ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসিয়ান সিটির দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট

সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে, ইনর্চাজ আয়শাকে শোকজ

এম.জাফরান হারুন :

পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র মেয়াদ থাকা সত্ত্বে ও শত শত খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড ইনচার্জের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত মেয়াদ আছে এমন শত শত সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে আছে। এসব স্যালাইন না দিয়ে সাধারণ রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। সরকারি বিনামুল্যের বিপুল সংখ্যক স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় করেন।

ডাস্টবিন থেকে স্যালাইন নিয়ে ফিরছিলেন তাদের একজন সকিনা বেগম জানান , গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। এসময় নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজানকে একটি বড় ব্যাগে করে এসব স্যালাইন নিয়ে যেতে দেখি। এছাড়াও আরও মানুষজনও তাকে স্যালাইন নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখে ফেললে তিনি স্যালাইনগুলো পার্শ্ববর্তী ডাষ্টবিনে ফেলে দিয়ে দ্রুত সরে পড়েন।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের সাথে জড়িত কিছু ঔষধ ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের কাছ থেকে সাধারণ রোগীরা ঔষধ ও স্যালাইন কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের একাধিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ বা স্যালাইন সরবরাহ থাকলেও আগত রোগীদের সরবরাহ নেই বলে বাইরের ফার্মেসি থেকে ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের কিনে আনতে বাধ্য করা হয়।

সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ রুহুল আমীন বলেন, আমার এখান থেকে ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান ওরাল স্যালাইন তার ওয়ার্ডে নিয়ে গেছেন। তিনি তারপর কি করেছেন তা তো আমি জানি না।

ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান বলেন, আমি জ্ঞাতসারে কোথাও ওআরএস ফেলিনি। আপনারা পেয়েছেন। এটা কোন কারনে হতে পারে। হয়ত অসাবধানতা বসত কোন ক্লীনার বা কেউ ফেলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি শোকজের চিঠি পেয়েছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, কেন সরকারি ওরাল স্যালাইন ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে তার কারন জানতে চেয়ে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিয়ান সিটির দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে, ইনর্চাজ আয়শাকে শোকজ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

এম.জাফরান হারুন :

পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র মেয়াদ থাকা সত্ত্বে ও শত শত খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড ইনচার্জের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত মেয়াদ আছে এমন শত শত সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে আছে। এসব স্যালাইন না দিয়ে সাধারণ রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। সরকারি বিনামুল্যের বিপুল সংখ্যক স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় করেন।

ডাস্টবিন থেকে স্যালাইন নিয়ে ফিরছিলেন তাদের একজন সকিনা বেগম জানান , গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। এসময় নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজানকে একটি বড় ব্যাগে করে এসব স্যালাইন নিয়ে যেতে দেখি। এছাড়াও আরও মানুষজনও তাকে স্যালাইন নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখে ফেললে তিনি স্যালাইনগুলো পার্শ্ববর্তী ডাষ্টবিনে ফেলে দিয়ে দ্রুত সরে পড়েন।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের সাথে জড়িত কিছু ঔষধ ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের কাছ থেকে সাধারণ রোগীরা ঔষধ ও স্যালাইন কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের একাধিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ বা স্যালাইন সরবরাহ থাকলেও আগত রোগীদের সরবরাহ নেই বলে বাইরের ফার্মেসি থেকে ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের কিনে আনতে বাধ্য করা হয়।

সরকারি খাবার স্যালাইন ডাস্টবিনে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ রুহুল আমীন বলেন, আমার এখান থেকে ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান ওরাল স্যালাইন তার ওয়ার্ডে নিয়ে গেছেন। তিনি তারপর কি করেছেন তা তো আমি জানি না।

ওয়ার্ড ইনচার্জ আয়শা মারজান বলেন, আমি জ্ঞাতসারে কোথাও ওআরএস ফেলিনি। আপনারা পেয়েছেন। এটা কোন কারনে হতে পারে। হয়ত অসাবধানতা বসত কোন ক্লীনার বা কেউ ফেলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি শোকজের চিঠি পেয়েছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, কেন সরকারি ওরাল স্যালাইন ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে তার কারন জানতে চেয়ে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।