ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

পঞ্চগড়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি-
আজ ২৯ নভেম্বর, পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিকামী বাঙালির সাহসিক লড়াইয়ের মাধ্যমে পঞ্চগড় শহর পাক হানাদারমুক্ত হয়েছিল। এ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন। পরে শহীদদের স্মরণে মুনাজাত করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর একটি র‌্যালি জেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত বধ্যভূমিতে গিয়ে আরও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসজুড়ে মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসী অভিযান ও মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকবাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ডিফেন্সে হামলা শুরু করে পহেলা নভেম্বর । পঞ্চগড় অমরখানা মুক্ত হয় ২০ নভেম্বর, জগদলহাট মুক্ত হয় ২৫ নভেম্বর, পঞ্চগড় শিংপাড়া মুক্ত হয় ২৬ নভেম্বর, পূর্ব তালমাসহ আটোয়ারী, মির্জাপুর, ধামোর এলাকায় পাকবাহিনীকে পরাজিত করা হয় ২৭ নভেম্বর।
২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকবাহিনীর ওপর তীব্র আক্রমণ চালান। ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে পাক সেনারা শহরের পূর্বদিকের ডিফেন্স ভেঙে পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যেই পাক হানাদার বাহিনী টুনিরহাট হয়ে সৈয়দপুরের দিকে পালিয়ে যায়। ভোরের আলো ফোটার আগেই পঞ্চগড় হানাদারমুক্ত হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু

পঞ্চগড়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি

আপডেট টাইম : ০৪:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি-
আজ ২৯ নভেম্বর, পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিকামী বাঙালির সাহসিক লড়াইয়ের মাধ্যমে পঞ্চগড় শহর পাক হানাদারমুক্ত হয়েছিল। এ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন। পরে শহীদদের স্মরণে মুনাজাত করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর একটি র‌্যালি জেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত বধ্যভূমিতে গিয়ে আরও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসজুড়ে মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসী অভিযান ও মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকবাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ডিফেন্সে হামলা শুরু করে পহেলা নভেম্বর । পঞ্চগড় অমরখানা মুক্ত হয় ২০ নভেম্বর, জগদলহাট মুক্ত হয় ২৫ নভেম্বর, পঞ্চগড় শিংপাড়া মুক্ত হয় ২৬ নভেম্বর, পূর্ব তালমাসহ আটোয়ারী, মির্জাপুর, ধামোর এলাকায় পাকবাহিনীকে পরাজিত করা হয় ২৭ নভেম্বর।
২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকবাহিনীর ওপর তীব্র আক্রমণ চালান। ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে পাক সেনারা শহরের পূর্বদিকের ডিফেন্স ভেঙে পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যেই পাক হানাদার বাহিনী টুনিরহাট হয়ে সৈয়দপুরের দিকে পালিয়ে যায়। ভোরের আলো ফোটার আগেই পঞ্চগড় হানাদারমুক্ত হয়।