ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার সিরাজদিখানে তীব্র তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করলেন জেলা পরিষদ সদস্য এমপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না-হুমকি এমপি পুত্রের! নাজমা রহিমের দোয়া মাহফিলে স্পীকারের অংশগ্রহণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ

এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে তুরস্ক?

অনলাইন ডেস্ক:

ইস্তানবুলের বাতাসে এখনও ভাসছে বারুদের গন্ধ। আতঙ্কিত বসফরাস তীরের বাসিন্দারা। রবিবারের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়। ওই হামলার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এরদোগান প্রশাসনের একাংশ এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কুর্দ বিদ্রোহীদের হাত দেখছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নতুন মাত্রা পেল কুর্দিস্তান আন্দোলন? এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে চলেছে তুরস্ক?

গতকাল জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তানবুল। তারপরই দেশজুড়ে হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে উদ্ধৃত করে আনদলৌ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মূল হামলাকারীও রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেই বিস্ফোরক রেখে আসে। সোয়লু বলেন, “আমাদের কাছে থাকা তথ্য মোতাবেক, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিকেকে) নামের একটি কুর্দ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।” এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানও ইঙ্গিতে কুর্দদেরই দায়ী করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিস্ফোরণের জবাব দিতে এবার পিকেকে-র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন এরদোগান। আর তেমনটা হলে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কুর্দরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দ। ফলে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হবে দেশটিতে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই এরদোগানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ইস্তানবুলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেকে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।

বলে রাখা ভাল, আশির দশকে তুরস্কে ‘স্বাধীন কুর্দিস্তান’ গঠনের দাবি জোরালো হয়। তখনই আত্মপ্রকাশ করে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ । বামপন্থী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ দলের চেয়ারম্যান আবদুল্লা অকালানের নেতৃত্বে প্রথমবার জনজাতি বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ কুর্দদের মনে জায়গা করে নেয় পিকেকে। তুরস্কের সরকার, জমিদার ও সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে তারা। ওঠে স্বাধীন কুর্দিস্তান গড়ে তোলার দাবি। ১৯৯০ সাল থেকে একাধিকবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে কুর্দরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা

এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে তুরস্ক?

আপডেট টাইম : ১২:১২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

ইস্তানবুলের বাতাসে এখনও ভাসছে বারুদের গন্ধ। আতঙ্কিত বসফরাস তীরের বাসিন্দারা। রবিবারের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়। ওই হামলার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এরদোগান প্রশাসনের একাংশ এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কুর্দ বিদ্রোহীদের হাত দেখছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নতুন মাত্রা পেল কুর্দিস্তান আন্দোলন? এবার কি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে চলেছে তুরস্ক?

গতকাল জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তানবুল। তারপরই দেশজুড়ে হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে উদ্ধৃত করে আনদলৌ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মূল হামলাকারীও রয়েছে। ঘটনাস্থলে সেই বিস্ফোরক রেখে আসে। সোয়লু বলেন, “আমাদের কাছে থাকা তথ্য মোতাবেক, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিকেকে) নামের একটি কুর্দ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।” এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানও ইঙ্গিতে কুর্দদেরই দায়ী করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিস্ফোরণের জবাব দিতে এবার পিকেকে-র বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন এরদোগান। আর তেমনটা হলে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কুর্দরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দ। ফলে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হবে দেশটিতে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাই এরদোগানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ইস্তানবুলের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেকে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।

বলে রাখা ভাল, আশির দশকে তুরস্কে ‘স্বাধীন কুর্দিস্তান’ গঠনের দাবি জোরালো হয়। তখনই আত্মপ্রকাশ করে ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ । বামপন্থী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ দলের চেয়ারম্যান আবদুল্লা অকালানের নেতৃত্বে প্রথমবার জনজাতি বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ কুর্দদের মনে জায়গা করে নেয় পিকেকে। তুরস্কের সরকার, জমিদার ও সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে তারা। ওঠে স্বাধীন কুর্দিস্তান গড়ে তোলার দাবি। ১৯৯০ সাল থেকে একাধিকবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে কুর্দরা।