ইসমাইল হোসেন সৌরভ :
জন্ম থেকেই জ্বলছি এমন ডায়লগ এখন যেন জন্ম নিবন্ধন এর থেকেই শুনতে হচ্ছে। একটা শিশু পৃথিবীতে আগমনের পর তার আইডেন্টিটি পাওয়ার জন্য ফি প্রদান করতে হচ্ছে। যা একটা শিশুকে শিক্ষা দিচ্ছে টাকা দিয়ে পেতে হয় জন্ম পরিচয়।তাই একটি শিশুর এ অভিমান সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাংলাদেশ সরকার বেঁধে দিয়েছেন কিছু নিয়ম নীতি। তিনি বলেন জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই জনগণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে সু স্পষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করেছেন।
১। জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন বিনা ফিসে নিবন্ধন করা যাবে।
২।জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে) ২৫ টাকা দেশে নিবন্ধন করা যাবে।
৩।জন্ম বা মৃত্যুর ৫ (পাঁচ) বৎসর পর কোন ব্যক্তি জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন (সাকুল্যে) ৫০ টাকা দেশে নিবন্ধন করা যাবে।
৪।জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা।
৫।জন্ম তারিখ ব্যতিত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা বাংলাদেশে জন্ম হলে।
৬।বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ পাওয়া যাবে বিনা ফিসে।
৭।বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় নকল সরবরাহ পাওয়া যাবে ৫০ টাকা ফি জমা করে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য ৫০ টাকা ও নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা ফি নির্ধারন করে অনুমোদন দিয়েছেন। আইনের বিধান অনুযায়ী কোন ক্ষেত্রে কত ফি নেওয়া হবে তার স্পষ্ট উল্লেখ পূর্বক গেজেট পাশ করা হয়েছে। উল্লেখিত ফি এর থেকে অতিরিক্ত ফি টাকা আদায় করলে নিবন্ধনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে কেনো সরকারি আইন অমান্য করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের মহা উৎসব চলছে বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা ? এ বিষয়ে অনুসন্ধানে উঠে আসে সেবা প্রত্যাসী ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তারা বলেন আমরা জানি ৫০ আর ১০০ টাকা সরকারি ফি তার পরেও তারা জোর করে আমাদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ২০০ টাকার ফি আদায় করছে।এ ছাড়াও যার কাছে থেকে যা নিতে পারে তাই নিয়ে নেয়।আমাদের এগুলো দেখা ছাড়া বলার কিছু নাই।পরে সদ্য জমাকৃত টাকার রসিদ দেখিয়ে বলে ৫০ টাকা জমা নেয় সরকারের একাউন্টে আর ২০০ টাকা জমা নেয় মেয়রের একাউন্টে অর্থাৎ প্রকৃত ফি রুপালী ব্যাংক আমতলী শাখা STD হিসাব -০৩২ এ জমা হয়।এবং অতিরিক্ত ফি আমতলী মেয়েরের রুপালী ব্যাংক STD হিসাব -০৫এ জমা হয়।এ ভাবে বছরের পর বছর অতিরিক্ত ফি আদায় করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান কোনো কথা বলতে চান নি।