ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

শাহআলীতে রমরমা মাদক বানিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানার ঝিলপাড় বস্তির মানুষেরা জিম্মি হয়ে পড়েছে দুই মাদক সম্রাটের হাতে। সহোদর এই দুই মাদক বিক্রেতা হচ্ছেন জাহাঙ্গীর ও তার ভাই আলমগীর। এদের মাদক কারবারিতে অতিষ্ট এখানকার নিম্ন আয়ের বাসিন্দারা। মাদকের কারণে এই বস্তি এলাকায় বাড়ছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এছাড়া, চুরি ছিনতাই, চাঁদাবাজি হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার পচ্চিম পাশে তুরাগ নদী ঘেঁষে শাহ্আলী থানা অবস্থিত। শাহ্আলী এলাকা ছোট হলেও জনসংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখ। ডিএমপির অন্য থানা এলাকার চেয়ে শাহ্আলী থানা এলাকায় বস্তির সংখ্যা বেশি। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন-মধ্যম আয়ের হওয়ায় সহজেই এরা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ওই সূত্রগুলো বলেছেন, শাহ্আলী থানাধীন হাজি রোড ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দাদের কাছে এক মুর্তিমান আতঙ্কের নাম জাহাঙ্গীর ও জাহাঙ্গীরের ভাই আলমগীর। এছাড়া জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রিতা,জাহাঙ্গীরের শশুরও এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িত। মাদক বিক্রির বড়ো একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে এই এলাকায় । এই অপরাধী চক্রের কেউ জেল হাজতে থাকলে , পালিয়ে গেলে কিংবা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও ব্যবসা বন্ধ হয়না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধান সহযোগী মাসুম ২০১৬ সালে ডিউটিরত পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেছিলেন। মাসুম বর্তমান মোটরসাইকেল মেকানিক্স বলে নিজেকে পরিচয় দেন। মাসুমের প্রধান কাজেই হচ্ছে, জাহাঙ্গীর পুলিশের হাতে ধরা পড়লে থানায় তদবির করে ছাড়িয়ে নেওয়া কিংবা কোর্ট থেকে জামিন করানো। সর্বশেষ শেষ মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১শ’ পিস ইয়াবা টেবলেট’সহ আটক করেন শাহ্আলী থানার এস আই জাহেদ, এএসআই, সরকার দেবাশীষ রায়, এএসআই, আশরাফুল আলম ও (কং) মোস্তফা। মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পেরন করেন। জাহাঙ্গীর কারাগারে গেলেও মাদক কেনাবেচা’সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন এখন জাহাঙ্গীরের ভাই’সহ পরিবারের অন্য সদস্যদরা। মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর নামে ২৬ টি মামলা রয়েছে । বিভিন্ন সময় একাধিক মামলায় আটক হলেও অদৃশ্য ক্ষমতা বলে জামিনে বেড়িয়ে দাপটের সাথে বীরদর্পে নিয়ন্ত্রণ করেন মাদকের সম্রাজ্য। রাজধানীর মিরপুর বিভাগের শাহ্ আলী থানা এলাকায় গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য, একাধিক বিক্রয়কর্মী দিয়ে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা-সহ অবাধে মাদকের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীর, আলমগীর জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রিতা। বর্তমান সরকারের আমলেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে, শাহ্আলী, রূপনগর, মিরপুর থানা’সহ বিভিন্ন থানায়। কমপক্ষে ২৬টি মামলার তথ্য জানতে পেরেছে দৈনিক খবর বাংলাদেশ বলেন। মামলার এজাহারে তাদের পরিচয়, জাহাঙ্গীর মোল্লা, পিতা দায়েন মোল্লা, মাতা – সাফিয়া বেগম / তোতুলি বেগম। