ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ মির্জাগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন নাগরিক জীবন’র সব ক্ষেত্রেই রয়েছে পুলিশের অবস্থান- ডিএমপি কমিশনার স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীর পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে আহত পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! একসঙ্গে ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ

বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়
বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাতে অবস্থান দবিরুল ইসলাম প্রধান (৫৫) ছেলের চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত হন, টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়ে হন লাঞ্ছিতের শিকার। অপমান সইতে না পেরে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তারা। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার। মৃত দবিরুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত তজমল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে ওই এলাকার জুলফিকার আলম প্রধান নামের ওই প্রতারকের বাড়িতে মৃত দবিরুলের লাশ নিয়ে অনশন করছেন এলাকাবাসী। এঘটনায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত জুলফিকার। এর আগে, দুপুরে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দবিরুল।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় লাইব্রেরীয়ান পদে ছেলে জাকিরুল ইসলামের চাকরির জন্য দুই বছর আগে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধানকে চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা দেন দবিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন আশ্বাসে রাখলেও গত দুই মাস আগে জানানো হয় চাকরি দেয়া হবেনা। টাকা ফেরত দিতেও করেন টালবাহানা। মাসখানেক আগে টাকা চাইতে গেলে দবিরুলকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় জুলফিকার। বাড়ি এসেই স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন দবিরুল। চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হলেও গত ৭ আগষ্ট ফের স্ট্রোক করেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসারক৭ জন্য রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি।
স্বজনদের দাবি- টাকার চিন্তায় স্ট্রোক করেছেন দবিরুল। যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা হবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত লাশ নিয়ে অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।
মৃত দবিরুলের ভাই বদিরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা দাবি করে জুলফিকার। আমার বড় ভাই জমি এবং গরু বিক্রি করে তাকে ১২ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু জুলফিকার চাকরি না দিয়ে প্রতারণা করেছে। টাকা ফেরৎ চাওয়ায় আমার বড় ভাইকে লাঞ্ছিতও করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমবার স্ট্রোক করার পর চিকিৎসার জন্য মাত্র ৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে জুলফিকার এবং তার পরিবারের লোকজন ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয় আমার বড় ভাইকে। এই অপমান সইতে না পেরে আমার ভাই আবারও স্ট্রোক করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। টাকা ফেরৎ না পাওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন হবেনা বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সাতমেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এমন একটি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছিপহ , স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।
ট্যাগস

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত

বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে

আপডেট টাইম : ০৫:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২
মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়
বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাতে অবস্থান দবিরুল ইসলাম প্রধান (৫৫) ছেলের চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত হন, টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়ে হন লাঞ্ছিতের শিকার। অপমান সইতে না পেরে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তারা। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার। মৃত দবিরুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত তজমল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে ওই এলাকার জুলফিকার আলম প্রধান নামের ওই প্রতারকের বাড়িতে মৃত দবিরুলের লাশ নিয়ে অনশন করছেন এলাকাবাসী। এঘটনায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত জুলফিকার। এর আগে, দুপুরে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দবিরুল।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় লাইব্রেরীয়ান পদে ছেলে জাকিরুল ইসলামের চাকরির জন্য দুই বছর আগে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধানকে চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা দেন দবিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন আশ্বাসে রাখলেও গত দুই মাস আগে জানানো হয় চাকরি দেয়া হবেনা। টাকা ফেরত দিতেও করেন টালবাহানা। মাসখানেক আগে টাকা চাইতে গেলে দবিরুলকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় জুলফিকার। বাড়ি এসেই স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন দবিরুল। চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হলেও গত ৭ আগষ্ট ফের স্ট্রোক করেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসারক৭ জন্য রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি।
স্বজনদের দাবি- টাকার চিন্তায় স্ট্রোক করেছেন দবিরুল। যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা হবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত লাশ নিয়ে অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।
মৃত দবিরুলের ভাই বদিরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা দাবি করে জুলফিকার। আমার বড় ভাই জমি এবং গরু বিক্রি করে তাকে ১২ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু জুলফিকার চাকরি না দিয়ে প্রতারণা করেছে। টাকা ফেরৎ চাওয়ায় আমার বড় ভাইকে লাঞ্ছিতও করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমবার স্ট্রোক করার পর চিকিৎসার জন্য মাত্র ৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে জুলফিকার এবং তার পরিবারের লোকজন ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয় আমার বড় ভাইকে। এই অপমান সইতে না পেরে আমার ভাই আবারও স্ট্রোক করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। টাকা ফেরৎ না পাওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন হবেনা বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সাতমেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এমন একটি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছিপহ , স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।