অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার তাগিদ দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো। তিনি বলেন, অবশ্যই আমাদের এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।
জি২০ নেতাদের সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার বালিতে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনের আয়োজক ইন্দোনেশিয়া।
সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনের প্রাক্কালে জি২০ নেতাদের ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। ‘দায়িত্বশীল হওয়ার অর্থ– কোনো একপক্ষের একতরফা লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি না করা। দায়িত্বশীল হওয়ার অর্থ–আমাদের অবশ্যই এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে না পারলে বিশ্বের এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।’
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সূচনা। ৮ মাসের যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য ছিল নিষেধাজ্ঞা ও ইচ্ছাপূর্বক বন্ধ করে দেওয়ায় ভুক্তভোগী হচ্ছে বিশ্ব।
এমতাবস্থায় রাশিয়ার আট মাসের আগ্রাসন এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকির নিন্দা জানানো হয় জি২০ সম্মেলনে এমন একটি যৌথ ঘোষণার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়ার নাম উল্লেখ না করে উইদোদো বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে আরেকটি শীতল যুদ্ধের সুযোগ না দিতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা উচিত হবে না। আমাদের বিশ্বকে আরেকটি শীতল যুদ্ধে জড়াতে দেওয়া অবশ্যই উচিত না।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের ফলে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি লাখো মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মন্দার দিকে ঠেলে দেওয়ার পর জি২০ নেতারা বালিতে একত্রিত হয়েছেন।
উইদোদো বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর এ ব্লককে বিশ্বের গভীরতম এ সংকট মোকাবিলায় অবশ্যই সফল হতে হবে।
তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আজ বিশ্বের নজর আমাদের দিকে। আমরা কি সাফল্য পাব? নাকি আরও একটি ব্যর্থতা যোগ করব?’
‘আমার পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি যে, জি২০ অবশ্যই সফল হবে। এটি অবশ্যই ব্যর্থ হবে না।’