ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

টুইটার থেকে অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করলো এলন মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক:

টুইটার কেনার মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করে ফেলেছেন এলন মাস্ক। তবে এইটুকুতেই থেমে থাকতে রাজি নন এই ধনকুবের। আবারও বিপুল সংখ্যক কর্মীকে বাতিলের খাতায় ফেলতে চলেছেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একদিনেই প্রায় এক হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছেন মাস্ক। আচমকা ইমেল করে ওই কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, টুইটারের হয়ে আর কাজ করতে হবে না তাঁদের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মীকে টুইটার থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যায় ছাঁটাই করেছেন মাস্ক। তবে এবার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপরে কোপ পড়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা বুঝতেই পারেননি যে তাঁদের চাকরি গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চুক্তি ভিত্তিক কর্মী বলেছেন, “আমরা যে যার মতো কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কোনও সিস্টেমেই আর ঢুকতে পারছিলাম না।”

এহেন ঘটনার পরে ম্যানেজাররা বুঝতে পারেন, ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে ওই কর্মীদের। একজন ম্যানেজার বলেছেন, “আমাদের ওয়েবসাইটের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছিল। সেই সময়েই আচমকা কিছু কর্মীকে আটকে দেওয়া হয়। পরে আমরা বুঝতে পারি,ওই কর্মীদের টুইটারের হয়ে কাজ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।” তবে এই বিষয়টি নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ কিছুই বলেনি।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে টুইটার। ইতিমধ্যেই কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহে কমপক্ষে ৪০ ঘণ্টা অফিসে থাকতেই হবে, নিদান দিয়েছেন মাস্ক। যেভাবেই হোক, সংস্থার আয় বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন টুইটারের নয়া মালিক। সেই জন্যই লাগাতার ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি কর্মীদের উপরে অত্যধিক কাজের চাপ দিচ্ছেন মাস্ক। তাঁর নয়া নীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন একের পর এক শীর্ষ আধিকারিক। ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবে টুইটার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু

টুইটার থেকে অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করলো এলন মাস্ক

আপডেট টাইম : ০২:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

টুইটার কেনার মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করে ফেলেছেন এলন মাস্ক। তবে এইটুকুতেই থেমে থাকতে রাজি নন এই ধনকুবের। আবারও বিপুল সংখ্যক কর্মীকে বাতিলের খাতায় ফেলতে চলেছেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একদিনেই প্রায় এক হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছেন মাস্ক। আচমকা ইমেল করে ওই কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, টুইটারের হয়ে আর কাজ করতে হবে না তাঁদের। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মীকে টুইটার থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যায় ছাঁটাই করেছেন মাস্ক। তবে এবার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপরে কোপ পড়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা বুঝতেই পারেননি যে তাঁদের চাকরি গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চুক্তি ভিত্তিক কর্মী বলেছেন, “আমরা যে যার মতো কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কোনও সিস্টেমেই আর ঢুকতে পারছিলাম না।”

এহেন ঘটনার পরে ম্যানেজাররা বুঝতে পারেন, ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে ওই কর্মীদের। একজন ম্যানেজার বলেছেন, “আমাদের ওয়েবসাইটের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছিল। সেই সময়েই আচমকা কিছু কর্মীকে আটকে দেওয়া হয়। পরে আমরা বুঝতে পারি,ওই কর্মীদের টুইটারের হয়ে কাজ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।” তবে এই বিষয়টি নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ কিছুই বলেনি।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে টুইটার। ইতিমধ্যেই কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহে কমপক্ষে ৪০ ঘণ্টা অফিসে থাকতেই হবে, নিদান দিয়েছেন মাস্ক। যেভাবেই হোক, সংস্থার আয় বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন টুইটারের নয়া মালিক। সেই জন্যই লাগাতার ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি কর্মীদের উপরে অত্যধিক কাজের চাপ দিচ্ছেন মাস্ক। তাঁর নয়া নীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন একের পর এক শীর্ষ আধিকারিক। ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবে টুইটার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।