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম চর কামলদী ডাকঘর – চরকামালদী,উপজেলা – সোনারগাঁও, জেলা নারায়নগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানা ঃ হাজি রোড ঝিলপাড় বস্তি, থানা শাহ্আলী, সেকশন -০৩,ব্লক- জে, মিরপুর, ঢাকা। মামলা নং তাং দেওয়া হইলো (৮)(১০০) ০৭/০৪/২০২২ ইং, ১৮)৩১৯) ০৭/১১/২১ইং, (১১)(৩২) ১২/০২/২০ ইং, (২৮)১৫১) ২০/০৭/২০ ইং, (১)১৭৪) ০৪/০৮/২০ ইং, (২৮)১৫১) ২০/০৭/২০ ইং,(১৫)৪৯) ২০/০২/২০ইং, (২)১২৫) ০৬/০৭/২০ ইং,(১)২১৪) ০৩/০৯/২০ইং, ১৭/৫১)২১/০২/২০ ইং, (৬)৯৬) ০৬/০৪/১৯ ইং, (৫)৯৫) ০৫/০৪/১৯ইং,(১৩)৫৫) ১৬/০৩/১৭ ইং, এফআইআর প্রসিকিউশন নং ২৯৪/২০২১ ইং,(১৭)৫১) ২১/০২/২০ ইং, (২৮)১৫১) ২০/০৭/২০ ইং, (১)১৭৪) ০৪/০৮/২০ ইং, (১৬)১২১) ০৩/০৯/২০ ইং, (১)২১৪) ০৩/০৯/২০ ইং, (২)১২৫) ০৬/০৭/২০ ইং, (১৫)৪৯) ২০/০২/২০ ইং,(০৬)৯৬) ০৬/০৪১৯ ইং, (০৫)৯৫) ০৫/০৪/১৯ ইং, (১৭)৫৫) ১৬/০৩/১৭ ইং(১)১৯০) ০১/০৭/১৯ ইং,(৫)১২৬) ০৭/০৫/১৯ ইং। শাহ্আলী থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের ডন জাহাঙ্গীর জেল হাজতে থাকলেও জাহাঙ্গীরের আপন ভাই আলমগীর প্রকাশ্য দিবালোকে মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের উপর জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। কিন্তু চিহ্নিত কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে আইনশৃংখলা বাহিনীর শত চেষ্টার পরেও কোনো ভাবেই মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক কারবারির সংখ্যা। জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের মাথার উপর স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আর্শীবাদ রয়েছে বলে জানা যায়। এই জাহাঙ্গীর শুধু শাহ্আলী থানা এলাকাতেই নয়, আশপাশের থানা এলাকাতেও মাদকদ্রব্য বেচা-কেনায় শীর্ষে রয়েছেন। জাহাঙ্গীর মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হলেও কিছু দিনপর অদৃশ্য ক্ষমতা বলে জামিনে বের হয়ে পুনরায় আবার গড়ে তোলে মাদক সাম্রাজ্য। তার এই মাদক সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে সে শাহআলী এলাকায় গড়ে তুলেছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়-প্রশয়ে তথা কথিত বড় ভাইদের দাপটে দাপিয়ে বেড়ান। এই মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের দাপটের কাছে এলাকার সাধারন মানুষ জিম্মি। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না বলে অনেকেই জানিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু বলেন, ঝিলপাড় বস্তিতে মাদক কারবারির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, মাদকদ্রব্য সেবন এখন বিক্রি বন্ধ করতে আমি বদ্ধপরিকর। শাহ্আলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান দৈনিক খবর বাংলাদেশ প্রতিবেদক’কে বলেন, শাহ্আলী থানা এলাকায় কোন অনিয়ম হলে কোন ছাড় নয়, মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা, চাঁদাবাজি দখলবাজি যে-ই করুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ওসি এবিএম আসাদুজ্জামান শাহ্আলী থানায় যোগদানের পর থেকে বহু মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার গাঁ ঢাঁকা দিয়েছে। অন্যান্য অপরাধীরাও নিজেদের কে গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরের পরিবার। শাহ্আলী থানা এলাকার যুবসমাজ ও সাধারণ জনগণকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

