ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি
গরিব ও বিএনপির ভোট কেনা হচ্ছে!

ঢাকা-১৪ আসনে লূৎফর রহমানের টাকার ছড়াছড়ি

বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা-১৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিজয়ী হতে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিএনপি ও বস্তিবাসীর ভোট টাকার বিনিময়ে কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কেটলি প্রতীক মোঃ লূৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লূৎফর রহমানের ভাগ্নে এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব  ঢাকা-১৪ আসন জুড়ে বিপুল টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রুপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৪ আসন। এই আসনে ডিএনসিসির ৭,৮,৯,১০ ১১ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড পড়েছে।

টাকা ছড়ানোর খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১২টার সময় সাংবাদিকরা গাবতলী বাগবাড়ী লূৎফর রহমানের বাড়ীতে গেলে সেখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মেলে। মিরপুর-১ নম্বরের দেওয়ান বাড়ীর বিএনপি নেতা মমিন দেওয়ান, নবাবেরবাগ এলাকার বিএনপি নেতা ইংরেজ আজম, মিরপুর-১ নম্বর উত্তর বিশিলের বিএনপি নেতা জহির কাজী, উত্তর বিশিল ৪নং রোডের বিএনপি নেতা আজম ও মিরপুর-১ নম্বর ডি-ব্লকের আজাদকে দেখা যায়।
সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা পাওয়ার পর থেকে তাহার ভাগ্নে মোঃ ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব এলাকাতে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলে জানা যায়। আর রাত হলে লূৎফর রহমানের বাড়ীতে জামায়াত ও বিএনপির সকল নেতা-কর্মিদের দেখা যায়।

ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ভোটের আগের দিন যেন টাকাপয়সার লেনদেন না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে এ নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। তিনি যেকোনো মূল্যে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে চায়। তাই জামায়াত ও বিএনপি কর্মীদের যেমন দিচ্ছেন, তেমনি গরিব মানুষেরও ভোট টাকা দিয়ে কিনতে চাইছেন। আইন অনুযায়ী, দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।

তবে বাহারি প্রচারণা বলে দেয়, বাস্তবতা ভিন্ন। ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মাকার্র প্রার্থী মাঈনুল হোসেন খান নিখিল খবর বাংলাদেশকে বলেন, গাবতলী, বাগবাড়ী, বড়বাজার, কাউন্দিয়া, মিরপুর-১ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লুৎফর রহমানের ভাগ্নে ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব কয়েক দিন ধরে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা টাকা দিয়ে গরিব মানুষের সব ভোট কিনে নিতে চাইছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

গরিব ও বিএনপির ভোট কেনা হচ্ছে!

ঢাকা-১৪ আসনে লূৎফর রহমানের টাকার ছড়াছড়ি

আপডেট টাইম : ০৯:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা-১৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিজয়ী হতে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিএনপি ও বস্তিবাসীর ভোট টাকার বিনিময়ে কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কেটলি প্রতীক মোঃ লূৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লূৎফর রহমানের ভাগ্নে এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব  ঢাকা-১৪ আসন জুড়ে বিপুল টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রুপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৪ আসন। এই আসনে ডিএনসিসির ৭,৮,৯,১০ ১১ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড পড়েছে।

টাকা ছড়ানোর খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১২টার সময় সাংবাদিকরা গাবতলী বাগবাড়ী লূৎফর রহমানের বাড়ীতে গেলে সেখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মেলে। মিরপুর-১ নম্বরের দেওয়ান বাড়ীর বিএনপি নেতা মমিন দেওয়ান, নবাবেরবাগ এলাকার বিএনপি নেতা ইংরেজ আজম, মিরপুর-১ নম্বর উত্তর বিশিলের বিএনপি নেতা জহির কাজী, উত্তর বিশিল ৪নং রোডের বিএনপি নেতা আজম ও মিরপুর-১ নম্বর ডি-ব্লকের আজাদকে দেখা যায়।
সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা পাওয়ার পর থেকে তাহার ভাগ্নে মোঃ ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব এলাকাতে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলে জানা যায়। আর রাত হলে লূৎফর রহমানের বাড়ীতে জামায়াত ও বিএনপির সকল নেতা-কর্মিদের দেখা যায়।

ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ভোটের আগের দিন যেন টাকাপয়সার লেনদেন না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে এ নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। তিনি যেকোনো মূল্যে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে চায়। তাই জামায়াত ও বিএনপি কর্মীদের যেমন দিচ্ছেন, তেমনি গরিব মানুষেরও ভোট টাকা দিয়ে কিনতে চাইছেন। আইন অনুযায়ী, দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।

তবে বাহারি প্রচারণা বলে দেয়, বাস্তবতা ভিন্ন। ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মাকার্র প্রার্থী মাঈনুল হোসেন খান নিখিল খবর বাংলাদেশকে বলেন, গাবতলী, বাগবাড়ী, বড়বাজার, কাউন্দিয়া, মিরপুর-১ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লুৎফর রহমানের ভাগ্নে ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব কয়েক দিন ধরে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা টাকা দিয়ে গরিব মানুষের সব ভোট কিনে নিতে চাইছে।