ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার সিরাজদিখানে তীব্র তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করলেন জেলা পরিষদ সদস্য এমপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না-হুমকি এমপি পুত্রের! নাজমা রহিমের দোয়া মাহফিলে স্পীকারের অংশগ্রহণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ

দারুস্ সালামে অনুমোদন ছাড়া নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে শিশু খাদ্য

বিশেষ প্রতিনিধি :
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাশি-পঁচা চিনির সিরকা, তেল, গুড়, ময়দা, আটা দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে সকল প্রকার খাদ্য তৈরী করে বাজারজাত করছে রাজধানী দারুস সালাম থানাধীন গাবতলীর পাশে গোদেরটেক এলাকায়। যেগুলো খেয়ে শিশু এবং সাধারণ মানুষ ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পড়ছেন ম্বাস্থ্য ঝুকিতে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় গোদেরটেক ১০/বি এর বিপরীত পাশের রোডের শেষ মাথায় বিশাল কাউন্সিলর তাহেরের জায়গায় টিনসেড ঘর করে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম নীতি ছাড়া যত্রতত্র ভাবে গড়ে তুলেছেন ওই কারখানা, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সাতক্ষীরার কল্যান ও সোহেল নামসহ আরও দুইজন চালিয়ে যাচ্ছে ওই ব্যবসা। এর পুরাটাই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওইখনে তৈরী হচ্ছে এই ২১ আইটেমের খাবার। উৎপাদিত খাদ্যের মান প্রণয়ন এবং গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কারখানার মালিকরা অবাধে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদিত খাবারে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ- টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদন সহ নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ। সরোজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় তাদের সকল অবৈধ ব্যবসা। কারখানা গুলো নিয়ম নীতি না মেনে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরী করছে খাবার গুলো। সরেজমিনে দেখা যায় খাবার তৈরী করতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ও নিম্নমানের পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি পায়ে খাবার তৈরী করছে। নোংরা ও অপরিস্কার কড়াই গুলোতে আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ডালডা দিয়ে তৈরী করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঢাকনা নাই। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ছাড়াই বাহিরে মোড়কে কেক, বিস্কুট সহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বক্স ও মোড়কে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্য বাজারজাত করছে। রাজধানীর বিভিন্ন দোকান ও চায়ের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক পলি প্যাকে ঝুঁলছে তাদের খাবার। মোড়কের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা নেই আবার কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে বা মেয়াদ কবে শেষ হবে তার কোনো উল্লেখ নেই। এ সকল কারখানাতে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সহ জরিমানা আদায় করা হলেও, চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী। কিছু দিন যেতে না যেতেই ফিরে যাচ্ছে পূর্বে অবস্থায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ঝুঁকি। কয়েক জন বেকারী শ্রমিক জানান, কোন কোন কারখানায় দিনের বেলায় তারা কোনো পণ্য উৎপাদন করেন আবার অনেকে রাতভর পণ্য উৎপাদন শেষ হয়ে যায়। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের ঝাঁমেলা কম বলেই পণ্য উৎপাদন রাতেই শেষ করা হয়। তারা আরও বলেন মাঝে মধ্যে স্যানিটারি অফিসার এসে ঘুরে চলে যায়। চা দোকানদারা বলেন আমরা গরীব মানুষ চা-পান বিক্রি করে সংসার চালাই। উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নাই। ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। কারখানার মালিকের ছোট ভাই বলেন আমাদের বি.এস.টি.আই অনুমোদন লাগে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা

দারুস্ সালামে অনুমোদন ছাড়া নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে শিশু খাদ্য

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি :
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাশি-পঁচা চিনির সিরকা, তেল, গুড়, ময়দা, আটা দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে সকল প্রকার খাদ্য তৈরী করে বাজারজাত করছে রাজধানী দারুস সালাম থানাধীন গাবতলীর পাশে গোদেরটেক এলাকায়। যেগুলো খেয়ে শিশু এবং সাধারণ মানুষ ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পড়ছেন ম্বাস্থ্য ঝুকিতে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় গোদেরটেক ১০/বি এর বিপরীত পাশের রোডের শেষ মাথায় বিশাল কাউন্সিলর তাহেরের জায়গায় টিনসেড ঘর করে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম নীতি ছাড়া যত্রতত্র ভাবে গড়ে তুলেছেন ওই কারখানা, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সাতক্ষীরার কল্যান ও সোহেল নামসহ আরও দুইজন চালিয়ে যাচ্ছে ওই ব্যবসা। এর পুরাটাই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওইখনে তৈরী হচ্ছে এই ২১ আইটেমের খাবার। উৎপাদিত খাদ্যের মান প্রণয়ন এবং গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কারখানার মালিকরা অবাধে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদিত খাবারে দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ- টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদন সহ নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ। সরোজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় তাদের সকল অবৈধ ব্যবসা। কারখানা গুলো নিয়ম নীতি না মেনে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরী করছে খাবার গুলো। সরেজমিনে দেখা যায় খাবার তৈরী করতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ও নিম্নমানের পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি পায়ে খাবার তৈরী করছে। নোংরা ও অপরিস্কার কড়াই গুলোতে আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ডালডা দিয়ে তৈরী করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঢাকনা নাই। উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ন তারিখ ছাড়াই বাহিরে মোড়কে কেক, বিস্কুট সহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বক্স ও মোড়কে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্য বাজারজাত করছে। রাজধানীর বিভিন্ন দোকান ও চায়ের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক পলি প্যাকে ঝুঁলছে তাদের খাবার। মোড়কের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা নেই আবার কত তারিখে উৎপাদন হয়েছে বা মেয়াদ কবে শেষ হবে তার কোনো উল্লেখ নেই। এ সকল কারখানাতে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সহ জরিমানা আদায় করা হলেও, চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী। কিছু দিন যেতে না যেতেই ফিরে যাচ্ছে পূর্বে অবস্থায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ঝুঁকি। কয়েক জন বেকারী শ্রমিক জানান, কোন কোন কারখানায় দিনের বেলায় তারা কোনো পণ্য উৎপাদন করেন আবার অনেকে রাতভর পণ্য উৎপাদন শেষ হয়ে যায়। রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের ঝাঁমেলা কম বলেই পণ্য উৎপাদন রাতেই শেষ করা হয়। তারা আরও বলেন মাঝে মধ্যে স্যানিটারি অফিসার এসে ঘুরে চলে যায়। চা দোকানদারা বলেন আমরা গরীব মানুষ চা-পান বিক্রি করে সংসার চালাই। উৎপাদনের তারিখ দেখার সময় নাই। ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। কারখানার মালিকের ছোট ভাই বলেন আমাদের বি.এস.টি.আই অনুমোদন লাগে না।