শাহআলীতে রমরমা মাদক বানিজ্য

আপডেট টাইম : ০৬:২৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানার ঝিলপাড় বস্তির মানুষেরা জিম্মি হয়ে পড়েছে দুই মাদক সম্রাটের হাতে। সহোদর এই দুই মাদক বিক্রেতা হচ্ছেন জাহাঙ্গীর ও তার ভাই আলমগীর। এদের মাদক কারবারিতে অতিষ্ট এখানকার নিম্ন আয়ের বাসিন্দারা। মাদকের কারণে এই বস্তি এলাকায় বাড়ছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এছাড়া, চুরি ছিনতাই, চাঁদাবাজি হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার পচ্চিম পাশে তুরাগ নদী ঘেঁষে শাহ্আলী থানা অবস্থিত। শাহ্আলী এলাকা ছোট হলেও জনসংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখ। ডিএমপির অন্য থানা এলাকার চেয়ে শাহ্আলী থানা এলাকায় বস্তির সংখ্যা বেশি। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন-মধ্যম আয়ের হওয়ায় সহজেই এরা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ওই সূত্রগুলো বলেছেন, শাহ্আলী থানাধীন হাজি রোড ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দাদের কাছে এক মুর্তিমান আতঙ্কের নাম জাহাঙ্গীর ও জাহাঙ্গীরের ভাই আলমগীর। এছাড়া জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রিতা,জাহাঙ্গীরের শশুরও এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িত। মাদক বিক্রির বড়ো একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে এই এলাকায় । এই অপরাধী চক্রের কেউ জেল হাজতে থাকলে , পালিয়ে গেলে কিংবা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও ব্যবসা বন্ধ হয়না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধান সহযোগী মাসুম ২০১৬ সালে ডিউটিরত পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেছিলেন। মাসুম বর্তমান মোটরসাইকেল মেকানিক্স বলে নিজেকে পরিচয় দেন। মাসুমের প্রধান কাজেই হচ্ছে, জাহাঙ্গীর পুলিশের হাতে ধরা পড়লে থানায় তদবির করে ছাড়িয়ে নেওয়া কিংবা কোর্ট থেকে জামিন করানো। সর্বশেষ শেষ মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১শ’ পিস ইয়াবা টেবলেট’সহ আটক করেন শাহ্আলী থানার এস আই জাহেদ, এএসআই, সরকার দেবাশীষ রায়, এএসআই, আশরাফুল আলম ও (কং) মোস্তফা। মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পেরন করেন। জাহাঙ্গীর কারাগারে গেলেও মাদক কেনাবেচা’সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন এখন জাহাঙ্গীরের ভাই’সহ পরিবারের অন্য সদস্যদরা। মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর নামে ২৬ টি মামলা রয়েছে । বিভিন্ন সময় একাধিক মামলায় আটক হলেও অদৃশ্য ক্ষমতা বলে জামিনে বেড়িয়ে দাপটের সাথে বীরদর্পে নিয়ন্ত্রণ করেন মাদকের সম্রাজ্য। রাজধানীর মিরপুর বিভাগের শাহ্ আলী থানা এলাকায় গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য, একাধিক বিক্রয়কর্মী দিয়ে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা-সহ অবাধে মাদকের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীর, আলমগীর জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রিতা। বর্তমান সরকারের আমলেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে, শাহ্আলী, রূপনগর, মিরপুর থানা’সহ বিভিন্ন থানায়। কমপক্ষে ২৬টি মামলার তথ্য জানতে পেরেছে দৈনিক খবর বাংলাদেশ বলেন। মামলার এজাহারে তাদের পরিচয়, জাহাঙ্গীর মোল্লা, পিতা দায়েন মোল্লা, মাতা – সাফিয়া বেগম / তোতুলি বেগম। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম চর কামলদী ডাকঘর – চরকামালদী,উপজেলা – সোনারগাঁও, জেলা নারায়নগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানা ঃ হাজি রোড ঝিলপাড় বস্তি, থানা শাহ্আলী, সেকশন -০৩,ব্লক- জে, মিরপুর, ঢাকা। মামলা নং তাং দেওয়া হইলো (৮)(১০০) ০৭/০৪/২০২২ ইং, ১৮)৩১৯) ০৭/১১/২১ইং, (১১)(৩২) ১২/০২/২০ ইং, (২৮)১৫১) ২০/০৭/২০ ইং, (১)১৭৪) ০৪/০৮/২০ ইং, (২৮)১৫১) ২০/০৭/২০ ইং,(১৫)৪৯) ২০/০২/২০ইং, (২)১২৫) ০৬/০৭/২০ ইং,(১)২১৪) ০৩/০৯/২০ইং, ১৭/৫১)২১/০২/২০ ইং, (৬)৯৬) ০৬/০৪/১৯ ইং, (৫)৯৫) ০৫/০৪/১৯ইং,(১৩)৫৫) ১৬/০৩/১৭ ইং, এফআইআর প্রসিকিউশন নং ২৯৪/২০২১ ইং,(১৭)৫১) ২১/০২/২০ ইং, (২৮)১৫১) ২০/০৭/২০ ইং, (১)১৭৪) ০৪/০৮/২০ ইং, (১৬)১২১) ০৩/০৯/২০ ইং, (১)২১৪) ০৩/০৯/২০ ইং, (২)১২৫) ০৬/০৭/২০ ইং, (১৫)৪৯) ২০/০২/২০ ইং,(০৬)৯৬) ০৬/০৪১৯ ইং, (০৫)৯৫) ০৫/০৪/১৯ ইং, (১৭)৫৫) ১৬/০৩/১৭ ইং(১)১৯০) ০১/০৭/১৯ ইং,(৫)১২৬) ০৭/০৫/১৯ ইং। শাহ্আলী থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের ডন জাহাঙ্গীর জেল হাজতে থাকলেও জাহাঙ্গীরের আপন ভাই আলমগীর প্রকাশ্য দিবালোকে মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের উপর জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। কিন্তু চিহ্নিত কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে আইনশৃংখলা বাহিনীর শত চেষ্টার পরেও কোনো ভাবেই মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক কারবারির সংখ্যা। জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের মাথার উপর স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আর্শীবাদ রয়েছে বলে জানা যায়। এই জাহাঙ্গীর শুধু শাহ্আলী থানা এলাকাতেই নয়, আশপাশের থানা এলাকাতেও মাদকদ্রব্য বেচা-কেনায় শীর্ষে রয়েছেন। জাহাঙ্গীর মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হলেও কিছু দিনপর অদৃশ্য ক্ষমতা বলে জামিনে বের হয়ে পুনরায় আবার গড়ে তোলে মাদক সাম্রাজ্য। তার এই মাদক সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে সে শাহআলী এলাকায় গড়ে তুলেছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়-প্রশয়ে তথা কথিত বড় ভাইদের দাপটে দাপিয়ে বেড়ান। এই মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের দাপটের কাছে এলাকার সাধারন মানুষ জিম্মি। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না বলে অনেকেই জানিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু বলেন, ঝিলপাড় বস্তিতে মাদক কারবারির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, মাদকদ্রব্য সেবন এখন বিক্রি বন্ধ করতে আমি বদ্ধপরিকর। শাহ্আলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান দৈনিক খবর বাংলাদেশ প্রতিবেদক’কে বলেন, শাহ্আলী থানা এলাকায় কোন অনিয়ম হলে কোন ছাড় নয়, মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা, চাঁদাবাজি দখলবাজি যে-ই করুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ওসি এবিএম আসাদুজ্জামান শাহ্আলী থানায় যোগদানের পর থেকে বহু মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার গাঁ ঢাঁকা দিয়েছে। অন্যান্য অপরাধীরাও নিজেদের কে গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক সম্রাট জাহাঙ্গীরের পরিবার। শাহ্আলী থানা এলাকার যুবসমাজ ও সাধারণ জনগণকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।