ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার হওয়া উচিত- শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা গাজীপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আমার সন্তান ভয়ে বাড়িতে আসতে পারেনা, বিচার চাই গাজীপুরে কুরআন অপমানকারী শুভ সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে যা বললেন ‘জল্লাদ’ শাহজাহান

অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘ ৩২ বছর কারাভোগের পর আজ রোববার মুক্তি পেয়েছেন দেশের বহুল আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া। এদিন কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব?’

রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন এই জল্লাদ।

কারাভোগ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, ‘আমার ঘর-বাড়ি নেই। কারাগারে এক আসামি ছিলেন, যার বাসা রাজধানীর বসুন্ধরায়। আপাতত সেখানেই থাকব।’

এ সময় অঝোরে কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, ‘এত বছর জেল খাটার পর আমার কিছুই নেই। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেনো বাড়িঘর ও একটি কর্মসংস্থান করে দেন।’

অবিবাহিত শাহজাহান নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলায় ছয় আসামিসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন তিনি।

কারা সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়জন ঘাতক, ছয়জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের পর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়।

দুই মামলায় শাহজাহানের মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। এর মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৮/১৯৯২, মানিকগঞ্জ ০৩(১২)৯১, ধারা- অস্ত্র আইন ১৯(এ) মামলায় তার ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়।

এ ছাড়া দায়রা ৪০/৯২, মানিকগঞ্জ ২(১২)৯১, ধারা-৩৯৬ দণ্ডবিধি মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড হয়। এই দুই মামলায় তার ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি

কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে যা বললেন ‘জল্লাদ’ শাহজাহান

আপডেট টাইম : ১১:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘ ৩২ বছর কারাভোগের পর আজ রোববার মুক্তি পেয়েছেন দেশের বহুল আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া। এদিন কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব?’

রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন এই জল্লাদ।

কারাভোগ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, ‘আমার ঘর-বাড়ি নেই। কারাগারে এক আসামি ছিলেন, যার বাসা রাজধানীর বসুন্ধরায়। আপাতত সেখানেই থাকব।’

এ সময় অঝোরে কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, ‘এত বছর জেল খাটার পর আমার কিছুই নেই। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেনো বাড়িঘর ও একটি কর্মসংস্থান করে দেন।’

অবিবাহিত শাহজাহান নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলায় ছয় আসামিসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন তিনি।

কারা সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়জন ঘাতক, ছয়জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের পর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়।

দুই মামলায় শাহজাহানের মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। এর মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৮/১৯৯২, মানিকগঞ্জ ০৩(১২)৯১, ধারা- অস্ত্র আইন ১৯(এ) মামলায় তার ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়।

এ ছাড়া দায়রা ৪০/৯২, মানিকগঞ্জ ২(১২)৯১, ধারা-৩৯৬ দণ্ডবিধি মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড হয়। এই দুই মামলায় তার ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন।