বিশেষ প্রতিবেদক :
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে তিনি ছিলেন হাওয়া ভবনের বিশেষ আস্থাভাজন। সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা হারিস চৌধুরী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ঘনিষ্ঠ লোক হিসাবে পরিচিত ছিলো সর্ব্বত্র। সে সুবাদে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর পদটি বাগিয়ে নেন। বনে যান গণপূর্তের সুপার পাওয়ারম্যান। জোট সরকার আমলে দুহাতে টাকা কামিয়ে কোটিপতি বনে যান। শোনা যায় ,সে সময় গণপূর্তের টেন্ডার ও বদলী তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন। এরপর ১/১১ এর পালা বদলের পর শাস্তি মুক্ত থাকার জন্য তিনি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বিদেশে গিয়ে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রজেক্টে চাকুরী নেন। সেখান থেকে আরেকটি কোম্পানীতেও চাকুরী করেন। পরবর্তীতে দেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তন ঘটলে তিনি দেশে ফিরে এসে আবারও গণপূর্তে যোগদান করেন। মজার ব্যাপার হলো লিয়েন কালীন সময়ে গণপূর্ত থেকেও বেতন ভাতা নিয়েছেন আবার বিদেশী কোম্পানীতে চাকুরী করে সেখান থেকেও বেতন নিয়েছেন। যা সরকারি চাকুরী বিধির পরিপন্থি। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে ২০১৬ সালে লিয়েনকালীন সময়ে নেওয়া বেতন ভাতা ফেরত দিয়েছেন। আরো জানাগেছে, দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০২১ সালে বিদেশ থেকে ফিরে এসে তিনি গণপূর্তের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন। এবং প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারকে ম্যানেজ করে তার ডান হাত বনে যান। তাকে প্রধান কার্যালয়ের অতি: প্রধান প্রকৌশলী (সমন্বয়) পদে পদায়ন করে হাতে তুলে দেওয়া হয় অসীম ক্ষমতা। গণপূর্তের প্রকৌশলীদের বদলী সমন্বয়ের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর তার করা তালিকা মতই প্রকৌশলীদের বদলী করছেন প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার। এই সুয়োগে সারা দেশের এবং ঢাকার সবকটা জোন ও বিভাগের প্রকৌশলীদের বদলীর ভয় দেখিয়ে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অতি: প্রধান প্রকৌশলী ( সমন্বয়) মো: সাহিদুল আলম। আরো জানাগেছে, অধিদপ্তরের সফটওয়ার কেনায় তিনি কোন দরপত্র ব্যাতীত গোপনীয়ভাবে নিজের পছন্দের লোকদের ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। নানা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার ক্রয় করে সরকারি মোটা অংকের টাকার অপচয় (শ্রাদ্ধ) করেছেন। আবার তিনি আমেরিকায় চলে যাওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছেন। এসব বিয়য় উল্লেখ পুর্ব্বক ১২৫/এ কাজী নজরুল ইসলাম রোডের বাসিন্দা মো: আরমানুল হক পাভেল দুদক চেয়ারম্যানের দপ্তরে একখানা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। চাকুরী থেকে চিরতরে বরখাস্ত হওয়ার মত অপরাধ করার পরও মো: সাহিদুল আলম কিভাবে আজো সরকারি চাকুরীতে বহাল রয়েছেন তা কারো বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অতি: প্রধান প্রকৌশলী মো: সাহিদুল আলমকে ফোন করলে ফোনটি তিনি রিসিভ না করে ম্যাসেজ করে বলেন যে, তিনি এখন সচিবের কক্ষে অবস্থান করছেন তাই এখন কথা বলতে পারবেন না।