বিশেষ প্রতিনিধি :
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ১১ নং হাসানপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির অভিযোগে অনাস্থার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী ও ৮ জন ইউপি মেম্বার। এসময়ে চেয়ারম্যান গ্রুপের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাঁধা দিয়ে হামলা করা হয়েছে।
১১ নং হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন মেম্বারের পক্ষে এস এম হেকমত আলী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে বলেন, হাসানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ ইউনিয়নে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে ফেলেছে। ইতিমধ্যে তিনি একজন দূর্নীতি পরায়ন চেয়ারম্যান হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পরিষদ পরিচালনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে কর্মসৃজন কর্মসূচীর টাকা আত্মসাত, ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্বের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের ইচ্ছা মত ব্যায় করা, ইউপি মেম্বারদের নিয়মিতভাবে ভাতার টাকা না দেওয়া, প্রত্যায়ন ও সনদ প্রদানে রশিদ ছাড়া টাকা নেওয়া, ইউপি মেম্বারদর সাথে নিয়মিত সভা না করে নিজের মতো করে প্রকল্প গ্রহন করে তার টাকা আত্মসাত করা। তিনি কর্মসৃজন কর্মসূচীর প্রায় লক্ষ্য টাকা আত্মসাত করেছেন।
চেয়ারম্যান সাহেবের দূর্নিতী অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থার দাবীতে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে হাসানপুর বাজারে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময়ে চেয়ারম্যান গ্রুপের ইউপি মেম্বার বুলবুল হোসেন ও মোস্তাক হোসেনের নেতৃত্ত্বে সংবাদ সম্মেলনে বাঁধা দিয়ে হামলা করেছে। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এস এম হেকমত আলী ও কামরুজ্জামান মেম্বার বলেন চেয়ারম্যান সাহেবের বিরুদ্ধে অনাস্থার দাবীতে আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে।
ইউপি মেম্বার আরফাজুল বলেন,চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান এর বাড়ি আমার পাশের গ্রামে।
তার বাবা চাচা সহ সবাইকে চিনি। তৌহিদুজ্জামান মূলত কেশবপুর রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক । নির্বাচনের আগে জনগণকে বোকা বানাতে, তিনি অনেক মিথ্যা আশ্বাস মানুষকে দিয়েছিলেন,তার বেশভূষা দেখলে মনে হয়,নির্ভেজাল ভালো মানুষ । এলাকাবাসী এলাকার স্বার্থে তাকে ভোট দিয়েছিলেন। ভোটের আগে তিনি যে কথা দিয়েছিলেন তার সিংহভাগ কথা তিনি রাখেননি । নির্বাচনের আগে বগার মোড়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। চেয়ারম্যান হয়ে আবার চলে এসেছেন কেশবপুরে। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করা শ্রমিকদের কাছ থেকেও তিনি টাকা নিয়েছেন । অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে ।