স্পোর্টস ডেস্ক :
কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া। তবে অতিরিক্ত সময়ে নেইমারের গোলে ব্রাজিল এগিয়ে গেলেও ব্রুনো পেতকোভিচের গোলে দ্রুতই সমতায় ফেরে ক্রোয়েটরা। ফলে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়াল।
শুক্রবার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। রাত ৯টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
প্রথমার্ধে বলের পজিশন দুদলের প্রায় সমান ছিল। তবে আক্রমণে ব্রাজিলই এগিয়ে ছিল। সেলেসাওরা ৫টি শট করে, যার ৩টি ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে ক্রোয়েটরা ৩টি শট করলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি কোনো বল।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ব্রাজিল সুযোগ পায়। তবে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট সহজেই রুখে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকভিচ। ১৩তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ক্রোয়েশিয়া। বল পায়ে নিজেদের অর্ধ থেকে প্রায় ডি-বক্স পর্যন্ত চলে যান ইয়োসিপ ইউরানোভিচ। তার বল পেয়ে ক্রস করেন মারিও পাসালিচ। বক্সে ইউরারোভিচের ডামির পর দারুণ জায়গায় বল পেয়ে যান ইভান পেরিসিচ। কিন্তু এদের মিলিতাওয়ের চাপের মুখে তিনি শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। এ যাত্রায় ব্রাজিল বেঁচে যায়।
খেলার ২০তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছে ভিনিসিউসের শট ব্লক করেন বোর্না সোসা। কয়েক সেকেন্ড পর গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন নেইমার।
৪২তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। নেইমার গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্রাজিল। তবে প্রচুর সুযোগ পেয়েও গোল বঞ্চিত হয় দলটি। প্রায় পুরোটা সময় খেলা হলো ক্রোয়েশিয়ার অর্ধে। আক্রমণের ঝাপটায় একের পর এক সুযোগ তৈরি করল ব্রাজিল। কিন্তু গোলমুখে ব্যর্থ হলেন নেইমার-রিচার্লিসন-ভিনিসিয়াসরা।
বিরতির ঠিক পরেই দারুণ একটি সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে নেইমারের শট ঠেকান ইয়োস্কো গাভারদিওল।
খেলার ৫৫তম মিনিটে আবার সুযোগ পান নেইমার। এবার রিচার্লিসনের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শট নেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। তবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে কাছের পোস্টে তৎপর লিভাকভিচ ফেরান সহজেই।
লুকাস পাকুয়েতার অবিশ্বাস্য ভুলে ৬৬তম মিনিটে গোল পায়নি ব্রাজিল। ডি-বক্সে আলগা পেয়ে যান এই মিডফিল্ডার। সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক, কিন্তু তাকে পার করতে পারেননি। ১০ মিনিট পর এগিয়ে গিয়ে নেইমারের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও শুরুটা আক্রমণাত্মক করে ব্রাজিল। একের পর এক শট করে যায় তারা। অবশেষে এই অর্ধের যোগ করা প্রথম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন নেইমার। পাকুয়েতার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পাসে গোলমুখে এগিয়ে যান নেইমার। পরে ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ এগিয়ে এলে ফ্লিক করে গোলটি করেন নেইমার।
এই গোলে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে কিংবদন্তি পেলেকে ছুঁলেন নেইমার। ১২৪ ম্যাচে ৭৭ গোল করলেন সময়ের সেরা এই তারকা। আর পেলে ৯২ ম্যাচে সমান সংখ্যাক গোল করেছিলেন।
তবে ১১৭তম মিনিটে ব্রুনো পেতকোভিচের অসাধারণ গোলে সমতায় ফিরে ম্যাচ বাঁচিয়ে রাখে ক্রোয়েশিয়া। ওরসিচের কাছ থেকে বল পেয়ে লম্বা শটে আলিসনকে পরাস্থ করেন পেতকোভিচ।