ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার্লামেন্টের নারী স্পীকারদের সামিট বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম– স্পীকার ফায়ার সার্ভিসের সেই দুর্নীতিবাজ উপপরিচালক ওহিদুল আবার অধিদপ্তরে! নওগাঁয় নিউ মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর কমাশিয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইন্সটিটিউটে নবীন বরন অনুষ্ঠিত নিশ্চিত হলো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক প্রতিশ্রুতি অনেক, বাস্তবায়ন কম ভাইয়ের মৃত্যুতে বোনের এসএসসি পাসের আনন্দ মাটি

কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে যা বললেন ‘জল্লাদ’ শাহজাহান

অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘ ৩২ বছর কারাভোগের পর আজ রোববার মুক্তি পেয়েছেন দেশের বহুল আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া। এদিন কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব?’

রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন এই জল্লাদ।

কারাভোগ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, ‘আমার ঘর-বাড়ি নেই। কারাগারে এক আসামি ছিলেন, যার বাসা রাজধানীর বসুন্ধরায়। আপাতত সেখানেই থাকব।’

এ সময় অঝোরে কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, ‘এত বছর জেল খাটার পর আমার কিছুই নেই। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেনো বাড়িঘর ও একটি কর্মসংস্থান করে দেন।’

অবিবাহিত শাহজাহান নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলায় ছয় আসামিসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন তিনি।

কারা সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়জন ঘাতক, ছয়জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের পর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়।

দুই মামলায় শাহজাহানের মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। এর মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৮/১৯৯২, মানিকগঞ্জ ০৩(১২)৯১, ধারা- অস্ত্র আইন ১৯(এ) মামলায় তার ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়।

এ ছাড়া দায়রা ৪০/৯২, মানিকগঞ্জ ২(১২)৯১, ধারা-৩৯৬ দণ্ডবিধি মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড হয়। এই দুই মামলায় তার ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে যা বললেন ‘জল্লাদ’ শাহজাহান

আপডেট টাইম : ১১:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘ ৩২ বছর কারাভোগের পর আজ রোববার মুক্তি পেয়েছেন দেশের বহুল আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া। এদিন কারাগার থেকে বেরিয়ে অঝোরে কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব?’

রোববার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহজাহান। দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন এই জল্লাদ।

কারাভোগ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান বলেন, ‘আমার ঘর-বাড়ি নেই। কারাগারে এক আসামি ছিলেন, যার বাসা রাজধানীর বসুন্ধরায়। আপাতত সেখানেই থাকব।’

এ সময় অঝোরে কেঁদে কেঁদে তিনি বলেন, ‘এত বছর জেল খাটার পর আমার কিছুই নেই। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, কী খাব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যেনো বাড়িঘর ও একটি কর্মসংস্থান করে দেন।’

অবিবাহিত শাহজাহান নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলায় ছয় আসামিসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন তিনি।

কারা সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়জন ঘাতক, ছয়জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ বাংলাদেশের আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের পর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়।

দুই মামলায় শাহজাহানের মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। এর মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ১৮/১৯৯২, মানিকগঞ্জ ০৩(১২)৯১, ধারা- অস্ত্র আইন ১৯(এ) মামলায় তার ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়।

এ ছাড়া দায়রা ৪০/৯২, মানিকগঞ্জ ২(১২)৯১, ধারা-৩৯৬ দণ্ডবিধি মামলায় তার ৩০ বছরের সাজা হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড হয়। এই দুই মামলায় তার ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন।