ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চরফ্যাশন ও মনপুরা আসছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন রূপনগর–পল্লবী থানা কমিটি: ত্যাগীদের বঞ্চনা, বিতর্কিতদের দাপট জুলাই হত্যা মামলার আসামিকে প্রত্যায়ন দিলেন জামায়াতের আমির মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নারী সাংবাদিকতার এক আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনাকে কোনো দেশ গ্রহণ করেননি ভারত করেছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিরাজদিখানে রাতের অধারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ বরগুনায় বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘মব-সন্ত্রাস’ বন্ধসহ চার দাবিতে গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণে গ্রেফতারকৃত নারীর স্বীকারোক্ত

বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে গ্রেফতার আসামি হাফসা আক্তার পুতুল ঘটনার সহিত জড়িতো ছিলেন মর্মে স্বীকারোক্ত জবানবন্দীদেন।
সুত্রে জানা যায়, মামলাটি রুজু হওয়ার পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের প্রায় শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করিয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিশ্বস্ত সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে বেলা অনুমান ০৩:৫২ মিনিট ঘটিকায় বিজ্ঞ ঢাকা মাহনগর দায়রা জজ আদালত হাজতখানার উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার সহিত জড়িত আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলকে সনাক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে ২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ডিএমপি শ্যামপুর থানাধীন গ্লাস ফ্যাক্টরী গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেফতার করা হয় এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও গ্রেফতারকৃত আসামী হাফসা আক্তার পুতুলের ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগটি উদ্ধার করেন কোতয়ালী থানা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত আসামী হাফসা আক্তার পুতুলকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আনিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গত ২০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে অন্য একটি মামলায় তার দেবর আঃ রহমানকে কোর্টে আনবে এবং আঃ রহমানকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন।

এরপর সে ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া (৩৮) ও তাদের ছোট মেয়ে আমানিয়া (৪) সহ মোটর সাইকেল (যাহার রেজিস্ট্রোশন নং-ঢাকা মেট্রো হ ১৮-০৫০৮) যোগে তাহাদের বর্তমান বাসা হইতে কোর্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটর সাইকেলটি রাখে। তাহারা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫/২০ মিনিট অবস্থান কারে পরে আব্দুল হামিদ ভূইয়া তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলের কাঁধে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি কৌটা রাখাতে দেয়। পরবর্তীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ১নং গেইট দিয়ে দায়রা জজ আদালতে প্রবেশ করে এবং প্রথমে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ২য় তলায় কিছুক্ষন অবস্থান করে এরপর ৪র্থ তলায় উঠে।

একপর্যায়ে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলের কাঁধের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা কৌটাটি চাইলে হাফসা আক্তার পুতুল তার স্বামীকে তার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা কৌটাটি বের করে দিলে আব্দুল হামিদ কৌটাটি নিয়ে নিচের দিকে আদালত প্রাঙ্গনে ছুড়ে মারে, যাহার ফলে সাথে সাথে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তখন আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী হাফসা আক্তার ও তার ছোট মেয়ে আমানিয়াসহ পায়ে হেঁটে ঢাকা বার ভবন হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে গিয়ে তাদের মোটর সাইকেলটি নিয়ে বাসায় পালিয়ে যায়। ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী হাফসা আক্তার পুতুলকে পুলিশ রিমান্ড শেষে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হইলে সে দ্বায়স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্ত জবানবন্দী প্রদান করে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চরফ্যাশন ও মনপুরা আসছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণে গ্রেফতারকৃত নারীর স্বীকারোক্ত

আপডেট টাইম : ০৭:১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে গ্রেফতার আসামি হাফসা আক্তার পুতুল ঘটনার সহিত জড়িতো ছিলেন মর্মে স্বীকারোক্ত জবানবন্দীদেন।
সুত্রে জানা যায়, মামলাটি রুজু হওয়ার পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের প্রায় শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করিয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিশ্বস্ত সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে বেলা অনুমান ০৩:৫২ মিনিট ঘটিকায় বিজ্ঞ ঢাকা মাহনগর দায়রা জজ আদালত হাজতখানার উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার সহিত জড়িত আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলকে সনাক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে ২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ডিএমপি শ্যামপুর থানাধীন গ্লাস ফ্যাক্টরী গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেফতার করা হয় এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও গ্রেফতারকৃত আসামী হাফসা আক্তার পুতুলের ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগটি উদ্ধার করেন কোতয়ালী থানা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত আসামী হাফসা আক্তার পুতুলকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আনিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গত ২০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে অন্য একটি মামলায় তার দেবর আঃ রহমানকে কোর্টে আনবে এবং আঃ রহমানকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন।

এরপর সে ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূইয়া (৩৮) ও তাদের ছোট মেয়ে আমানিয়া (৪) সহ মোটর সাইকেল (যাহার রেজিস্ট্রোশন নং-ঢাকা মেট্রো হ ১৮-০৫০৮) যোগে তাহাদের বর্তমান বাসা হইতে কোর্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটর সাইকেলটি রাখে। তাহারা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫/২০ মিনিট অবস্থান কারে পরে আব্দুল হামিদ ভূইয়া তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলের কাঁধে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে একটি কৌটা রাখাতে দেয়। পরবর্তীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ১নং গেইট দিয়ে দায়রা জজ আদালতে প্রবেশ করে এবং প্রথমে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ২য় তলায় কিছুক্ষন অবস্থান করে এরপর ৪র্থ তলায় উঠে।

একপর্যায়ে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী হাফসা আক্তার পুতুলের কাঁধের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা কৌটাটি চাইলে হাফসা আক্তার পুতুল তার স্বামীকে তার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা কৌটাটি বের করে দিলে আব্দুল হামিদ কৌটাটি নিয়ে নিচের দিকে আদালত প্রাঙ্গনে ছুড়ে মারে, যাহার ফলে সাথে সাথে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তখন আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী হাফসা আক্তার ও তার ছোট মেয়ে আমানিয়াসহ পায়ে হেঁটে ঢাকা বার ভবন হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে গিয়ে তাদের মোটর সাইকেলটি নিয়ে বাসায় পালিয়ে যায়। ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ গ্রেফতারকৃত আসামী হাফসা আক্তার পুতুলকে পুলিশ রিমান্ড শেষে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হইলে সে দ্বায়স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্ত জবানবন্দী প্রদান করে।