এম জাফরান হারুন
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বৃদ্ধ স্বামীকে অমানবিক নির্যাতন সহ অমানবিক ভাবে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রী মোসাঃ নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে।
নির্যাতন সহ মারধরে আহত স্বামীর নাম মোঃ জব্বার সওদাগর (৬৫), তিনি বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কালাইয়া কোর্টপাড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত সত্তার সওদাগরের পুত্র।
আর অভিযুক্ত স্ত্রী মোসাঃ নুরজাহান বেগম (৪০), একই ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালালুদ্দিন সওদাগরের মেয়ে।
অভিযোগকারী আহত বৃদ্ধ স্বামী মোঃ জব্বার সওদাগর আর্তনাদ করতে করতে বলেন, প্রায়দিনই খুটিনাটি সমস্যা নিয়ে আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা সহ মারধর করে আসছিল আমার স্ত্রী নুরজাহান। আমি বৃদ্ধ হওয়ায় আমাকে নাকি তার ভালো লাগেনা। গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ধানের খের আনাকে কেন্দ্র করে আমাকে ঘরের ভীতরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। আমি জীবন বাচাতে বাড়ির উঠনে আসলে সেখানেও বাড়ির সবার সামনে আমাকে বেধড়ক মারধর সহ আমার বুকের ওপর লাথি মারে। মারধরে আমি খুব অসুস্থ। এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে জানিয়েছি।
বৃদ্ধ স্বামী আরও বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে বিচার দিয়েছি শুনে আমার স্ত্রী আমাকে ঘরে উঠতে দেয় না। আমি ঘরে আসলে আমার মুখের ভীতর গামছা ভরে মেরে ফেলবে বলে সবার সামনে বলেছে। তাই আমি অন্যের বাড়িতে খাই থাকি এবং চেয়ারম্যান মেম্বার তার একটা পশমেরও ক্ষতি করতে পারবেনা বলে সবার সামনে বলেছে। আমি বিচার চাই।
সরেজমিনে বাড়ির লোকজন সহ স্থানীয়রা জানান, ওই মহিলা একটা দাজ্জাল দানব। কাউকে সে তোয়াক্কা করে না। বৃদ্ধ বলে প্রায়দিনই তার স্বামীকে নির্যাতন সহ মারধর করে আসছে। তাদের ছেলে মেয়েও তাদের কিছু বলে না এবং কেউ বাড়িতে আসেনা। স্বামীকে যে কোনও মুহূর্তে ওই মহিলা মেরে ফেলবে। সেদিন ওই বৃদ্ধ স্বামীকে যেভাবে মারধর করেছে এবং গলা টিপে ধরেছে তাতে আমরা দ্রুত এগিয়ে না আসলে মরে যেত। এখনতো দাজ্জাল মহিলা তার স্বামীকে ঘরেই উঠতে দেয় না।
মেম্বার মোহাম্মদ আলী জানান, আসলেই মহিলাটা একটা দাজ্জাল। বৃদ্ধ স্বামী আমার কাছে এসেছিল। আমি তাকে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
চেয়ারম্যান এসএম ফয়সল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা প্রতিবেদককে বলেন, এব্যাপারে আমি অবগত হয়ে একজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে ওই মহিলাকে।