ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে

মিরপুরের আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য-(পর্ব-১)

সোহেল রানা :
রাজধনী মিরপুর-১ নম্বর শাহআলী থানাধীন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে রবিউল টাওয়ারের ৯ম তলায় নিউ লন্ডন প্যালেস হোটেল ও বাগদাদ মার্কেটের ১০ম তলায় হোটেল আল মামুন এই দুইটি আবাসিক হোটেলে অবাধে চলছে দেহ ব্যবসা। সুত্রে জানা যায়, নিউ লন্ডন প্যালেস হোটেলের মালিক মারুফ মিরপুরের সকল আবাসিক হোটেল গুলো নিয়ন্ত্রন করে থাকে । দেহ ব্যবসা নিরাপদে করতে হোটেল মালিক ও দালালরা মারুফের কথামোতাবেক চলে। প্রতিদিনের আয়ের একটি অংশ মারুফকে দিয়ে থাকে এ অবৈধ ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালাল জানান, হোটেল মালিক ও দালালদের সঙ্গে পুলিশের মাসিক চুক্তি রয়েছে। তবে পুলিশ চাইলে একদিনের মধ্যেই এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা। অবাধে দেহ ব্যবসা করার কারণে সমাজে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আবাসিক হোটেলসহ দেহ ব্যবসাসহ মাদকের আগ্রাসন বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। মিরপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণপু স্থানগুলিতে পতিতাদের দৃশ্যমান বিচরণ, সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি ও চলাফেরার কারণে তারা অনৈতিক কাজের জন্য হোটেল আল মামুন ও নিউ লন্ডন প্যালেস হোটেল নিরাপদ মনে করে অবস্থান নেই। টপ টেররদের চাঁদাবাজি, মাদক, নারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয় এসব হোটেল থেকেই হয়। বর্তমানে ওই দুই হোটেলে বসে নারী দেহের পসরা, আর সাথে মাদক তো রয়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে তাদের এই অবৈধ দেহ ব্যবসা। তবু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। মিরপুর-১ নম্বর ফুট ওভার ব্রিজ এখন অনেকটা পতিতার হাঁট হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেছে। পতিতাদের খদ্দের এখানে মিলিত হয়। ২৪ ঘন্টা চলে কেনা বেচা। ক্রমশঃ বাড়ছে এই দুই হেটেলে পতিতাদের বাজার। ওই দুই হোটেলে ঘুরে দেখা যায় হোটেলের পিছন দিকে রয়েছে পালনোর জন্য বিশেষ সিড়ি। যার ফলে প্রসাশন অভিযান চালালে কাউকে খুজে পায়না। আরও বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

মিরপুরের আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য-(পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০৬:০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

সোহেল রানা :
রাজধনী মিরপুর-১ নম্বর শাহআলী থানাধীন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে রবিউল টাওয়ারের ৯ম তলায় নিউ লন্ডন প্যালেস হোটেল ও বাগদাদ মার্কেটের ১০ম তলায় হোটেল আল মামুন এই দুইটি আবাসিক হোটেলে অবাধে চলছে দেহ ব্যবসা। সুত্রে জানা যায়, নিউ লন্ডন প্যালেস হোটেলের মালিক মারুফ মিরপুরের সকল আবাসিক হোটেল গুলো নিয়ন্ত্রন করে থাকে । দেহ ব্যবসা নিরাপদে করতে হোটেল মালিক ও দালালরা মারুফের কথামোতাবেক চলে। প্রতিদিনের আয়ের একটি অংশ মারুফকে দিয়ে থাকে এ অবৈধ ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালাল জানান, হোটেল মালিক ও দালালদের সঙ্গে পুলিশের মাসিক চুক্তি রয়েছে। তবে পুলিশ চাইলে একদিনের মধ্যেই এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা। অবাধে দেহ ব্যবসা করার কারণে সমাজে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আবাসিক হোটেলসহ দেহ ব্যবসাসহ মাদকের আগ্রাসন বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। মিরপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণপু স্থানগুলিতে পতিতাদের দৃশ্যমান বিচরণ, সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি ও চলাফেরার কারণে তারা অনৈতিক কাজের জন্য হোটেল আল মামুন ও নিউ লন্ডন প্যালেস হোটেল নিরাপদ মনে করে অবস্থান নেই। টপ টেররদের চাঁদাবাজি, মাদক, নারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয় এসব হোটেল থেকেই হয়। বর্তমানে ওই দুই হোটেলে বসে নারী দেহের পসরা, আর সাথে মাদক তো রয়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে তাদের এই অবৈধ দেহ ব্যবসা। তবু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। মিরপুর-১ নম্বর ফুট ওভার ব্রিজ এখন অনেকটা পতিতার হাঁট হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেছে। পতিতাদের খদ্দের এখানে মিলিত হয়। ২৪ ঘন্টা চলে কেনা বেচা। ক্রমশঃ বাড়ছে এই দুই হেটেলে পতিতাদের বাজার। ওই দুই হোটেলে ঘুরে দেখা যায় হোটেলের পিছন দিকে রয়েছে পালনোর জন্য বিশেষ সিড়ি। যার ফলে প্রসাশন অভিযান চালালে কাউকে খুজে পায়না। আরও বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে।