মোঃ হেলাল উদ্দিন :
মানবিক সেবার অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলাতে অসহায় পরিবারের পাশে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি সদর জোন, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন।
১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার দুপুরে উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেন ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়ির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে জি-২ আই, খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড মেজর জাহিদ হাসান,৩০ বীর খাগড়াছড়ি জোনের ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ শামীম রহমান,পানছড়ি সেনা সাবজোন কমান্ডার,মেজর জোবায়ের মাহমুদ ,উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান, চন্দ্র দেব চাকমা ,উল্টাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,মোঃ আহির উদ্দিন , পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উচিত মনি চাকমা , লোগাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, জয় কুমার চাকমা সহ সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এর সাথে মতবিনিময় কালে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়ির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি বলেন, জানান, মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ যাতে সঠিকভাবে ভোগ করতে পারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ বিষয়ে সর্বদাই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। খাগড়াছড়ি সদর জোন যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আর্ত-মানবতার সেবায় বেসামরিক প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক সহায়তায় সর্বক্ষণ পাশে ছিল এবং আগামীতেও পাশে থাকবে। শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে। মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা। এ জেলার উত্তরোত্তর উন্নতি এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। এছাড়াও তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও পাহাড়ী -বাঙ্গালী জনসাধারণ সহ পাহাড়ে বসবাসরত জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর এরূপ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষা ও যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সদা তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সাম্প্রদায়িকতার বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা সহ সকল ধরণের সহযোগীতা চলমান থাকবে।