মাহামুদুন নবী (স্টাফ রিপোর্টার):-
বাড়ির খাট বানাতে বিদ্যালয়ের অর্ধলক্ষ টাকার গাছ কেটে নিলেন দীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক । বিদ্যালয়টি মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নে অবস্থিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ির খাট ও আসবাবপত্র বানাতে দীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিমানার ভেতর থেকে ২ টি মেহেগনী গাছ অবৈধ ভাবে কেটে নেয়ার এমন অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মো: আবু তাহের ও বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি সুভাষ সাহার বিরুদ্ধে । ২১ শে আগষ্ঠ রোববার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই গাছ দুটি কেটে ফেলে । পরে ২২শে আগষ্ঠ সন্ধ্যায় কাঠ চিরাই করে ওই প্রধান শিক্ষক ও সহ-সভাপতি সুভাষ সাহা বাড়ি নেবার পথে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়। এসময় গাছের কিছু অংশ চিরাইকৃত কাঠ দীঘা ইউপি চেয়ারম্যান তার জিম্মায় ইউনিয়ন পরিষদে রাখে।
ওই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: জিয়াউর রহমান বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অজান্তেই নিয়মনীতি না মেনে রেজুলেশন ছাড়াই বড় ২টি মেহগনী গাছ কেটে নিয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে। সেসময় তিনি আরো বলেন, কেন গাছ কাটা হয়েছে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক’কে আমি জিজ্ঞেস করেছি তিনি আমাকে গাছ কাটার বিষয়ে সঠিক কোন উত্তর-ই জানায়নি।
পিটি আই কমিটির সভাপতি আব্দুর শুকুর বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহ-সভাপতি তাদের নিজেদের বাড়ির আসবাবপত্র বানানোর জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে গাছ কেটে কাঠ নিয়ে গেছে।বিষয়টি জানাজানি হবার পর প্রধানশিক্ষক সু-কৌশলে কিছু চিকন কাঠ স্কুলে এনে রেখেছে আর কিছু সহ-সভাপতির বাড়িতে রয়েছে এছাড়া জনগন সামান্য কাঠ বাঁধা দিয়ে দীঘা ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো: খোকন মিয়া তার জিম্মায় কিছু কাঠ আছে বলে স্বিকার করেন।
প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের প্রয়োজনেই গাছ দুটি কেটেছেন তবে তার বাড়িতে ও সহ-সভাপতির বাড়িতে কেন কাঠ নেওয়া হচ্ছিল সে বিষয়ে কোন জবাব তিনি দিতে পারেনী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, বিষয়টি জেনেছি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে দেখে স্কুলের গাছ নিয়ম বহির্ভুতভাবে কাটলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের গাছ এভাবে কাটার কোন নিয়ম নেই। আইন বহির্ভূতভাবে গাছ কেটে ফেললে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।