আরিফ হোসেন মোল্লা
বরগুনায় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থান থেকে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়িও ভাংচুর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্থ শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ২৪ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিলো।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা ১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানসহ জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবীর রেজা, সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা এবং কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সদস্য রিশাত হাসান প্রিন্স ও তাদের কর্মী ও সমর্থকরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সূত্রপাত হলেও তা মুহূর্তেই জেলা শহর উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের একটা অংশ রামদাছেনাসহ বরগুনা শহরের লঞ্চঘাট চত্বর দখলে নেয়।
বরগুনা সদর থানার এক ঝাঁক পুলিশ লঞ্চঘাটে হানা দিয়ে আগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে তাড়িয়ে দেয় এবং বেশ কিছু রামদা ছেনাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। শহরে পুলিশি টহল ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।