ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

ওদের কাছ থেকে পুলিশও ছাড় পায়না! সোহরাওয়ার্দীর হাসপাতালের প্রতারক চক্র (পর্ব-১)

সোহেল রানা
আমরা সাধারণ জনগণ যেটা মনে করি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানার জন্য পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে। মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর কারণ জানার যে চেষ্টা করা হয়,তাকেই পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত বলা হয়। হত্যা, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনার মতো যে কোন অপমৃত্য বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত বা পোস্টমর্টেম করা হয়ে থাকে। এই ধরনের ঘটনায় প্রথমেই পুলিশ একটি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। অর্থাৎ মৃতদেহ কী অবস্থায় পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। যা নিঃস্বার্থ ভাবে জনগনের সেবক হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করে থাকেন। সরকারি মেডিকেল কলেজ সমৃহের মর্গে ময়না তদন্ত হয়। সেখানে ময়নাত দন্তের জন্য বিশেষ স্থান থাকে এবং ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা ময়না তদন্ত করে থাকেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু ডাক্তার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী মৃত্যু ব্যাক্তির কিভাবে মারা গিয়েছে সঠিক তথ্য দেওয়ার নামেই হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা। এক একটা পোস্টমর্টেম রির্পোট আনতে সোহরাওয়ার্দী ফরেনসি বিভাগের অফিস সহকারী রুবেল কে দিতে হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বহন করতে হয়, তা না হলে রুবেলের হাত থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যায় না। অনেক সময় আবার ঘুষ দেওয়ার পরেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিতে ঘুরতে হয় এক বছর পযর্ন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে জানান আমরা পুলিশ সদস্য তার পরেও টাকা না দিলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া খুবই মুশকিল এতে অনেক সময় মামলার তদন্তের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমনকি এম সি নিতে হলেও দিতে হয় সর্বোনিম্ম এক হাজার টাকা। ঢাকা আগারগাঁও অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অফিস সহকারী রুবেল এর কাছে জিম্মি এখন ময়না তদন্ত মামলার পুলিশ সদস্যরা। সুত্রে জানা যায় একটি ময়না তদন্তের রিপোর্ট নীতে রুবেল কে দিতে হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা এবং সেই ঘুষের টাকা রুবেল জনসম্মুখেই নিতে পছন্দ করেন, যা তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। রুবেল এর সাথে পাল্লা দিয়ে শাওন ও নিষ্ঠার সাথে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে এমসি রিপোর্ট দিয়ে থাকেন তবে রুবেল টাকার বিনিময়ে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সঠিক ভাবে ডেলিভারি দিলেও শাওনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ যেমন টাকা আগে দিতে হবে টাকা নেওয়ার পরে এমসি রিপোর্টের জন্য ঘুরতে ঘুরতে অনেকর জুতার নিচে ক্ষয় হয়ে যায়। তবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখার কেউ নেই এমনটাই জানান ভুক্তভোগীরা। এই অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য অফিস সহকারী রুবেল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদককে বলেন আপনি আমাদের অফিসে আসেন স্যারদের সাথে কথা বলেন রুবেল আরো জানান টাকা এক দুই হাজার আমি স্যারদের জন্য নিয়ে থাকি আমাকে এক দুইশত টাকা দেই আমি একা এই টাকা খায়না সবাই ভাগ করে নেই। টাকার বিনিময়ে এমসি রিপোর্ট দেন অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শাওনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই তথ্য জানার জন্য শাওনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন এবং প্রতিবেদক জানতে চাইলে আপনি কি পদে আছেন তখন তিনি বলেন জানিনা বলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের রয়েছে নানা অভিযোগ এক কথায় বলা যায় রুবেল ও শাওনের কাছে সবাই অসহায়। অনিয়ম অভিযোগের বিষয়টি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার বলে মনে করেন ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের একটাই চাওয়া।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

ওদের কাছ থেকে পুলিশও ছাড় পায়না! সোহরাওয়ার্দীর হাসপাতালের প্রতারক চক্র (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ১২:২৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

সোহেল রানা
আমরা সাধারণ জনগণ যেটা মনে করি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানার জন্য পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে। মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর কারণ জানার যে চেষ্টা করা হয়,তাকেই পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত বলা হয়। হত্যা, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনার মতো যে কোন অপমৃত্য বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত বা পোস্টমর্টেম করা হয়ে থাকে। এই ধরনের ঘটনায় প্রথমেই পুলিশ একটি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। অর্থাৎ মৃতদেহ কী অবস্থায় পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। যা নিঃস্বার্থ ভাবে জনগনের সেবক হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করে থাকেন। সরকারি মেডিকেল কলেজ সমৃহের মর্গে ময়না তদন্ত হয়। সেখানে ময়নাত দন্তের জন্য বিশেষ স্থান থাকে এবং ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা ময়না তদন্ত করে থাকেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু ডাক্তার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী মৃত্যু ব্যাক্তির কিভাবে মারা গিয়েছে সঠিক তথ্য দেওয়ার নামেই হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা। এক একটা পোস্টমর্টেম রির্পোট আনতে সোহরাওয়ার্দী ফরেনসি বিভাগের অফিস সহকারী রুবেল কে দিতে হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বহন করতে হয়, তা না হলে রুবেলের হাত থেকে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যায় না। অনেক সময় আবার ঘুষ দেওয়ার পরেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিতে ঘুরতে হয় এক বছর পযর্ন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে জানান আমরা পুলিশ সদস্য তার পরেও টাকা না দিলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া খুবই মুশকিল এতে অনেক সময় মামলার তদন্তের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমনকি এম সি নিতে হলেও দিতে হয় সর্বোনিম্ম এক হাজার টাকা। ঢাকা আগারগাঁও অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অফিস সহকারী রুবেল এর কাছে জিম্মি এখন ময়না তদন্ত মামলার পুলিশ সদস্যরা। সুত্রে জানা যায় একটি ময়না তদন্তের রিপোর্ট নীতে রুবেল কে দিতে হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা এবং সেই ঘুষের টাকা রুবেল জনসম্মুখেই নিতে পছন্দ করেন, যা তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। রুবেল এর সাথে পাল্লা দিয়ে শাওন ও নিষ্ঠার সাথে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে এমসি রিপোর্ট দিয়ে থাকেন তবে রুবেল টাকার বিনিময়ে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সঠিক ভাবে ডেলিভারি দিলেও শাওনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ যেমন টাকা আগে দিতে হবে টাকা নেওয়ার পরে এমসি রিপোর্টের জন্য ঘুরতে ঘুরতে অনেকর জুতার নিচে ক্ষয় হয়ে যায়। তবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখার কেউ নেই এমনটাই জানান ভুক্তভোগীরা। এই অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য অফিস সহকারী রুবেল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদককে বলেন আপনি আমাদের অফিসে আসেন স্যারদের সাথে কথা বলেন রুবেল আরো জানান টাকা এক দুই হাজার আমি স্যারদের জন্য নিয়ে থাকি আমাকে এক দুইশত টাকা দেই আমি একা এই টাকা খায়না সবাই ভাগ করে নেই। টাকার বিনিময়ে এমসি রিপোর্ট দেন অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শাওনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই তথ্য জানার জন্য শাওনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন এবং প্রতিবেদক জানতে চাইলে আপনি কি পদে আছেন তখন তিনি বলেন জানিনা বলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের রয়েছে নানা অভিযোগ এক কথায় বলা যায় রুবেল ও শাওনের কাছে সবাই অসহায়। অনিয়ম অভিযোগের বিষয়টি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার বলে মনে করেন ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের একটাই চাওয়া।