বনে ‘নদের চাঁদের কেচ্ছা’ মঞ্চ নাটক সপ্তবর্ণ প্রকাশনী থেকে, রাজা সীতারাম রায়’ মঞ্চ নাটক নবযুগ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সম্পাদনায় মহম্মদপুরে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।