মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
১৬ ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে ওমরা ভিসা নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌদি আরব, বিমানবন্দরে আটক পেট্রোল পাম্প মালিকদের কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি শেখ হাসিনার জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী—হাসিব আলম তালুকদার বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শ্রীপুর কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ভালো কাজ হচ্ছে জানালেন এলাকাবাসী ত্রিশালে চরিত্রহীন শিক্ষককে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনতে ইমামকে লাঞ্চিত করলো কমিটি! আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে তুরস্ক?

এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে তুরস্ক?

অনলাইন ডেস্ক:

ইস্তানবুলের বাতাসে এখনও ভাসছে বারুদের গন্ধ। আতঙ্কিত বসফরাস তীরের বাসিন্দারা। রবিবারের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়। ওই হামলার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এরদোগান প্রশাসনের একাংশ এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কুর্দ বিদ্রোহীদের হাত দেখছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নতুন মাত্রা পেল কুর্দিস্তান আন্দোলন? এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে চলেছে তুরস্ক?

গতকাল জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তানবুল। তারপরই দেশজুড়ে হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে উদ্ধৃত করে আনদলৌ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মূল হামলাকারীও রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেই বিস্ফোরক রেখে আসে। সোয়লু বলেন, “আমাদের কাছে থাকা তথ্য মোতাবেক, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিকেকে) নামের একটি কুর্দ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।” এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানও ইঙ্গিতে কুর্দদেরই দায়ী করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিস্ফোরণের জবাব দিতে এবার পিকেকে-র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন এরদোগান। আর তেমনটা হলে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কুর্দরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দ। ফলে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হবে দেশটিতে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই এরদোগানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ইস্তানবুলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেকে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।

বলে রাখা ভাল, আশির দশকে তুরস্কে ‘স্বাধীন কুর্দিস্তান’ গঠনের দাবি জোরালো হয়। তখনই আত্মপ্রকাশ করে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ । বামপন্থী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ দলের চেয়ারম্যান আবদুল্লা অকালানের নেতৃত্বে প্রথমবার জনজাতি বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ কুর্দদের মনে জায়গা করে নেয় পিকেকে। তুরস্কের সরকার, জমিদার ও সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে তারা। ওঠে স্বাধীন কুর্দিস্তান গড়ে তোলার দাবি। ১৯৯০ সাল থেকে একাধিকবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে কুর্দরা।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com