ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

সেই মহরম আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

সোমবার (২২ আগস্ট) বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি বলেন, ‘১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের আচরণ পুলিশ সার্ভিস রুলের পরিপন্থি হওয়ায় কমিটি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যেহেতু তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছেন, তাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে। এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি। তখন মহরম আলী এমপির সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, ‘স্যার, আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে।’

ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার বড় ভাই জসীম মোল্লা পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে এমপি শম্ভুর কাছে অভিযোগ করতে থাকলে এমপির সামনেই জসীম মোল্লাকে এএসপি মহরম ধমক দিয়ে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের অ্যাকশন হবে কিন্তু।’

জবাবে জসীম বলেন, ‘মামলা দেন, মারলেন কেন?’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এমপির সামনেই ডিবি পুলিশ জসীম মোল্লাকে পিটুনির পর আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে এমপির নির্দেশে পুলিশ জসীম মোল্লাকে ছেড়ে দেয়।

পরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ সরকার ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন খান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

সেই মহরম আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

অনলাইন ডেস্ক

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

সোমবার (২২ আগস্ট) বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি বলেন, ‘১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের আচরণ পুলিশ সার্ভিস রুলের পরিপন্থি হওয়ায় কমিটি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যেহেতু তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছেন, তাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে। এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি। তখন মহরম আলী এমপির সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, ‘স্যার, আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে।’

ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার বড় ভাই জসীম মোল্লা পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে এমপি শম্ভুর কাছে অভিযোগ করতে থাকলে এমপির সামনেই জসীম মোল্লাকে এএসপি মহরম ধমক দিয়ে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের অ্যাকশন হবে কিন্তু।’

জবাবে জসীম বলেন, ‘মামলা দেন, মারলেন কেন?’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এমপির সামনেই ডিবি পুলিশ জসীম মোল্লাকে পিটুনির পর আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে এমপির নির্দেশে পুলিশ জসীম মোল্লাকে ছেড়ে দেয়।

পরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ সরকার ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন খান।