ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার সিরাজদিখানে তীব্র তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করলেন জেলা পরিষদ সদস্য এমপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না-হুমকি এমপি পুত্রের! নাজমা রহিমের দোয়া মাহফিলে স্পীকারের অংশগ্রহণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ

বালিতে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান জো বইডেন

অনলাইন ডেস্ক:

ক্যাপিটালিস্ট আমেরিকা বনাম কমিউনিস্ট চিন! সোভিয়েত পরবর্তী বিশ্বে আধিপত্যের লড়াই চলছে দুই মহাশক্তির মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান জো বইডেন। গোটা বিশ্বের নজরকাড়া এই বৈঠকে আপাতত সংঘাত এড়িয়ে সহাবস্থানের বার্তাই দিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

আজ বালিতে একত্রিত হয়েছেন জি-২০ দেশগুলির প্রধানরা। সেখানে সম্মেলনের ফাঁকে নুসাদুয়া সমুদ্রতীরের বিলাসবহুল রিসোর্টে আলোচনার টেবিলে দেখা যায় জিনপিং ও বাইডেনকে । বৈঠকের শুরুতে হাতে হাত রেখে হাসিমুখে ছবি তোলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।দোভাষীর মাধ্যমে বাইডেনের উদ্দেশে জিনপিং বলেন, “আপনাকে দেখে ভাল লাগল।” পালটা অভিবাদন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, বালির সমুদ্র সৈকতে যে কূটনৈতিক ‘উষ্ণতা’ দেখা গিয়েছে, তাতে কি সম্পর্কের বরফ গলবে?

বৈঠকের শুরুতেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিয়ে বাইডেন বলেন, “আপনার (শি জিনপিং) সঙ্গে আমি ব্যক্তিগত ও সরকারি দুই স্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। কারণ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করতে পারব আমরা। আমি মনে করি, চিন ও আমেরিকা মতানৈক্য দূরে সরিয়ে সংঘাত এড়াতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, বিশ্বের স্বার্থে বেশ কিছু বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব।”

এদিকে, বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন, “এই বৈঠকের দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে যা নিয়ে আমাদের অনেক ভাবতে হচ্ছে। এটা কারও পক্ষেই ভাল নয়। এবং বিশ্বও (আমেরিকা-চিন সংঘাত) এমনটা চায় না। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আমাদের এক নতুন ও সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গোটা পৃথিবী আমাদের দেখছে। বিশ্বে শান্তি, স্থিতাবস্থা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। নৌবহর পাঠিয়ে পেশীশক্তির আস্ফালনও করেছে ওয়াশিংটন। কয়েক মাস আগে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ চরমে পৌঁছয়। এখনও পর্যন্ত বেজিংয়ের ‘এক চিন’ নীতিতে সম্মতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে আমেরিকা। কিন্তু তাইওয়ানে হামলা করলে লালফৌজের বিরুদ্ধে আমেরিকা পদক্ষেপ করবে বলেও আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বেজিং।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা

বালিতে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান জো বইডেন

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

ক্যাপিটালিস্ট আমেরিকা বনাম কমিউনিস্ট চিন! সোভিয়েত পরবর্তী বিশ্বে আধিপত্যের লড়াই চলছে দুই মহাশক্তির মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান জো বইডেন। গোটা বিশ্বের নজরকাড়া এই বৈঠকে আপাতত সংঘাত এড়িয়ে সহাবস্থানের বার্তাই দিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

আজ বালিতে একত্রিত হয়েছেন জি-২০ দেশগুলির প্রধানরা। সেখানে সম্মেলনের ফাঁকে নুসাদুয়া সমুদ্রতীরের বিলাসবহুল রিসোর্টে আলোচনার টেবিলে দেখা যায় জিনপিং ও বাইডেনকে । বৈঠকের শুরুতে হাতে হাত রেখে হাসিমুখে ছবি তোলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।দোভাষীর মাধ্যমে বাইডেনের উদ্দেশে জিনপিং বলেন, “আপনাকে দেখে ভাল লাগল।” পালটা অভিবাদন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, বালির সমুদ্র সৈকতে যে কূটনৈতিক ‘উষ্ণতা’ দেখা গিয়েছে, তাতে কি সম্পর্কের বরফ গলবে?

বৈঠকের শুরুতেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিয়ে বাইডেন বলেন, “আপনার (শি জিনপিং) সঙ্গে আমি ব্যক্তিগত ও সরকারি দুই স্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। কারণ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করতে পারব আমরা। আমি মনে করি, চিন ও আমেরিকা মতানৈক্য দূরে সরিয়ে সংঘাত এড়াতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, বিশ্বের স্বার্থে বেশ কিছু বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব।”

এদিকে, বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন, “এই বৈঠকের দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে যা নিয়ে আমাদের অনেক ভাবতে হচ্ছে। এটা কারও পক্ষেই ভাল নয়। এবং বিশ্বও (আমেরিকা-চিন সংঘাত) এমনটা চায় না। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আমাদের এক নতুন ও সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গোটা পৃথিবী আমাদের দেখছে। বিশ্বে শান্তি, স্থিতাবস্থা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। নৌবহর পাঠিয়ে পেশীশক্তির আস্ফালনও করেছে ওয়াশিংটন। কয়েক মাস আগে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ চরমে পৌঁছয়। এখনও পর্যন্ত বেজিংয়ের ‘এক চিন’ নীতিতে সম্মতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে আমেরিকা। কিন্তু তাইওয়ানে হামলা করলে লালফৌজের বিরুদ্ধে আমেরিকা পদক্ষেপ করবে বলেও আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বেজিং।