ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ঘুষের টাকা স্যারেরা খায়!

সোহেল রানা
ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টাকা ছাড়া হয় না এই অভিযোগ নতুন কিছু না। সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্ট ও মিলে টাকার বিনময়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই জানান ভুক্তভোগী পুলিশ ও সাধারণ জনগণ। তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৩ কর্মচারীর দখলে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ভাবেই করে যাচ্ছেন এই অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিতে অফিস সহকারী রবিউল এর নিকট থেকে একবছর ও লেগে যায়। এমসি রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে শাওনের কাছে মিলে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে অনেক সময় কোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে এমসি রিপোর্ট দেই নাই।আর একজন হলো মোস্তফা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওর্য়াড বয়। এই অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদক কে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেন । অফিস সহকারী পদে থাকলেও বড় কর্মকর্তা দের আদেশের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই এমনটাই জানান রবিউল ও শাওন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এরা তিন জন। অফিস সহকারী রবিউল প্রতিবেদক কে বলেন ভাই যে টাকা আমি রাখি তা আমার হজম করার ক্ষমতা নেই যে ডাক্তার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তৈরী করে তাকে দিতে হয় আর সবাই নেই আমি একা না অনেক নারী সদস্যরা ওজড়িত আমি ১০০ টাকা পাই। আপনি ডাক্তার স্যারদের সাথে কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম অভিযোগ দেখার কেউ যেন নেই। পুলিশ সদস্য থেকেই শুরু করে সাধারণ জনগণের একই অভিযোগ। তাহলে কি ধরে নিতে হবে অফিস সহকারিদের ক্ষমতার কাছে সবাই অসহায় কারণ ঘুসের টাকা জনসম্মুখে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ নেই নাকি শস্যের মধ্যেই ভুত। একাধিক সুত্রে জানা যায় কিছু অসাধু ডাক্তার ওকর্মকতা জড়িত রয়েছে তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন সুফল আসেনা। কারণ এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উপর আলার হুকুমেই চলতে হয়। আর যাদের হুকুমে এই অবৈধ কার্যকলাপ বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা সবাই ধরা ছোয়ায় বাহিরেই থেকে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান এখানে কর্মকর্তার চাইতেও কর্মচারিদের ক্ষমতা বেশী তাই অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিষয়টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবে এবং সেবা নিতে আশা সকলের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ঘুষের টাকা স্যারেরা খায়!

আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

সোহেল রানা
ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টাকা ছাড়া হয় না এই অভিযোগ নতুন কিছু না। সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্ট ও মিলে টাকার বিনময়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই জানান ভুক্তভোগী পুলিশ ও সাধারণ জনগণ। তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৩ কর্মচারীর দখলে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ভাবেই করে যাচ্ছেন এই অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিতে অফিস সহকারী রবিউল এর নিকট থেকে একবছর ও লেগে যায়। এমসি রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে শাওনের কাছে মিলে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে অনেক সময় কোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে এমসি রিপোর্ট দেই নাই।আর একজন হলো মোস্তফা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওর্য়াড বয়। এই অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদক কে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেন । অফিস সহকারী পদে থাকলেও বড় কর্মকর্তা দের আদেশের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই এমনটাই জানান রবিউল ও শাওন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এরা তিন জন। অফিস সহকারী রবিউল প্রতিবেদক কে বলেন ভাই যে টাকা আমি রাখি তা আমার হজম করার ক্ষমতা নেই যে ডাক্তার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তৈরী করে তাকে দিতে হয় আর সবাই নেই আমি একা না অনেক নারী সদস্যরা ওজড়িত আমি ১০০ টাকা পাই। আপনি ডাক্তার স্যারদের সাথে কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম অভিযোগ দেখার কেউ যেন নেই। পুলিশ সদস্য থেকেই শুরু করে সাধারণ জনগণের একই অভিযোগ। তাহলে কি ধরে নিতে হবে অফিস সহকারিদের ক্ষমতার কাছে সবাই অসহায় কারণ ঘুসের টাকা জনসম্মুখে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ নেই নাকি শস্যের মধ্যেই ভুত। একাধিক সুত্রে জানা যায় কিছু অসাধু ডাক্তার ওকর্মকতা জড়িত রয়েছে তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন সুফল আসেনা। কারণ এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উপর আলার হুকুমেই চলতে হয়। আর যাদের হুকুমে এই অবৈধ কার্যকলাপ বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা সবাই ধরা ছোয়ায় বাহিরেই থেকে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান এখানে কর্মকর্তার চাইতেও কর্মচারিদের ক্ষমতা বেশী তাই অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিষয়টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবে এবং সেবা নিতে আশা সকলের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে।