ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

দুদকের মামলায় জামিন পাননি সম্রাট, মিলছে না মুক্তি

আদালত প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জণের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দেয়নি আদালত। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে কারাগারে থাকা এ নেতার মুক্তি মিলছে না। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ আসামির জামিন আবেদন ওপর শুনানি হয়। পরে দুপুরে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ প্রদান করেন।

আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার আসামি কারাগারে রয়েছে। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে সে অসুস্থ। তাই আদালত থেকে জামিন পাওয়ার অধিকার তার ছিল। অপর তিনটি মামলায়ও আদালত দীর্ঘ হাজতবাস এবং অসুস্থতা বিবেচনায় জামিন দিয়েছেন বলেও এ আইনজীবী জানান।

এর আগে চার্জশিট হওয়া মাদক আইনের এ মামলায় গত ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার জামিন মঞ্জুর করেছেন। তার আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন মানিলন্ডারিং মামলায় রিমান্ড আবেদন নাকচ করে এ জামিন আদেশ দেন।

অন্যদিকে একইদিন অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। মামলাটিতে ওই বছর ১৭ নভেম্বর আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মানিলন্ডারিং মামলায় বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন। ওই ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

অস্ত্র মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। আটকের সময় আরমান মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঢাকার কাকরাইল তার রাজনৈতিক অফিসে আনেক মাদকদ্রব্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে। এরপর তাকে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অফিসে অভিযানের সময় ৪র্থ তলায় তল্লাশি করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের পশ্চিম পাশের বেড রুমের বিছানার মাথার পাশে জাজিমের তোষকের নিচ থেকে একটি লেখা বিহীন ৭.৬৫ বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন আনুমানিক সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি , রুম থেকে ২টি ইলেকট্রিক মেশিন ও ২ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তদন্তেও লাইসেন্স বিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলাটি চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আর মানিলন্ডারিং আইনের মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

দুদকের মামলায় জামিন পাননি সম্রাট, মিলছে না মুক্তি

আপডেট টাইম : ১২:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

আদালত প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জণের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দেয়নি আদালত। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে কারাগারে থাকা এ নেতার মুক্তি মিলছে না। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ আসামির জামিন আবেদন ওপর শুনানি হয়। পরে দুপুরে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ প্রদান করেন।

আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার আসামি কারাগারে রয়েছে। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে সে অসুস্থ। তাই আদালত থেকে জামিন পাওয়ার অধিকার তার ছিল। অপর তিনটি মামলায়ও আদালত দীর্ঘ হাজতবাস এবং অসুস্থতা বিবেচনায় জামিন দিয়েছেন বলেও এ আইনজীবী জানান।

এর আগে চার্জশিট হওয়া মাদক আইনের এ মামলায় গত ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার জামিন মঞ্জুর করেছেন। তার আগে গত ১০ এপ্রিল ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন মানিলন্ডারিং মামলায় রিমান্ড আবেদন নাকচ করে এ জামিন আদেশ দেন।

অন্যদিকে একইদিন অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। মামলাটিতে ওই বছর ১৭ নভেম্বর আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মানিলন্ডারিং মামলায় বলা হয়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন। ওই ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

অস্ত্র মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। আটকের সময় আরমান মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঢাকার কাকরাইল তার রাজনৈতিক অফিসে আনেক মাদকদ্রব্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে। এরপর তাকে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ওই অফিসে অভিযানের সময় ৪র্থ তলায় তল্লাশি করা হয়। ওই ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের পশ্চিম পাশের বেড রুমের বিছানার মাথার পাশে জাজিমের তোষকের নিচ থেকে একটি লেখা বিহীন ৭.৬৫ বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন আনুমানিক সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি , রুম থেকে ২টি ইলেকট্রিক মেশিন ও ২ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তদন্তেও লাইসেন্স বিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলাটি চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আর মানিলন্ডারিং আইনের মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।