ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার সিরাজদিখানে তীব্র তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করলেন জেলা পরিষদ সদস্য এমপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না-হুমকি এমপি পুত্রের! নাজমা রহিমের দোয়া মাহফিলে স্পীকারের অংশগ্রহণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ মির্জাগঞ্জে পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
গরিব ও বিএনপির ভোট কেনা হচ্ছে!

ঢাকা-১৪ আসনে লূৎফর রহমানের টাকার ছড়াছড়ি

বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা-১৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিজয়ী হতে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিএনপি ও বস্তিবাসীর ভোট টাকার বিনিময়ে কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কেটলি প্রতীক মোঃ লূৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লূৎফর রহমানের ভাগ্নে এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব  ঢাকা-১৪ আসন জুড়ে বিপুল টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রুপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৪ আসন। এই আসনে ডিএনসিসির ৭,৮,৯,১০ ১১ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড পড়েছে।

টাকা ছড়ানোর খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১২টার সময় সাংবাদিকরা গাবতলী বাগবাড়ী লূৎফর রহমানের বাড়ীতে গেলে সেখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মেলে। মিরপুর-১ নম্বরের দেওয়ান বাড়ীর বিএনপি নেতা মমিন দেওয়ান, নবাবেরবাগ এলাকার বিএনপি নেতা ইংরেজ আজম, মিরপুর-১ নম্বর উত্তর বিশিলের বিএনপি নেতা জহির কাজী, উত্তর বিশিল ৪নং রোডের বিএনপি নেতা আজম ও মিরপুর-১ নম্বর ডি-ব্লকের আজাদকে দেখা যায়।
সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা পাওয়ার পর থেকে তাহার ভাগ্নে মোঃ ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব এলাকাতে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলে জানা যায়। আর রাত হলে লূৎফর রহমানের বাড়ীতে জামায়াত ও বিএনপির সকল নেতা-কর্মিদের দেখা যায়।

ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ভোটের আগের দিন যেন টাকাপয়সার লেনদেন না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে এ নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। তিনি যেকোনো মূল্যে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে চায়। তাই জামায়াত ও বিএনপি কর্মীদের যেমন দিচ্ছেন, তেমনি গরিব মানুষেরও ভোট টাকা দিয়ে কিনতে চাইছেন। আইন অনুযায়ী, দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।

তবে বাহারি প্রচারণা বলে দেয়, বাস্তবতা ভিন্ন। ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মাকার্র প্রার্থী মাঈনুল হোসেন খান নিখিল খবর বাংলাদেশকে বলেন, গাবতলী, বাগবাড়ী, বড়বাজার, কাউন্দিয়া, মিরপুর-১ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লুৎফর রহমানের ভাগ্নে ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব কয়েক দিন ধরে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা টাকা দিয়ে গরিব মানুষের সব ভোট কিনে নিতে চাইছে।

ট্যাগস

আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক

গরিব ও বিএনপির ভোট কেনা হচ্ছে!

ঢাকা-১৪ আসনে লূৎফর রহমানের টাকার ছড়াছড়ি

আপডেট টাইম : ০৯:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা-১৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিজয়ী হতে স্বল্প আয়ের মানুষ, বিএনপি ও বস্তিবাসীর ভোট টাকার বিনিময়ে কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে কেটলি প্রতীক মোঃ লূৎফর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লূৎফর রহমানের ভাগ্নে এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব  ঢাকা-১৪ আসন জুড়ে বিপুল টাকা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রুপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৪ আসন। এই আসনে ডিএনসিসির ৭,৮,৯,১০ ১১ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড পড়েছে।

টাকা ছড়ানোর খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১২টার সময় সাংবাদিকরা গাবতলী বাগবাড়ী লূৎফর রহমানের বাড়ীতে গেলে সেখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার দেখা মেলে। মিরপুর-১ নম্বরের দেওয়ান বাড়ীর বিএনপি নেতা মমিন দেওয়ান, নবাবেরবাগ এলাকার বিএনপি নেতা ইংরেজ আজম, মিরপুর-১ নম্বর উত্তর বিশিলের বিএনপি নেতা জহির কাজী, উত্তর বিশিল ৪নং রোডের বিএনপি নেতা আজম ও মিরপুর-১ নম্বর ডি-ব্লকের আজাদকে দেখা যায়।
সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা পাওয়ার পর থেকে তাহার ভাগ্নে মোঃ ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব এলাকাতে বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলে জানা যায়। আর রাত হলে লূৎফর রহমানের বাড়ীতে জামায়াত ও বিএনপির সকল নেতা-কর্মিদের দেখা যায়।

ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ভোটের আগের দিন যেন টাকাপয়সার লেনদেন না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী লূৎফর রহমান কেটলী মার্কা ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে এ নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। তিনি যেকোনো মূল্যে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে চায়। তাই জামায়াত ও বিএনপি কর্মীদের যেমন দিচ্ছেন, তেমনি গরিব মানুষেরও ভোট টাকা দিয়ে কিনতে চাইছেন। আইন অনুযায়ী, দ্বাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন।

তবে বাহারি প্রচারণা বলে দেয়, বাস্তবতা ভিন্ন। ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মাকার্র প্রার্থী মাঈনুল হোসেন খান নিখিল খবর বাংলাদেশকে বলেন, গাবতলী, বাগবাড়ী, বড়বাজার, কাউন্দিয়া, মিরপুর-১ নম্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লুৎফর রহমানের ভাগ্নে ফয়সাল এবং দুই ছেলে আশিক ও রাকিব কয়েক দিন ধরে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা টাকা দিয়ে গরিব মানুষের সব ভোট কিনে নিতে চাইছে।